ঢাকা, ২২ অক্টোবর- ক্রীড়াপ্রেমী ও ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিশেষ পরিচিত বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। যেকোনো ধরনের খেলাধুলায় তার উৎসাহ ও সমর্থনের উদাহরণ অনেক। বিশেষ করে জাতীয় ক্রিকেট দলের যেকোনো সাফল্যে উদ্বেলিত হন, আনন্দে ভাসেন অন্য সবার মতো করেই। জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদেরকেও দেখেন স্নেহের চোখে। ফলে যেকোনো সমস্যা বা প্রয়োজনে সর্বদাই প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য ও পরামর্শ পেয়ে থাকেন ক্রিকেটার তথা ক্রীড়াবিদরা। এবার তেমনই এক ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে এবারের পরিস্থিতি বেশ জটিল। কারণ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে বিসিবি ও ক্রিকেটাররা। সোমবার দুপুরে হুট করেই বিসিবিকে ১১ দফা দাবির কথা জানিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেটাররা। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি মানা না পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে দূরে থাকবেন তারা। এমতাবস্থায় বেশ অস্থিতিশীলতাই দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বিশেষ করে সামনে যখন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম মিশনে ভারত সফর এবং এরপরে দৃষ্টি সীমানাতেই আবার দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএল- তখন ক্রিকেটারদের এমন ধর্মঘট দেশের ক্রিকেটের জন্যই বেশ ক্ষতিকর। সোমবার তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি বিসিবি। তবে রাতে বিসিবি সভাপতির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের পরিচালকদের নিয়ে একান্ত আলোচনার মতো হয়েছে। যেখানে কথা হয়েছে অনেক কিছু নিয়েই। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি কোনো। সেই আলোচনার ধারাবাহিকতায় আজ (মঙ্গলবার) বিসিবি কার্যালয়ে বোর্ড পরিচালকদের নিয়ে অনানুষ্ঠানিক জরুরি সভা ডেকেছেন নাজমুল হাসান পাপন। এদিকে ভেতরের খবর হলো, সোমবার রাতে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে একান্ত আলোচনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ক্রিকেটারদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন পাপন। বিশেষ করে আসন্ন ভারত সফর, এ সফরের বিষয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির মন্তব্য এবং ১১ দফা দাবিতে ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়েই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের খুব কাছের একটি দায়িত্বশীল সূত্র। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে বিসিবি প্রধানকে কী পরামর্শ দিয়েছেন? ক্রিকেটারদের আন্দোলন, ধর্মঘট ও ১১ দফা দাবির প্রেক্ষিতে যে অস্থিতিশীল পরিবেশের উদ্রেক ঘটেছে- তা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশই বা কী?- তা জানা যায়নি প্রাথমিকভাবে। সেটা আজ মধ্যাহ্নে বোর্ড পরিচালকদের অনানুষ্ঠানিক সভার পরই হয়তো বিস্তারিত জানা যাবে। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২২ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2BzAlHz
October 22, 2019 at 09:11AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top