ঢাকা, ২৪ নভেম্বর - ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা তিনি। তার অভিনীত বেদের মেয়ে জোসনা সর্বোচ্চ আয়ের সিনেমা হিসেবে ইতিহাস হয়ে আছে ইন্ডাস্ট্রিতে। সেই ছবির গল্প আজও মানুষকে লোকজ প্রেম-অনুভূতিতে নাড়া দেয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য কালজয়ী ও সুপারহিট সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন। কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসার পাশাপাশি জয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক স্বীকৃতি ও সম্মাননা। সাংগঠনিকভাবেও তিনি জড়িয়ে আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিল্পী সমিতির সঙ্গে। সর্বশেষ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে শৃঙ্খলা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। ১৯৯৩ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী জাহানারার মৃত্যুর পর থেকে তিনি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এই সামাজিক আন্দোলনকে তিনি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন। দেশবাসীকে করেছেন সচেতন। রাষ্ট্রকে দিয়েছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। সেই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র তাকে একুশে পদকে সম্মানিত করেছে। অভিনয়, ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব; এসব গুণাবলী ইলিয়াস কাঞ্চনকে চলচ্চিত্রপাড়ায় করেছে নন্দিত। এমন প্রিয় ব্যক্তিত্বের উপর পরিবহন শ্রমিকদের নোংরা ভাষায় অপমান ও হামলার হুমকিতে ক্ষেপেছেন চলচ্চিত্রের মানুষেরা। ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাতে মাঠে নামছেন তারা সাংগঠনিকভাবেই। আগামীকাল দুপুর ১২টায় এফডিসির গেটের সামনে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন। আজ শনিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন। মানববন্ধনের ডাক দেয়া ১৮ সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী, নৃত্যশিল্পী, চিত্রগাহক, ফাইট ডিরেক্টর, সহকারী পরিচালকদের সমিতিগুলো। চলচ্চিত্র পরিচালকদের নেতা খোকন বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পের সকল সংগঠনের পক্ষ থেকে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাই। সেইসঙ্গে জনস্বার্থে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই আমরা। এই প্রেক্ষিতেই কাল আমরা সবাই একসঙ্গে মাঠে নামবো। তিনি আরও বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন একজন সুপারস্টার। স্ত্রী হারিয়ে শোকে গুটিয়ে যাননি। সব ভুলে গিয়ে তিনিও নিজের সোনালী জীবন নিয়ে ব্যস্ত হতে পারতেন। কিন্তু বিশাল মানবিক হৃদয় তাকে অন্যের প্রিয়জন বাঁচানোর দায়িত্বে মনযোগী করে তুলেছে। দীর্ঘ ২৭ বছর একা একা লড়াই করে চলেছেন তিনি দেশের মানুষের নিরাপদ জীবনের জন্য। তার প্রতি অপমান মেনে নেয়া যায় না! কাঞ্চন সাহেব রাষ্ট্রকে সুপারিশ করেছেন কী কী নিয়ম ও আইন করতে পারলে দেশের সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বা সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামবে। সরকার সেই আইন বাস্তবায়ন করবে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে। এখানে ইলিয়াস কাঞ্চনকে কেন অশালীন ভাষায় গালি দেয়া হচ্ছে। তার ছবিতে কুরুচিপূর্ণ কথা লেখা হচ্ছে। এটা অন্যায়। যারা করছেন তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা ও প্রতিবাদ। ইলিয়াস কাঞ্চন আগে ছিলেন সিনেমার একজন সুপারস্টার। তিনি এখন দেশ ও দশের কাছে সুপারম্যানে পরিণত হয়েছেন। সব শ্রেণি পেশার মানুষ তাকে সম্মান করে, ভবিষ্যতেও করবে। কিন্তু যারা তাকে সম্মান দেখাতে পারছে না তারা অভাগা। এন এইচ, ২৪ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/34i0JT1
November 24, 2019 at 11:59AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন