ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর- ২০১৭ সালেই টেস্ট স্ট্যাটাস পেল আয়ারল্যান্ড। তবে দুবছরের মাথায় এই ফরম্যাটে খেলতে অনীহা প্রকাশ করছে দেশটি! আসলে অন্য কোনো কারণে নয়, আর্থিক সমস্যার কারণেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০২০ সালের মে মাসে একমাত্র টেস্টটি বাতিল করেছে আইরিশরা। টেস্টে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড তিনটি ম্যাচ খেলেছে। যেখানে ঘরের মাঠ মালাহাইডে ২০১৮ সালে একমাত্র টেস্টটি খেলে। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি হতো দ্বিতীয় ম্যাচ। কিন্তু একটি টেস্ট আয়োজন করতে অন্তত ১ লাখ ইউরো খরচ হয়। যা দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের জন্য অতিমাত্রায় বিলাসিতায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে টেস্ট ম্যাচটি একটি টি-টোয়েন্টিতে রূপ নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রম জানান, আইসিসি থেকে তারা প্রত্যাশিত তহবিল আসছে না। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতায় পরের বছর টেস্ট আয়োজন বাদ দিতে হয়েছে। মালাহাইড ও অন্যান্য মাঠে অস্থায়ী কাঠামোর ব্যবস্থা করতে এবং ঘরের মাঠে ম্যাচ আয়োজন করতে সব মিলিয়ে যা খরচ, তারা সেটি কুলিয়ে উঠতে পারবেন না। এমনিতেই ২০২০ ও ২০২১ সালে পর পর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর ২০২৩ সালে রয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তাই টেস্ট থেকে এখন সাদা বলের প্রতিই বেশি মনোযোগী হচ্ছে আয়ারল্যান্ড। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) অনুযায়ী, এক টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে আগামী মে মাসে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। এই টেস্ট ম্যাচটি অবশ্য আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ছিল না। অর্থাভাবে শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ নয়, আফগানিস্তানের বিপক্ষে নির্ধারিত টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন থেকেও সরে এসেছে আয়ারল্যান্ড। যেখানে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে রঙিন পোশাকে সিরিজ খেলবে আয়ারল্যান্ড। সূত্র: বাংলানিউজ আর/০৮:১৪/১৭ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2szSQdE
December 17, 2019 at 06:01AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন