কলকাতা, ১২ অক্টোবর- দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে অপরাজিত ২৫৪ রান করে টেস্টে ভারতীয় রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সপ্তম স্থানে উঠে এসেছেন বিরাট কোহলি। দিলীপ বেঙ্গসরকরকে ছাপিয়ে তিনি নিঃশ্বাস ফেলছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাঁধে। প্রাক্তন অধিনায়কের চেয়ে মাত্র ১৫৮ রান পিছিয়ে বর্তমান ভারত অধিনায়ক। এভাবে হয়তো একের পর এক রেকর্ড ভাঙতে থাকবেন। হয়তো একদিন কিংবদন্তি সচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ডও স্পর্শ করতে দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু এখনই সে বিষয়ে নিশ্চিত মন্তব্য করতে চান না সৌরভ। তবে মনে করেন, শুধু তাঁর রেকর্ডই নয়। বিশ্বের বাঘা-বাঘা সব ব্যাটসম্যানদের ছাপিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা বিরাটের রয়েছে। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ককে ছাপিয়ে যেতে বিরাটের যে বেশি সময় লাগবে না, তা মানছেন। তার সঙ্গেই বলে দিচ্ছেন, বিরাট যে কোথায় থামবে, তা ঈশ্বরই বলতে পারেন। ও নিজেও জানে না কোথায় গিয়ে শেষ করবে। শুধু আমার রেকর্ড কেন। বিরাট যে ৭০০০ বা ১০,০০০ রানে তৃপ্ত হবে না, তা ওর ছন্দ দেখেই বোঝা যায়। বিশ্বের অধিকাংশ ব্যাটসম্যানের রেকর্ড ভাঙার ক্ষমতা ওর রয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃতীয় সেশন ও শুক্রবারের প্রথম সেশনে কাগিসো রাবাদা ও ভার্নন ফিল্যান্ডারের ভয়ঙ্কর স্পেলের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিরাট। পুণের পিচে যেখানে শুরু থেকেই সাহায্য পাচ্ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। সেখানে রাবাডার আউটসুইংয়ের বিরুদ্ধে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে বিরাটকে। রাবাদা জানতেন, আউটসুইংয়ের বিরুদ্ধে ভারত অধিনায়ক আত্মবিশ্বাসী নন। তরুণ পেসার তাই চেষ্টা করছিলেন বিরাটের শরীরের ভেতর থেকে বাইরে সুইং করিয়ে তাঁর ব্যাটের স্পর্শ পেতে। কিন্তু বিধ্বংসী পেসার কোহালিকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ। রাবাদাকে সামলানোর সঠিক উপায় জানা রয়েছে বিরাটের। এমনটা দাবি করে সৌরভ বলেন, এর চেয়ে আরও কঠিন পিচে আরও ভয়ঙ্কর পেসারদের ওকে সামলাতে দেখেছি। বিরাটের এই ইনিংস আমার কাছে নিতান্তই একটি ২০০ রানের মাইলস্টোন। যা ব্যাটসম্যান হিসেবে আরও প্রতিষ্ঠিত করে তুলবে। কিংবদন্তিদের মঞ্চের দিকে এক ধাপ ওকে এগিয়ে দেবে। বিরাট যে ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইনিংস গড়েছেন তা দেখে মুগ্ধ প্রাক্তন অধিনায়ক। সৌরভের মতে, কী ভাবে একটি টেস্ট ইনিংস গড়া উচিত, তার আদর্শ উদাহরণ দিয়ে গিয়েছেন বিরাট। বিরাটের সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজা ও অজিঙ্কা রাহানেরও প্রশংসা শোনা গেল সৌরভের মুখে। সূত্র: ঢাকাটাইমস আর/০৮:১৪/১২ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2paVl4K
October 12, 2019 at 09:42AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন