ঢাকা, ৩০ নভেম্বর- বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসরের মাঠের লড়াই শুরু হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর। এর আগে ৮ ডিসেম্বর এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবার বিশেষ বিপিএলের আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সে কারণে টুর্নামেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এরই মধ্যে টুর্নামেন্টের দলগুলো প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার দলে নিয়েছে। ড্রাফটের বাইরে থেকে দুজন বিদেশি খেলোয়াড় নেওয়ার সুযোগও কাজে লাগাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির দল গোছানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। কয়েক দিন পরই টুর্নামেন্টের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলনে নামবে দলগুলো। অবশ্য এরই মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজেদের তৈরি করে নিচ্ছেন তামিম-মুমিনুলরা। এবার হচ্ছে বিপিএলের সপ্তম আসর। এই বিশেষ আসরে অনেক ক্ষেত্রেই নতুনত্ব এসেছে। আগের আসরের মতো ৭টি দল অংশ নিলেও তাদের নামে পরিবর্তন এসেছে। ৭টি দলের নতুন নাম হলো- ঢাকা প্লাটুন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, রাজশাহী রয়্যালস, সিলেট থান্ডার্স, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, রংপুর রেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স। আগের আসরের মতো এবার ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা অন্যদের হাতে স্বতন্ত্র থাকছে না। ৭টি দলই বিসিবির সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। রংপুর ও কুমিল্লার মালিকানা শতভাগ থাকছে বিসিবির হাতেই। বাকি পাঁচটি দলের জন্য পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান থাকলেও দলগুলোকে দিকনির্দেশনা দেবে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনায় থাকছেন বিসিবির পরিচালকরা। ঢাকা প্লাটুনে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে জালাল ইউনুস, রাজশাহী রয়্যালসে এনায়েত হোসেন সিরাজ, সিলেট থান্ডার্সে তানজিল চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জার্সে আকরাম খান, খুলনা টাইগার্সে খালেদ মাহমুদ সুজন ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের পরিচালনায় থাকছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। আগের আসরগুলোতে এমনটা ছিল না। এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনও বিপিএলে দায়িত্ব পালন করবেন। নান্নু কুমিল্লার এবং রংপুরের পরামর্শক হিসেবে থাকবেন সুমন। এবার স্থানীয় কোচের মধ্যে রয়েছেন শুধু মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি ঢাকা প্লাটুনের দায়িত্বে আছেন। বাকি দলগুলোর কোচিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন বিদেশি কোচরা। যেমন- কুমিল্লায় ওটিস গিবসন, চট্টগ্রামে কবির আলি, রংপুরে গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার। অন্যদিকে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে প্রযুক্তির ব্যবহারে নতুনত্ব এসেছিল। এবারও নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়া থাকবে। টেলিভিশন সম্প্রচারের মান বাড়াতে ব্যবহার করা হবে ৩৫টি ক্যামেরা। যেগুলো ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ দিতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া উন্নতমানের এলইডি স্টাম্প, জিং বেল, ড্রোন ও স্পাইডার ক্যাম থাকবে। গত বিপিএলে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু তা বিতর্কেরও জন্ম দেয়। তবে এবার দুটি করে আলট্রামোশন ক্যামেরা থাকবে। তাতে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় পড়তে হবে না। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শহিদ আফ্রিদির মতো তারকা ক্রিকেটাররা টুর্নামেন্টের আমেজ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার বিদেশি তারকারা কতটা টুর্নামেন্টের জৌলুস ছড়াতে পারেন, তা দেখার বিষয়। কেননা এরই মধ্যে ক্রিস গেইলকে ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিপিএলের তার খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা সাকিব আল হাসান নেই। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। আর/০৮:১৪/৩০ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2L9bBv3
November 30, 2019 at 05:04AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন