এক ম্যাচে ঘটনাটা সীমাবদ্ধ থাকলে কথা ছিল। টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও মাঝপথে এসে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ মাওরিসিও সারি। কিন্তু এসি মিলানের বিপক্ষে ম্যাচের ৫৫ মিনিটে মাঠ থেকে তুলে নেয়াটাকে ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি রোনালদো। যার ফলে দেখিয়েছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। মাঠ থেকে যখন রোনালদোকে তুলে কোচ সারি নামান পাওলো দিবালাকে, তখন সিআর সেভেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে সাইড বেঞ্চে না বসে সোজা চলে যান ড্রেসিং রুমে এবং সেখান থেকে সোজা বাসায়। সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকলো না বিষয়টা। সিআর সেভেন সোজা উড়াল দিলেন নিজ দেশ পর্তুগালের উদ্দেশ্যে। সেখানে তিনি যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও লোকোমোটিভ মস্কোর বিপক্ষে ম্যাচে রোনালদোকে মাঝপথে তুলে নেন কোচ সারি। তিনি মাঠে নামান পাওলো দিবালাকে। ম্যাচ শেষে সারি যদিও যুক্তি তুলে ধরে বলেন, আমি অনুভব করেছি, রোনালদো বাঁ-পায়ের গোড়ালিতে একটু টান লেগেছে। এ কারণেই তাকে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছি। লোকোমোটিভ মস্কোর বিপক্ষে রোনালদোকে তুলে নেয়ার পর ইনজুরি সময়ের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস। রোববার রাতেও ম্যাচের ৫৫ মিনিটে সিআর সেভেনকে তুলে মাঠে নামান পাওলো দিবালাকে। তার গোলেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভরা। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে রোনালদোকে যখন তুলে নিচ্ছেন কোচ সারি, তখন তাকে হাত ছুড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। দিবালার সঙ্গে আলতো করে হাত মেলান মাঠ ছাড়ার সময়। এরপর কটমট দৃষ্টিতে সারির দিকে তাকিয়ে ছিলেন কিছুটা সময়। মুখও নড়তে দেখা যায় তার। তবে কিছু বলেছেন কি না শোনা যায়নি। এরপরই রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে না হেঁটে সোজা চলে যান টানেলে। সেই সময় জুভ সমর্থকরাও ব্যঙ্গ করে তাকে লক্ষ্য করে। ড্রেসিংরুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান স্টেডিয়াম ছেড়ে। ম্যাচ শেষ হতে তখনও মিনিট তিনেক বাকি। এর মানে, দিবালা ৭৭ মিনিটে যে গোলটি করেছেন, তা না দেখলেও জেনে গিয়েছিলেন সিআরসেভেন। ইতালির স্কাই টিভি এই রিপোর্ট প্রকাশ করে। এটুকুতেই শেষ নয়। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও রবিবার পর্তুগালের ইউরো কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ আছে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচ পর্তুগালের ঘরের মাঠে লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ খেলতে রোনাল্দো নাকি রোববার রাতেই তুরিন ছেড়ে পর্তুগালের দিকে পাড়ি দিয়েছেন। রোনালদোর এই আচরণে বিরক্ত হয়ে তাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন সাবেক ইংল্যান্ড ও রিয়াল মাদ্রিদ কোচ ফাবিও ক্যাপেলো। ইতালিয়ান এই কোচের বক্তব্য হচ্ছে, ক্রিস্তিয়ানো অবশ্যই বড় চ্যাম্পিয়ন; কিন্তু গত তিন বছরে একজনকেও ড্রিবল করে বেরোতে পারেনি। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে রোনালেদো মোটেই ভালো ফর্মে নেই। তাই ওকে পরিবর্তন করা খুব স্বাভাবিক। এ জন্য সারিকে সাহসী হতে হবে না। ক্রিস্তিয়ানো যে কোচের সঙ্গে তর্ক করেছে, রিজার্ভে বেঞ্চে বসেনি, সেটা খুব খারাপ। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১২ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/36Vw3Ji
November 12, 2019 at 07:12AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন