ঢাকা, ০১ নভেম্বর- সাকিব আল হাসানকে নিষেধাজ্ঞার সাজা দিয়ে আইসিসির পাঠানো ই-মেইলে বলা হয়েছে, সাকিবের পরিচিত কেউ জুয়াড়ি দীপক আগরওয়ালকে বাংলাদেশি বেশ কিছু ক্রিকেটারের ফোন নম্বর দিয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যক্তিটি কে? তার পরিচয় প্রকাশ করেনি আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট (এসিইউ)। বিসিবির পরবর্তী সভায় সেই ফোন নম্বর দেওয়া ব্যক্তিটির পরিচয় আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাওয়া যায় কি-না, তা নিয়েও নাকি কথা হবে। তবে আইসিসি সেই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করবে কি-না তা নিয়েও সন্দেহ আছে। কেননা আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট স্বাধীন একটি সংস্থা। তদন্তের স্বার্থে তারা অনেক কিছু আইসিসির কাছেও প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। তাই সাকিবের নির্বাসন কমিয়ে আনার ব্যাপারে আইসিসি কিংবা বিসিবির করণীয় আসলেই খুব সীমিত। তার পরও সরকারের উচ্চমহল থেকে বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে বলা হয়েছে, যদি শাস্তি কমানোর ব্যাপারে সামান্যতম কোনো সুযোগও থাকে, তাহলেও যেন সেটা করা হয়। সাকিবের ব্যাপারে আইসিসির পাঠানো ই-মেইল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করতেও কিছুটা সময় নিতে চায় বিসিবি এবং সেটা করার পরই আগামী বোর্ডসভায় সাকিবকে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, সেটাও ঠিক করবে। আপাতত বিসিবির সামনে শাস্তি কমানোর একটি কেস স্টাডি রয়েছে, সেটা হলো পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমের। যাকে পাঁচ বছরের শাস্তি ঘোষণার পর আইসিসি ছয় মাস আগেই মাঠে ফেরার অনুমতি দিয়েছিল। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন আরও একবার স্পষ্ট করেছেন সাকিবের সঙ্গেই থাকবে বিসিবি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিসিবির করণীয় খুবই সীমিত। যেহেতু সাকিব এ বিষয়টি স্বীকার করে এসিইউর সঙ্গে একটি চুক্তির মধ্যে চলে গেছেন। তার পরও আমরা দেখব, কিছু করা যায় কি-না। আইনি বিষয়গুলো নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়। আমরা এরই মধ্যে আমাদের লিগ্যাল কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। দেখতে বলেছি, এ বিষয়ে বিসিবির কোনো কিছু করার সুযোগ আছে কি-না। সূত্র : সমকাল এন কে / ০১ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2WBqz1l
November 01, 2019 at 10:46AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top