অকল্যান্ড, ১০ নভেম্বর- ক্যারিয়ারে হয়তো কখনোই লর্ডসের সেই ফাইনাল ম্যাচের কথা ভুলতে পারবেন না নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপ জেতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও সুপার ওভারের অদ্ভুত নিয়মের কাছে হার মেনে শিরোপা খুইয়েছিল কিউইরা। এবার যেন ঘরের মাঠে সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সেই ফাইনাল ম্যাচের পুনরাবৃত্তি দেখলেন টিম সাউদি, মার্টিন গাপটিলরা। নিয়তির কী খেল! এবারেও জয়ী দলের নাম ইংল্যান্ড। ইতিহাসের প্রথম পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সমাপ্তিটা হয়েছে দুর্দান্ত। যেখানে শেয়ানে শেয়ানে লড়েছে দুই দল। ফলে টাই হয় মূল ম্যাচ। পরে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ বাগিয়ে নিয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড। বৃষ্টির বাধায় ম্যাচটি নেমে ১১ ওভার প্রতি ইনিংসে। অকল্যান্ডের মাঠের অতীত ইতিহাস ধরে রেখে দুই দলই খেলে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। দুই দলই নিজেদের এগারো ওভার থেকে করে সমান ১৪৬ রান। যার ফলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। যেখানে ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করে ১৬ রান তোলে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড থেমে যায় মাত্র ৮ রানে। ২২ ওভারের মূল ম্যাচে বাউন্ডারি হয়েছে মোট ৪১টি। দুই দল মিলে ছক্কা হাঁকিয়েছে ২৭টি, চার হয়েছে ১৪টি। লর্ডসের ফাইনালে বাউন্ডারি সংখ্যায় পিছিয়ে থাকলেও, এ ম্যাচে ১৪টি ছক্কা ও ৭টি চার মেরে এগিয়ে ছিলো কিউইরাই। ইংলিশদের ব্যাট হতে আসে ১৩ ছক্কার সঙ্গে ৭ চারের মার। আগে ব্যাট করতে নামা কিউইদের পক্ষে প্রথম ৬ ওভারেই ৮৮ রান তুলে দেন দুই ওপেনার মার্টিল গাপটিল ও কলিন মুনরো। মাত্র ২০ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ের মারে ৫০ রান করেন গাপটিল। অল্পের জন্য ফিফটি মিস করেন মুনরো। তার ব্যাট হতে আসে ২ চার ও ৪ ছয়ের মারে ২১ বলে ৪৬ রান। এ ইনিংসের মাধ্যমে ইতিহাসের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেন মুনরো। দুই ওপেনারের তান্ডবের পর নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৪৬ পর্যন্ত যাওয়ার কৃতিত্ব উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টিম সেইফার্টের। মাত্র ১৬ বলের ইনিংসে ১টি চারের সঙ্গে ৫টি বিশাল ছক্কা হাঁকান এ ডানহাতি তরুণ, করেন ৩৯ রান। ইংল্যান্ডের সামনে ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে ১২ করে ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই টম ব্যান্টনের উইকেট হারায় ইংলিশরা। পরের ওভারেই ফিরে যান জেমস ভিনসও। তবে আশা হারাননি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো। তিনি খেলেন ২ চার ও ৫ ছয়ের মারে ১৮ বলে ৪৭ রানের টর্ণেডো ইনিংস। তাকে সঙ্গ দেন ইয়ন মরগ্যান (৭ বলে ১৭), স্যাম কুরান (১১ বলে ২৪) ও ক্রিস জর্ডানরা (৩ বলে ১২)। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ১৬ রান। যার শেষ ৩ বলে পরিণত হয় ১৩ রানে। তখনই একটি করে চার-ছয় মেরে ১২ রান তোলেন জর্ডান। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ইংল্যান্ডের পক্ষে সুপার ওভারে খেলতে নামেন ইয়ন মরগ্যান ও জনি বেয়ারস্টো। সুপার ওভারে বল হাতে তুলে নেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। তাকে ১টি করে ছক্কা হাঁকান মরগ্যান ও বেয়ারস্টো। ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭ রানের। মূল ম্যাচের শেষ ওভারের শেষ ৩ বলে ১২ রান নিয়ে ম্যাচটি সুপার ওভারে নেয়া ক্রিস জর্ডানই বল হাতে নেন ইংলিশদের ম্যাচ জেতাতে। পুরো ওভারে তিনি হজম করেন মাত্র ১টি চার, আউট করেন সেইফার্টকে এবং খরচ করেন মাত্র ৮ রান। যার সুবাদে ৯ রানের জয় সিরিজ নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১০ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2X472qO
November 10, 2019 at 08:25AM
10 Nov 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top