ঢাকা, ০৬ ডিসেম্বর - চলচ্চিত্র নিয়ে সারাটা জীবন কাটিয়ে গেলেন চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) আজ শেষ বারের মতো দেখতে এসেছিলেন তার সহকর্মীরা। চোখের পানিতে ভেসে তাকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার মানুষেরা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আনন্দ অশ্রু, হাজার বছর ধরে, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেটুপুত্র কমলা, আগুনের পরশমণিসহ অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমার চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। আজ বিকেল ৩টায় শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসিতে নেওয়া হয় মাহফুজুর রহমান খানের মরদেহ। তাকে দেখতে এসেছিলেন তিন কন্যাখ্যাত চিত্রনায়িকা সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। আরও উপস্থিত ছিলেন নায়ক আলমগীর, নায়িকা অঞ্জনা, নায়ক বাপ্পারাজ, সম্রাট, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, পরিচালিক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিরি সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ চলচ্চিত্রের মানুষেরা। প্রিয় মানুষটিকে ফুলে ফুলে সিক্ত করেছেন সবাই। এরপর আজিমপুর কবর স্থানে নেওয়া হয় মরদেহ। শুক্রবার বিকেলে পর আজিমপুর কবর স্থানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হন মাহফুজুর রহমান খান। গত ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনেকদিন ধরে ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মাহফুজুর রহমান খান চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের জন্য দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। মাহফুজুর রহমান প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক আব্দুল লতিফ বাচ্চুর শিষ্য। তিনি তার অধীনে সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসেবে ১৯৭০ সালে দর্প চূর্ণ ও ১৯৭১ সালে স্বরলিপি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে তার প্রথম কাজ ১৯৭২ সালের আবুল বাশার চুন্নু পরিচালিত কাঁচের স্বর্গ। এন এইচ, ০৬ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/33WQRgL
December 06, 2019 at 02:05PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top