চেন্নাই, ১৬ ডিসেম্বর - ভারতকে বলা হয় স্পিনারদের স্বর্গ। স্পিনারদের জন্যই তৈরি করা হয় এখানকার উইকেটগুলো। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, ভারতীয় উইকেটগুলো এখন আর স্পিনবান্ধব নয়। সম্পূর্ণ পেস বান্ধব। যার প্রমাণ, সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হওয়া ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ১৯৮ বল অর্থাৎ ৩৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে একটি উইকেটও নিতে পারেননি ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনাররা। দুই দেশের স্পিনাররা লজ্জার এক রেকর্ড গড়লেন চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। চেন্নাইয়ের উইকেট সাধারণত স্পিন-বান্ধব হয়ে থাকে। ঘরের মাঠে আইপিএল খেলার সময়ে স্পিনারদের উপরেই ভরসা করে চেন্নাই সুপার কিংস। এই মাঠে স্পিনাররাও চেন্নাই সুপার কিংসকে অনেক ম্যাচেই জয় এনে দিয়েছেন; কিন্তু, রোববার ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দুদলের স্পিনাররা মিলিতভাবেও একটি উইকেট নিতে পারেননি। ভারতের ৮ উইকেটের সবগুলোই নিয়েছেন শেলডন কটরেল, কিমো পল, অ্যালজারি জোসেফ এবং কাইরন পোলার্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পড়া ২ উইকেটের দুটিই নিয়েছেন দুই পেসার দীপক চাহার এবং মোহাম্মদ শামি। রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদবের মতো দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারকে দলে নিয়েছিল ভারত। ছিলেন পার্ট টাইম স্পিনার ছিলেন কেদার যাদব। ক্যারিবিয়ান দলে ছিলেন লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশ ও অফ স্পিনার রস্টোন চেজ। পাঁচ স্পিনার ৩৩ ওভার বল করে লজ্জার এক রেকর্ড তৈরি করলেন। ভারতের মাটিতে এই ম্যাচেই টানা সবচেয়ে বেশি বল করে উইকেট পেলেন না স্পিনাররা। এমন নজির আগে ছিল না ভারতে। বিশ্ব ক্রিকেটে চারটি ম্যাচের উদাহরণ রয়েছে যেখানে ৩৩ ওভারের বেশি বল করে স্পিনাররা নিতে পারেননি একটি উইকেটও। ২০১১ সালে হারারেতে জিম্বাবোয়ে-পাকিস্তান ওয়ানডে ম্যাচে ২২২টি বল করেও দুদেশের স্পিনাররা একটি উইকেটও দখল করতে পারেননি। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে গ্যাবায় অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ২১৬টি বল করেও স্পিনাররা সাফল্য পাননি। ২০১১-১২ মৌসুমে ইস্ট লন্ডনে দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ২০২টি বল করেও দুই দেশের স্পিনারের মোট উইকেট থেকে গিয়েছিল শূন্য। ২০০১-০২ মৌসুমে ঢাকার স্পিন-বান্ধব পিচে ২২২টি বল করেও জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানের স্পিনাররা উইকেট নিতে পারেননি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৬ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/38F9BVH
December 16, 2019 at 01:55PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top