ইন্দোর, ১২ নভেম্বর- রোববার রাতে নাগপুরে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ওই ম্যাচ শেষ হওয়ার দুদিন আগেই নাড়পুরে গিয়ে পৌঁছান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকসহ টেস্ট স্পেশালিস্ট ৮ জন ক্রিকেটার। তারাসহ গতকাল সোমবার নাগপুর থেকে ইন্দোরে উড়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজই হয়তো সাদা পোশাকের ক্রিকেটের জন্য অনুশীলন শুরু করবে টাইগার ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টির কারণে ব্যস্ততা থাকলেও ভারতের টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা কিন্তু আরও দুইদিন আগে থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন। ব্যাঙ্গালুরুর ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে টেস্ট দলের বাকি ক্রিকেটাররা (টি-টোয়েন্টির বাইরে থাকা) যেন-তেনভাবে কিন্তু প্রস্তুতি নিচ্ছেন না। গোলাপি বলে খেলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। প্রসঙ্গতঃ এর আগে ফ্লাডলাইটের আলোয় গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও ভারতীয় ক্রিকেট দল নিজ দেশের মাটিতে এই অভিজ্ঞতা এখনও পর্যন্ত নেয়নি। যার ফলে ২২ নভেম্বর থেকে ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটিকে সামনে রেখে এখনই গোলাপি বলে অনুশীলন করে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তার আগেই কিন্তু ইন্দোরে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আজ এবং আগামীকাল অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ইন্দোর থেকেই যাত্রা শুরু হবে ভারতের। অথচ আরো দুইদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। ইডেন গার্ডেন্সে গোলাপি বল ব্যবহার করা হবে এসজি কোম্পানির। যে কারণে ভারতীয়দের জন্যও এটা হবে নতুন অভিজ্ঞতা। অনভিজ্ঞতাই যেন বড় সমস্যা হয়ে না দাঁড়ায়, সে জন্য আগে থেকেই এসজির গোলাপি বলে অনুশীলন করে যাচ্ছে ভারতীয়রা। লাল বল আর গোলাপি বল- খেলার মাঠে কি ধরনের পার্থক্য তৈরি করবে? ভারতীয় টেস্ট দলের সিনিয়র সদস্য চেতেশ্বর পুজারা অবশ্য খুব বেশি যে সমস্যা হবে না- সেটাই বললেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয় না, লাল বলের সঙ্গে গোলাপি বলের বিশেষ পার্থক্য হবে। আমি অবশ্য এস জির গোলাপি বলে খেলিনি। তাই জোর দিয়ে কিছু বলছি না। তবে মনে হয় না, লাল এসজি বলের সঙ্গে গোলাপি এসজি বলের বিশেষ পার্থক্য হবে। ভারতে এখন এসজি বলের মান অনেক ভাল হয়েছে। ২০১৬ মৌসুমে, দলিপ ট্রফি গোলাপি বলে খেলা হয়েছিল। যেখানে দুটি সেঞ্চুরিসহ সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন পুজারাই (৪৫৩)। এর মধ্যে ছিল অপরাজিত ২৫৬ রানের ইনিংসও; কিন্তু সেই প্রতিযোগিতামূলক খেলা হয়েছিল কোকাবুরা বলে। ভারতে ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত কোকাবুরার গোলাপি বলই ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলা হবে এসজি বলে। পুজারা মনে করেন, দিবা-রাত্রির টেস্টে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হতে পারে সন্ধ্যার সময় গোলাপি বলে ব্যাট করা। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে ঠিক সন্ধ্যা হওয়ার সময় গোলাপি বলে ব্যাট করাটা সমস্যার হয়ে যায়। কী করলে সেই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব, তাও বলেছেন পুজারা। তার মন্তব্য, ঠিক ওই সময়টা (সন্ধ্যা) গোলাপি বলে ব্যাটিং অনুশীলন করতে হবে। কয়েকবার ওই ভাবে অনুশীলন করতে পারলে ম্যাচে মনে হয় সমস্যায় পড়তে হবে না। আমি এখন সুযোগ পেলেই গোলাপি বলে অনুশীলন করে যাব। বিসিসিআই সূত্র ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ইন্দোরেই ক্রিকেটারদের কাছে গোলাপি বল পৌঁছে দেবে তারা। যদিও এখানে ম্যাচ হবে শুধু দিনের আলোয়। তবুও অনুশীলনের সুবিধার্থে গোলাপি বল পাচ্ছে ক্রিকেটাররা। এর অর্থ মুমিনুল হকরাও গোলাপি বলে অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছেন ইন্দোরেই। কিন্তু কবে তারা গোলাপি বলে অনুশীলন শুরু করবে? চেতেশ্বর পুজারা, মোহাম্মদ শামিরা অবশ্য আগে থেকেই ইন্দোরে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পুজারাই বেশি অভিজ্ঞ গোলাপি বলে খেলার ব্যাপারে। ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলে খেলে সফল হয়েছেন। এতে কি টেস্টে সুবিধে হবে? পুজারার জবাব, আমি বছর তিনেক আগে গোলাপি বলে খেলেছি। অনেক দিন আগের কথা। এটাকে বাড়তি সুবিধা বলে ধরা যাবে না। তবে এটা বলব, অভিজ্ঞতাটা আমার কাজে লাগবে। গোলাপি বলে খেলার ফলে একটা ধারণা করা যাবে, টেস্টে কী হতে পারে। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১২ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NFJO7b
November 12, 2019 at 05:14AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন