ঘরের মাঠে ইউক্রেনিয়ান ক্লাব শাখতার দোনেতস্ককে ভালোই আতিথেয়তা দেবে ম্যানচেস্টার সিটি, এমনটাই ছিল সবার ধারণা; কিন্তু উল্টো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের কাছ থেকে জয়ই কেড়ে নিলো শাখতার। ১-১ গোলে ড্র করে ভাগাভাগি করে নিয়েছে পয়েন্ট। অন্যদিকে হোসে মরিনহোর অধীনে যেন উড়ছে আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার। নিজেদের মাঠে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে তারা। কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আগের ম্যাচেই উলভারহ্যাম্পটনের মাঠে গিয়ে ৩-২ গোলে শ্বাসরূদ্ধকর জয় পেয়েছিল টটেনহ্যাম। এবার পেলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। শাখতারের সঙ্গে ড্র করলেও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা থেমে থাকলো না। ৫ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। তবে দ্বিতীয় দল হিসেবে শাখতার এবং ডায়নামো জাগরেবের মধ্যে এখনও লড়াই রয়ে গেছে। দুদলেরই পয়েন্ট যথাক্রমে ৬ এবং ৫। ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে শাখতারের বিপক্ষে প্রথমার্ধে কোনো সুবিধাই করতে পারেনি ম্যানসিটি। গোলশূন্য শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের তালা খোলে ম্যানসিটির জার্মান তারকা ইলকায় গুন্ডোগান। ৫৬ মিনিটের সময় গুন্ডোগান এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। কিন্তু ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ইসরায়েলি পরিবর্তিত খেলোয়াড় ম্যানোর সলোমন গোল করে সমতায় ফেরান শাখতার দোনেতস্ককে। টটেনহ্যামও খেলেছে নিজেদের মাঠে। গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকসের বিপক্ষে মাঠে নেমে তারা ৪-২ গোলের জয়ই নয় শুধু, একই সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলাটাও নিশ্চিত করে নিয়েছে। যদিও এই গ্রুপে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। যারা একই রাতে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৬-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে রেখেছে। দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠলো টটেনহ্যাম। কোচ হোসে মরিনহোর এটা ছিল প্রথম হোম ম্যাচ। সেখানেই তার শীষ্যরা দারুণ এক জয় উপহার দিলো তাকে। যদিও প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। ঘরের মাঠে টটেনহ্যাম সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়েছিল অলিম্পিয়াকসের ইউসেফ এল আরাবি এবং রুবেন সেমেদো। ম্যাচের ৬ মিনিট যেতে না যেতেই গোল হজম করে বসে টটেনহ্যাম। ইউসেফ এল আরাবি গোল করেন এ সময়। ম্যাচের ১৯ মিনিটে আবারও গোল। এবারও গোল হজম করে বসে টটেনহ্যাম। রুবেন সেমেদোর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় অলিম্পিয়াকোস। অথচ প্রথমার্ধের পুরোটা প্রায় গোলই করতে পারছিল না টটেনহ্যাম। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে গিয়ে (৪৫+১) মিনিটে স্বাগতিকদের হয়ে প্রথম গোল করেন ডেলে আলি। শোধ হয় একটি গোল। দ্বিতীয়ার্ধে এসে জোড়া গোল করেন হ্যারি কেন। তার প্রথম গোলে সমতায় ফেরে হোসে মরিনহোর দল। ৫০ মিনিটে প্রথম গোল করেন তিনি। ৭৩ মিনিটে টটেনহ্যামকে সমতায় ফেরান সার্জি অরিয়ের। ৭৭ মিনিটে আবারও গোল করেন হ্যারি কেন। সে সঙ্গে অলিম্পিয়াকসের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকও ঠোকা হয়ে যায়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৭ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/35NFLvZ
November 27, 2019 at 08:49AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top