নয়াদিল্লী, ০৫ নভেম্বর - ক্রিকেটকে যুগপযোগি এবং আধুনিক করতে চিন্তা-ভাবনা কিংবা পরিকল্পনার কোনো অন্ত নেই। যার সর্বশেষ সংযোজন ছিল কনকাশন পদ্ধতি। একজনের পরিবর্তে আরেকজনের ব্যাটিং করার সুযোগ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এই নিয়ম প্রচলিত হয়েছে। তবে এবার সম্পূর্ণ নতুন এক নিয়মের প্রবর্তন করতে যাচ্ছে ভারতীয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল। ফুটবলের মতো খেলার মধ্যেই খেলোয়াড় পরিবর্তনের নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে তারা। এমনিতেই আইপিএল দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ধরনের বিপ্লব তৈরি করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সেই আইপিএলই এবার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তটা নিতে যাচ্ছে। সফলভাবে এই নিয়ম চালু করা গেলে, নিশ্চিত তা হবে ক্রিকেটে এক অবিস্মরণীয় এবং বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। আইপিএল এই খেলোয়াড় পরিবর্তনকে নাম রাখছে, পাওয়ার প্লেয়ার হিসেবে। আইপিএলের ভাষায় কি এই পাওয়ার প্লেয়ার? জানা গেছে, চূড়ান্ত এগারো জন ক্রিকেটার নয়, ম্যাচ শুরুর আগে একটা দল ১৫ জনের নাম ঘোষণা করবে। এরপর যে কোনো সময়ে উইকেট পড়লে বা ওভারের শেষে এক জনের বিকল্প হিসেবে পনেরো জনের মধ্যে বাইরে থাকা কোনও ক্রিকেটারকে নামিয়ে দেওয়া যাবে। ভারতীয় সংবাদসংস্থাকে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা এমন একটি পরিস্থিতির কথা বলছি, যেখানে কোনো দল চূড়ান্ত এগারো ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করবে না। তার বদলে ১৫ জনকে তৈরি রাখবে। সেই ১৫ জনের মধ্যে থেকে কাউকে প্রয়োজনের সময় মাঠে নামিয়ে দেওয়া হবে। কিভাবে এই পাওয়ার প্লেয়ার একটা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে, তাও উদাহরণ দিয়ে বলেছেন বিসিসিআইর ওই কর্মকর্তা। তার কথায়, মনে করুন, শেষ ওভারে কোনো দলকে ২০ রান তুলতে হবে। আর ডাগ আউটে আন্দ্রে রাসেলের মতো কেউ বসে আছে। যে পুরো সুস্থ না থাকায় প্রথম এগারোয় ছিল না। এবার রাসেলকে ওই অবস্থায় নামিয়ে দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। আবার ধরুন, শেষ ওভারে প্রতিপক্ষের দরকার ছয় রান। যশপ্রিত বুমরার মতো কোনও বোলার বাইরে রয়েছে। তখন কি করবে সেই ফিল্ডিং দলের অধিনায়ক? সোজা বুমরাকে মাঠে নামিয়ে দেবে। এই নিয়মটা চালু হলে সেটা একটা দারুণ সিদ্ধান্ত হবে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিসিসিআইর ভেতরে। প্রাথমিকভাবে এই প্রস্তাবে স্বীকৃতিও দিয়েছে বোর্ড। এবার আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে। বিসিসিআইয়ের ধারণা, এই নতুন নিয়ম চালু হলে আমূল বদলে যাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। আরও জনপ্রিয় হবে আইপিএলও। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের জুলাই মাসে আইসিসি সুপার সাব নিয়ম চালু করেছিল। সেই নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনো একজন ক্রিকেটারকে সুপার সাব ক্রিকেটার দিয়ে বদলে দেওয়া যেত। অর্থাৎ, কোনও দল প্রথমে ব্যাট করলে একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান খেলাতে পারত। বল করার সময়, ওই ব্যাটসম্যানটিকে অতিরিক্ত বোলার দিয়ে বদলে দেওয়া যেত। সেভাবেই, আগে বল করলে একজন অতিরিক্ত বোলার খেলানো যেত, এবং ব্যাটসম্যানকে ব্যবহার করা যেত সুপার সাব হিসেবে। পরে আইসিসি সেই নিয়ম বাতিল করে। অনেকটা সুপার সাবের ধাঁচেই, আইপিএলে চালু হতে পারে পাওয়ার প্লেয়ার। তবে সুপার সাব আর পাওয়ার প্লেয়ারের পার্থক্য হল, সুপার সাবের ক্ষেত্রে আগে থেকে সুপার সাবের নাম ঘোষণা করতে হত, এবং তাকেই নামানো যেত। পাওয়ার প্লেয়ারের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট একজনের নাম ঘোষণা করতে হবে না এবং প্রয়োজনমতো প্রথম পনেরো জনের মধ্যে থাকা যে কোনও একজন ক্রিকেটারকে নামানো যাবে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৫ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/34wkgik
November 05, 2019 at 06:29AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top