ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর - নব্বই পরবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল নায়িকা শাবনূর। অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমার উপহার দিয়েছেন তিনি। আজ (১৭ ডিসেম্বর) তার জন্মদিন। ব্যক্তি জীবনে ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদের সঙ্গে শাবনূরের আংটি বদল হয় এবং ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তাকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস শুরু করেন ও নাগরিকত্ব লাভ করেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি ছেলে সন্তানের মা হন। তার ছেলের নাম আইজান নিহান। এখন বছরের বেশির ভাগ সময় স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াতেই থাকেন। সম্প্রতি ঢাকাতে ফিরেছেন শাবনূর। নিয়মিত জিম করে নিজেকে তৈরি করছেন সিনেমার জন্য। এবার কীভাবে কাটছে এই নায়িকার জন্মদিন? মঙ্গলবার দুপুরে শাবনূর বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর আমাকে জন্মদিনের সারপ্রাইজ দিয়েছেন আমার চলচ্চিত্রের কাছের বন্ধুরা। ওমর সানি-মৌসুমী, ফেরদৌসসহ আরও বেশকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দিয়েছি। আজ সারাদিন অনেকেই ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শাবনূর আরও বলেন, জন্মদিনটা ঘরেই কাটছে ছেলের সঙ্গে। সিজন পরিবর্তন হচ্ছে এই সময় ছেলের দিকে সব সময় খেয়াল রাখতে হয়। ওকে বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করছি। বলা যায় ঘরে ছেলের সঙ্গেই কাটাচ্ছি এবারের জন্মদিনটা। ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে জন্মগ্রহণ করেন শাবনূর। তার পর্দার পেছনের নাম নুপুর। প্রথম চলচ্চিত্র কিংবদন্তি পরিচালক এহতেশামের চাঁদনী রাতে। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর চাঁদনী রাতে মুক্তি পায়। সাব্বিরের বিপরীতে অভিনীত চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। তবে শাবনূরের মুগ্ধতার ইতিহাস শুরু হয় ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জহিরুল হক পরিচালিত তুমি আমার ছবিটি দিয়ে। সালমান শাহের সঙ্গে জুটি বেঁধে এই নায়িকা ১৪টি ছবি করেন। তার সবগুলোই রেকর্ড সংখ্যকভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সফল জুটিগুলোর অন্যতম। পরবর্তীতে এদের আদর্শ মেনেই এখানে নায়ক-নায়িকার জুটি গড়ে উঠেছে। তবে সালমানের যুগে ওমর সানী, অমিত হাসান, আমিন খান, বাপ্পারাজদের সঙ্গেও অভিনয় করে সফলতা পান শাবনূর। সালমান মৃত্যু পরবর্তী সময়ে রিয়াজ, শাকিব খান ও ফেরদৌসসহ অনেক নায়কের সঙ্গেই অভিনয় করে সফল হন শাবনূর। তবে রিয়াজের সঙ্গে প্রায় অর্ধশত চলচ্চিত্রে জুটি বাঁধেন তিনি। এবং সবগুলো ছবিই ছিলো ব্যবসায়িকভাবে সফল এবং আলোচিত। বলা হয়ে থাকে, রিয়াজ-শাবনূর জুটির পর ঢাকাই চলচ্চিত্রে সার্বজনীনভাবে জনপ্রিয় সুপারহিট আর কোনো জুটি আসেনি। এই জুটির শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, মোল্লাবাড়ির বউ, প্রেমের তাজমহল, বুক ভরা ভালোবাসা, ও প্রিয়া তুমি কোথায়, এ বাঁধন যাবে না ছিড়ে, মন মানে না ইত্যাদি ছবিগুলো মাইলফলক হয়ে আছে এদেশীয় চলচ্চিত্রে ব্যবসায়িক সাফল্যের ইতিহাসে। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে শাবনূরের সবচেয়ে বড় অর্জন ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসা। পাশাপাশি অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত দুই নয়নের আলো চলচ্চিত্রের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এন এইচ, ১৭ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/34yRDAY
December 17, 2019 at 08:44AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন