ঢাকা, ২৫ নভেম্বর - বলা হয়ে থাকে টেকনিক ও টেম্পরামেন্টে ঘাটতির কারণেই নাকি টাইগারদের এমন বেহাল অবস্থা। টেকনিক, টেম্পরামেন্ট আর জায়গামত সঠিক সময়ে সঠিক অ্যাপ্রোচ দেখাতে না পারার জন্যই কোয়ালিটি বোলিং সামলাতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের যত বিদেশি হেড কোচ ও ব্যাটিং কোচ এসেছেন, তাদের একজনও কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। কেউ বলেননি, তাদের (টাইগারদের) টেকনিক খুব খারাপ। টেকনিকে ঘাটতির কারণেই জায়গামত পারে না টাইগাররা। একই কথা শোনালেন এবার দেশি কোচ সালাউদ্দীনও। সারা বছর ঢাকা লিগ আর বিপিএলে দেশের প্রায় অর্ধশত ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করা সালাউদ্দীনেরও মনে হয় না টেকনিকে খুব বেশি সমস্যা। তার ব্যাখ্যা, টেকনিক্যালি আমি কাউকেই খুব খারাপ দেখি না। আমার মনে হয় না, কারোই টেকনিক খারাপ। বরং বয়সকে মানদন্ড ধরলে মনে হয় ছোট বয়সে সাকিব, তামিম, মুশফিক আর রিয়াদদের চেয়ে আমার মনে হয় বর্তমান সময়ের তরুণরা বরং ভাল অবস্থায় আছে। এদের ড্রিম কেন বড় হয় না? অনেক সুযোগ দেয়া হয়েছে। বেশ সুযোগ পেয়েছে। এতদিনের আরও কয়েকজনের পারফরমার হিসেবে সু-প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল। সালাউদ্দীনের মতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের টেকনিকে কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, এখন দল খারাপ খেলায়, স্কোর বোর্ড জীর্ন-শীর্ন দেখে মনে হচ্ছে, আমাদের টেকনিকে খুব সমস্যা। আসলে এমন কন্ডিশনে অনভ্যস্ততার কারণেই সেটা খুব মনে হচ্ছে। আসলে তত সমস্যা নেই। এমন উইকেট আর হাই কোয়ালিটি বোলিং মোকাবিলার অভ্যাস কম বলেই বেশি দুর্বল ও জীর্ন মনে হয়েছে। তাই বলে যে টেকনিকে কোনোই সমস্যা বা ঘাটতি নেই- তা মানতেও রাজি নন সালাউদ্দীন। তিনি বলেন, হয়তো সামান্য কিছু সমস্যা আছে। তবে সেগুলো খুব বড় নয়। আর টেকনিক ঠিক করা, শুধরে নেয়া খুব বড় ব্যাপার না। সেটা ঠিক করার প্রচুর সময় মেলে। খেলার আগের দিনও টেকনিক শুধরে নেয়া যায়। তাহলে আসল সমস্যা কি? সালাউদ্দীনের অনুভব, মানসিক দৃঢ়তার অভাব আছে। তাই তোর দেশের অন্যতম সেরা এই কোচের কন্ঠে জোর তাগিদ, মেন্টাল টাফনেস বাড়াতে হবে। ক্রিকেটারদের আরও মানসিক দৃঢ়তার দরকার আছে। সেটা শুধু জাতীয় দলের কোচিংয়ে মানসিক ভাবে সবল ও দৃঢ় করা সম্ভব নয়। মেন্টাল টাফনেস পারিপার্শিক অবস্থা থেকে আসে। এটা ছেলেবেলা থেকে রপ্ত করতে হয়। ছোট বেলার অভ্যাস। ছোট বেলা থেকেই মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে হয়। সেটা হুট করে আসে না। আমি রিচার্ড ম্যাককিন্সকে দেখেছি সকাল ১১টায় নাস্তার পর কড়া রোদে বিকেএসপিতে অনেকক্ষণ রানিং করিয়েছেন। তাতে করে তারা ফিজিক্যালিই শুধু ফিট হয়নি। মেন্টালিও টাফ হয়েছে। মেন্টালি টাফ না হতে পারলে উপরে ওঠা কঠিন। মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর জোর তাগিদ দিয়ে কোচ সালাউদ্দিন বলেন, মোটা দাগে আসল সমস্যা হলো জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সেই ছোট বেলা থেকে আরও মেন্টালি টাফ করে বড় করতে হবে। তাদের ছোট বেলা থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন্য ভালভাবে তৈরি করতে হবে। ক্রিকেটারদের শুধু ফিটনেস উন্নত এবং শুদ্ধ টেকনিকই শেষ কথা নয়। জায়গামত পারফরম করার জন্য মানসিক দৃঢ়তা খুব দরকার। আপনার ফিটনেস আছে। টেকনিকও ভাল; কিন্তু মনের জোর নেই, বা থাকলেও কম। তাহলে জায়গামত পারফরম করা সম্ভব হবে না। কঠিন হবে। তাই শুধু টেকনিক শিখালেই হবে না। মানসিকভাবেও অনেক দৃঢ় হয়ে বেড়ে ওঠা জরুরি। তখন এই বড় মঞ্চে গিয়েও দেখবেন নার্ভাস হবেনা। ঠিকই নিজেকে মেলে ধরতে পারবে। সালাউদ্দীনের শেষ পরামর্শ, জাতীয় দলে খেলার আগে তরুণ ক্রিকেটারদের যথাযতভাবে তৈরি করে এবং মনের দিক থেকে আরও শক্ত ও কঠিন হিসেবে গড়ে তোলার এখনই সময়। তাহলে যারা জাতীয় দলে ঢুকবে তাদের জন্য আর এত সমস্যা হবে না। সুত্র : জাগোনিউজ এন এ/ ২৫ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/37Dmaju
November 25, 2019 at 01:28PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন