কলকাতা, ০৮ অক্টোবর - বিয়ের পর মাথায় সিঁদু পরে সংসদে গিয়ে শপথ নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ এবং ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তারপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়। হিন্দু ছেলেকে বিয়ে, মাথায় সিঁদুর, গলায় মঙ্গলসূত্র- কোনোটাই ভালোভাবে নেয়া হয়নি। কিন্তু কোনোদিনই সেসব তোয়াক্কা করেননি নুসরাত। বিয়ের পর থেকে কখনও রথযাত্রা, কখনও রাখি সবকিছুতেই দেখা গেছে তাকে। চলতি বছর দুর্গা পূজায় অঞ্জলি দেওয়া নিয়ে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় বেশ কয়েকজন ইমাম বলেছেন, নুসরাতের মুসলিম থাকার কোনো দরকার নেই। বরং নিজের ধর্ম পাল্টে ফেলাই উচিত তার। দুর্গা পূজায় অংশ নিয়ে অঞ্জলি দেয়ায় নুসরাতের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা। ইমামদের দাবি, ইসলামের বদনাম করা হচ্ছে। তাদের মতে, আল্লাহ ছাড়া আর কারও সামনে প্রার্থণা করার অনুমতি ইসলাম দেয় না। কোনো মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্য ধর্মের হয়ে উপাসনা করতে পারেন না। সেটা করতে হলে তাকে ধর্মান্তরিত হতে হবে। ইমামদের এমন মন্তব্যের জবাবে সরব হয়েছেন তসলিমা নাসরিন। বিতর্কিত এই লেখিকা বরাবরই বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। এর আগেও নুসরাতের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে এবার নুসরাতকে সমর্থন করার পাশাপাশি তিনি খোঁচা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। তার হিজাব পরার নিয়েইই আক্রমণ করেছেন তসলিমা। এক টুইট বার্তায় তসলিমা লিখছেন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন অ-মুসলিম হয়ে অন্যান্য মুসলিমদের মত হিজাব পরেন ও আল্লার কাছে প্রার্থনা করেন তখন ইমামরা তাকে বলেন নিরপেক্ষ। আর নুসরাত জাহান যখন হিন্দু না হয়েও অন্যান্য হিন্দুদের মত পূজা মণ্ডপে গিয়ে প্রার্থনা করেন তখন তাকে ইমামরা বলেন অ-মুসলিম। অষ্টমীর সকালে শহরের একটি মণ্ডপে গিয়ে স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে একসঙ্গে অঞ্জলি দিতে দেখা গেছে নুসরাতকে। লাল-শাড়ি পরে ঢাকের তালে নাচ-গানও করেছেন তিনি। মুহূর্তেই সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। নুসরাত বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার জন্যই দুর্গার সামনে প্রার্থণা করেছি। এভাবেই আমি সব ধর্মের সঙ্গে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছি। এন এইচ, ০৮ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/322x5QU
October 08, 2019 at 09:27AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top