মুম্বাই, ১৯ নভেম্বর - বলিউডে তাকে বলা হয় চিরসবুজ নায়িকা। সৌন্দর্য্য, গ্ল্যামার আর আবেদনময়ী চাহনিতে তিনি কোটি কোটি পুরুষের অন্তর জয় করে রেখেছেন। সিনেমাতে তার উপস্থিতি দর্শকের জন্য সবসময়ই ছিলো বাড়তি উন্মাদনা। উমরাও জানসহ ক্যারিয়ারে অসংখ্য বিখ্যাত ও সুপারহিট সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন। রেখা নারীকেন্দ্রিক সিনেমায় অভিনয়ের জন্যও প্রসিদ্ধ। নিজের অবস্থান ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সবসময়ই সচেতন এই অভিনেত্রী। তবে রেখাকে প্রেমের নায়িকাও বলা হয়। তা সে হোক পর্দায় কিংবা পর্দার বাইরে। সত্তর দশক থেকে শুরু করে নব্বই দশকের শুরুর দিকে আসা অসংখ্য নায়কের বিপরীতে জুটি হয়ে কাজ করেছেন তিনি। অনস্ক্রিনের পাশাপাশি বলিউড ডিভা রেখা অফস্ক্রিনেও জড়িয়েছেন একাধিক সম্পর্কে। কখনো নায়ক তো কখনো ব্যবসায়ী। অমিতাভ বচ্চনের নামটি তার সঙ্গে বেশি বেশি উচ্চারিত হলেও রেখার প্রেমিকের তালিকা অনেক বড়। সেখানে অমিতাভের অবস্থান শেষদিকে। অনেকের সঙ্গেই রেখার প্রেমের খবর প্রকাশ হয়েছে বি টাউনে। আড়ালের তালিকা হয়তো কোনোদিন কেউ জানতেই পারবে না। বলা হয়ে থাকে পুরুষ মুগ্ধ করতে জুড়ি নেই রেখার। আর এজন্যই অন্যান্য নায়কের বউ বা প্রেমিকারা ভয়ে থাকতেন রেখাকে নিয়ে। সেই ভয়ের আঁচ লেগেছিলো ভারতের অনেক ব্যবসায়ী পরিবারেও। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্য জি নিউজ প্রকাশ করেছে একটি প্রতিবেদন। যেখানে রেখাকে ১১ জনের প্রেমিকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রথম জীবনে মেহবুব খানের ছেলে সাজিদ খানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রেখা। সাজিদ খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নভিন নিশ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় রেখার। শাওন ভাদো ছবির সেটেই নাকি নভিনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন রেখা। কিন্তু বিবাহিত নবিনের সঙ্গেও তার সম্পর্কে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আনজানা সফর ছবির সময় নাকি বিশ্বজিত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ান রেখা। সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি বেশিদিন। এক সময় বলিউডে প্লে বয় হিসেবে খ্যাত ছিলেন জিতেন্দ্র। ওই সময় রেখা তার সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ান। তাদের সেই রসায়ন বেশিদিন টেকেনি। জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সোনাক্ষী সিনহার বাবা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার প্রেমে পড়ে যান রেখা। দুজনের মধ্যে প্রথমে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এরপর কখন তা প্রেমে পরিণত হয়, কেউ বুঝতে পারেননি। যদিও সেই সম্পর্কও টেকেনি বেশিদিন। শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিনোদ মেহরার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রেখা। কিন্তু বিনোদ মেহরা তাদের সম্পর্কে শিলমোহর বসাননি। শোনা যায়, বিনোদ চোপড়ার মায়ের জন্য়ই নাকি তার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে য়ান রেখা। বিনোদ মেহরার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দেব আনন্দের ভাইপো যশ কোহলির সঙ্গেও রেখা সম্পর্কে জড়ান বলে শোনা যায়। যশের সঙ্গে রেখার বিয়ের গুঞ্জনও রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে সেই বিয়ে ভেঙে আলাদা হয়ে যান রেখা। যশ কোহলির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণ কুমারের সঙ্গে রেখার সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। শোনা যায়, কিরণ কুমারকে পছন্দ করতেন না রেখা। কিরণ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রেখা সম্পর্কে জড়ান বলে শোনা যায়। যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত জোর গুঞ্জন রয়েছে। যদিও অমিতাভ বা রেখা, কেউ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য় করেননি কখনও। তবে বলিউডে বরারবরই এই জুটি প্রেমের অনন্য যুগল হিসেবে পরিচিত ও সমাদৃত। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১৯৯০ সালে দিল্লির শিল্পপতি মুকেশ অগরওয়ালের সঙ্গে রেখার সম্পর্ক নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যেই আত্মহত্যা করেন মুকেশ। দিল্লির এই শিল্পপতির মৃত্যুর জন্য় রেখাকে দায়ী করেন অনেকে। রেখা এ নিয়ে কোনো কথাই বলেন না গণমাধ্যমে। শুধু তাই নয়, অক্ষয় কুমারের সঙ্গেও রেখার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। রাবিনা ট্যান্ডনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনই নাকি অক্ষয়কে বশ করেছিলেন রেখা। এক সময় রাবিনার মন্ত্রণায় সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন অক্ষয়। তবে এই প্রেমের ব্যাপারে কেউই কোনোদিন মুখ খুলেননি। বলা হয়ে থাকে এক জীবনে অনেকের সঙ্গেই মন দেয়া নেয়া করেছেন রেখা। কিন্তু কাউকেই আগলে রাখতে পারেননি। কখনো কেউ বিশ্বাস ভেঙে চলে গেছে। আবারও কখনো নিজেই প্রতারিত হচ্ছেন বুঝতে পেরে বেরিয়ে এসেছেন। এন এইচ, ১৯ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/37jemTZ
November 19, 2019 at 08:49AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top