নয়া দিল্লী, ০২ নভেম্বর- সবার জানা, সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতেই ভারত সফর থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। আর ক্রিকেট জুয়ারিদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন রাখায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বলার অপেক্ষা রাখেনা, শুধু পঞ্চ পান্ডবের দুই অন্যতম সদস্য বলেই নন, তামিম-সাকিব টিম বাংলাদেশের অন্যতম চালিকাশক্তি। তামিম ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ, প্রধান নির্ভরতা। আর সব্যসাচি সাকিব তো রীতিমত প্রাণভোমরা। কিন্তু কঠিন সত্য হলো এ দুই শীর্ষ তারকা, অপরিহার্য ক্রিকেটারকে ছাড়াই ভারতের বিপক্ষে পুরো সিরিজ খেলতে হবে বাংলাদেশ দলকে। সফরের প্রথম অংশে রয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কাল ৩ নভেম্বর রোববার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রথম ম্যাচ। এ ম্যাচের আগে ভক্ত ও সমর্থকদের মনে ঘুরে ফিরে দুটি প্রশ্ন- আচ্ছা, দলের প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসান আর দেশের এক নম্বর ওপেনার তামিম ইকবাল ছাড়া টিম বাংলাদেশ শেষ কবে কোথায় কার বিপক্ষে কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে? আর তাদের ছাড়া ম্যাচগুলোর ফলই বা কি? ইতিহাস ও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, সাকিব-তামিম দুইজনকে ছাড়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত খেলেছে ৩ টি ম্যাচ। যার একটিতেও জয়ের দেখা মেলেনি। হেরেছে সবগুলোতেই। প্রথমটি আজ থেকে ৬ বছর আগে, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ১৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়টি একই বছর মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, হার ১৫ রানের। আর সবশেষ ২০১৮ সালে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটের পরাজয়। তার মানে পরিসংখ্যান জানিয়ে দিচ্ছে সাকিব আর তামিম ছাড়া মাঠে নামা মানেই শক্তি কমে যাওয়া। আর ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে খেলতে নেমে হেরে যাওয়া। আর এবার মানে কালকের প্রতিপক্ষ ভারত আরও সমৃদ্ধ। আরও কঠিন। কেউ কেউ বলছেন, ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি নেই। খানিক স্বস্তি। তাতে কি? বাকিরা তো প্রায় সবাই আছেন। আর ভারতের মাটিতে ভারতের এ দলও অনেক শক্তিশালী। বিপজ্জনক। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে যে দলটি আছে, সেটিও কম শক্তিশালী নয়। কাজেই সাকিব ও তামিমকে ছাড়া ভারতীয়দের সাথে পেরে ওঠা কঠিনই হবে। এটা সত্যি যে, তামিম আর সাকিব দলে না থাকার অর্থ ক্রিকেটারদের মনোবল কমে যাওয়া। আস্থা ও আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি। তবে নিজেদের মেধা-সামর্থ্যর প্রতি বিশ্বাস রেখে খেলতে পারলে সাকিব-তামিমের অনুপস্থিতিতেও ভালো খেলা সম্ভব। কারণ ভারতের বিপক্ষে ঐ দুই নামি তারকার টি-টোয়েন্টি পারফরমেন্স মোটেই আহামরি নয়। বরং তাদের মানের তুলনায় রীতিমত খারাপ। ওয়ানডে রেকর্ডটা বেশ ভালো হলেও ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তামিম ইকবালের পরিসংখ্যান বেশ খারাপ। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে ভারতের সাথে ৭ বার খেলে তামিম রান করেছেন সাকুল্যে ১২৬। একটি হাফ সেঞ্চুরিও নেই। একবার চল্লিশের ঘরেও যেতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৫। গড় মাত্র ১৮ আর স্ট্রাইকরেট ১০৭.৬৯। একই অবস্থা সাকিবেরও। টি-টোয়েন্টির এ স্পেশালিস্ট অলরাউন্ডারের ভারতের সঙ্গে এখন পর্যন্ত ৬ খেলায় সংগ্রহ ৬২ রান। সর্বোচ্চ ২২। গড় ১০.৬৩। স্ট্রাইকরেট ১০৬.৮৯। বল হাতেও যেন অন্য এক সাকিব। ৬ খেলায় ৪ উইকেট। সেরা বোলিং ১/১৫। ওভার পিছু খরচা করেছেন ৬.৭৬। বলার অপেক্ষা রাখেনা, এ দুজন অন্য দলের বিপক্ষে অনেক বেশি উজ্জ্বল। ভারতের সঙ্গে মোটেই তেমন নয়। যদি এই উপলব্ধিটা দলের বাকি সতীর্থদের মধ্যে থাকে, মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারেন, তবে সাকিব-তামিমের অভাববোধ কমই হওয়ার কথা। আর যদি উল্টো হয়। সাকিব আর তামিমের মতো বড় দুই তারকা নেই, ভারতের বিপক্ষে কিভাবে পারব? এমন মানসিকতা যদি জেঁকে বসে, তাহলেই বিপদ। হারার আগেই হেরে গেলে তো চলবে না! যা আছে তা নিয়েই সেরা লড়াইটা করতে হবে। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/০৮:১৪/০২ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2oBtYka
November 02, 2019 at 07:41PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন