ঢাকা, ০৩ অক্টোবর - বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ অক্টোবর। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রস্তুতি। চলছে আলোচনা-সমালোচনাও। এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল এবং মৌসুমী-ডিএ তায়েব প্যানেল। কিন্তু অনেকে জলঘোলা করার চেষ্টা করছেন এবং নানা চক্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় ওমর সানী বলেন, আমাদের সহকর্মীদের অনুরোধে মৌসুমীকে সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে বাধ্য করেছি আমরা। অনেক চক্রান্ত চলছে। মৌসুমীর প্যানেলে অনেক মহারথী আর্টিস্টরা ছিল। আজকে তারা কেউ নেই। কোনো এক অদৃশ্য ভয়ের কারণে, আমি নাম বলবো না। এবং সেই শক্তি চায় সভাপতি, সেক্রেটারি এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে কেউ যেন না দাঁড়ায় নির্বাচনে। আমি বলেছি যে, তোমাকে (মৌসুমীকে) দাঁড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, আপনারা যে বলছেন বা গুজব ছড়াচ্ছেন যে মৌসুমী দাঁড়াবে না। মৌসুমী আসলেই দাঁড়াতো না। সেই সুযোগটাই তো আপনারা দিলেন না মৌসুমীকে বসার জন্য। সেই সুযোগটা কি জানেন? মৌসুমী চেয়েছিল- মাহমুদ কলি, পারভেজ (সোহেল রানা), আলমগীর, ওয়াসিম, উজ্জল, ফারুক, ইলিয়াস কাঞ্চন, ববিতা, কবরী আপা আসুক আমি ছেড়ে দিব। যদিও উনারা আজীবন সদস্য এই সমিতির। এমনকি ডিপজল কিংবা রুবেল ভাই নির্বাচন করুক আমি ছেড়ে দিব। কিন্তু সেই সুযোগ তো আপনারা দিলেন না। মৌসুমীকে আপনারা সুযোগ দিয়েছেন? এই প্রশ্ন রেখে ওমন সানী বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ডিপজল সাহেব সভাপতি পদে নির্বাচন করলে মৌসুমী বসে যেত। রুবেল ভাই সভাপতি পদে দাঁড়ালে মৌসুমী বসে যেত। তারা তো সিনিয়র এবং আজীবন সদস্য। এই সুযোগটা কি দিয়েছেন আপনারা? মিশার সঙ্গে বসতে হবে কেন? মানুষের হারজিৎ আছেই। হয়তোবা মৌসুমী পরাজিত হবে, মিশা জয়ী হবে। অথবা মিশা পরাজিত হবে, মৌসুমী জয়ী হবে। এটা এমন কিছু ব্যাপার না। কিন্তু এটাকে এতভাবে নিচ্ছেন কেন আপনারা? এত ভয় কিসের? সেক্রেটারি করতে পারবে না, প্রেসিডেন্ট করতে পারবে না-এটাতে এমন কি মধু আছে? এখানে তো আরও নিজের টাকা খরচ হবার কথা। কার স্বার্থ কাজ করছে এখানে? এখানে থাকলে টাকা ইনকাম করা যাবে। এটা তো সেই জায়গা না। এই ফিল তো মান্না সাহেব, রুবেল ভাই, ডিপজল সাহেব, আলমগীর, ফারুক কিংবা কাঞ্চন সাহেব করেননি। কে করছে, কোন জায়গার থেকে করছে? এটা বুঝতে হবে। সময় এসেছে। মৌসুমী অটল। নির্বাচন করবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস মৌসুমীর কলিগরা, সিনিয়রা, জুনিয়রা কিংবা আমরা কেউই পিছপা হবো না। একলা চলার মধ্যেও আমাদের জনাব ডিএ তায়েব সাহেব আছেন। মৌসুমী এবং ডিএ তায়েব আছে ও থাকবে। ইনশাআল্লাহ। আমরা আশা করবো, আপনারা ভোট দেবেন এবং প্যানেল কোনো ফ্যাক্ট না, ব্যক্তি হচ্ছে ফ্যাক্টর। প্যানেল বলতে কোনো শব্দ নাই, আমি দেখাতে পারি। ভিডিও বার্তায় ওমর সানী আরও বলেন, আশা করবো ২৫ তারিখের নির্বাচনে যারা স্বতন্ত্র আছে তারা সকলে জয়লাভ করবেন। এবং জায়েদ-মিশা গ্রুপ থেকে যারা ভালো, যারা পাস করবেন- তাদের সকলকে স্বাগতম। অনেক ভালো প্রার্থী আছে ওখানে, আমার অনেক বন্ধু, বান্ধবী আছে এবং আমার ছোট ভাইয়েরাও আছে। এটা শত্রুতার খেলা না, বন্ধুত্বের খেলা। তবে এটা শত্রুতা হিসেবে নিয়ে ফেলেছে অনেকেই। এই যে আমি করিনি, কি হয়েছে। সমস্যাটা কি? আবারো বলছি, মৌসুমীকে বসানোর জন্য অনেক চেষ্টা হয়েছে। মৌসুমীতো বসতো সেই সুযোগটাই দিলেন না। মৃতপ্রায় চলচ্চিত্রকে আমরা চেষ্টা করি না বাঁচানোর জন্য। যারা স্বার্থ নিয়ে চলচ্চিত্রকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, পকেট ভারীর ধান্দা করছে- তাদেরকে আমরা বিতাড়িত করবো ইনশাল্লাহ। আজ অথবা কাল। আমরা ভয় পাব না। ভয়কে আমরা জয় করবো, ইনশাল্লাহ। সূত্র : গো নিউজ২৪ এন এইচ, ০৩ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2obuqWf
October 03, 2019 at 01:24PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন