কদিন আগেই বাংলাদেশের নারী রেফারিদের ইতিহাসে মাইলফলক গড়েছেন জয়া চাকমা এবং সালমা আক্তার মনি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে ফিফা রেফারি হওয়ার যোগ্যতা প্রমাণের সর্বশেষ হার্ডলটা পার হতে পেরেছেন দুজনই। অপেক্ষা ছিল ফিফার অনুমোদনের। সেটিও পেয়ে গেছেন জয়া চাকমা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে এক মেইল বার্তায় ফিফা সেটি নিশ্চিত করেছে। তবে, বয়স কম হওয়ায় সালমাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। আগামী এক বছর মেয়েদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন জয়া। দক্ষিণ এশিয়ায় চারজন নারী ফিফা রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে দুজন ভারতের আর একজন করে আছেন নেপাল ও ভুটানের। ফিফার পঞ্চম নারী রেফারি হতে অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশের জয়া চাকমা। আর তার সহকারী হিসেবে ফিফা থেকে স্বীকৃতি মেলার অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশের সালমা আক্তার মনি। ২৩ বছরের কম হওয়ায় আপাতত সালমাকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। খেলোয়াড়ী জীবনের পর ২০১০ সালে রেফারিংয়ে মনোনিবেশ করেন রাঙামাটির মেয়ে জয়া। এর আগে লেভেল ৩, ২ ও ১ কোর্স শেষ করে জাতীয় পর্যায়ের রেফারি হয়েছেন। পরে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা রেফারি হওয়ার ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফিফা থেকে স্বীকৃতি মেলায় বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি হলেন তিনি। বর্তমানে বিকেএসপির নারী ফুটবলের কোচ হিসেবে কাজ করছেন জয়া চাকমা। রাঙ্গামাটির জয়া চাকমা ফুটবলে পরিচিত মুখ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার পাশাপাশি জাতীয় দলে খেলেছেন জয়া। পাহাড়ি কন্যার খ্যাতি পাওয়া জয়া প্রায় ১০ বছর ধরে রেফারিং করছেন ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে। ভারতের সুব্রত কাপে, নেপাল-ভুটান এমনকি এশিয়ার বাইরে ইউরোপে গিয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সহকারী রেফারি হিসেবে নেত্রকোনার মেয়ে ইডেন কলেজের ছাত্রী সালমা ছিলেন অপেক্ষমানদের এই তালিকায়। ২০১০ সাল থেকে ফুটবল মাঠে বাঁশি বাজাচ্ছেন জয়া, সালমার শুরু ২০১৩ সালে। জয়া চাকমা ৩৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন আর ১৫টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন সালমা। জাতীয় দলে অবশ্য খেলা হয়নি সালমার। ফিফার স্বীকৃতি মেলায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ফিফার তালিকাভুক্ত রেফারি হয়ে যাবেন জয়া। কিছুদিনের মধ্যে ফিফা থেকে ব্যাচ, জার্সিসহ অন্য সরঞ্জামাদি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর এই পাহাড়ি কন্যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় দলের ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন দেশ-বিদেশের ভেন্যুতে। তার স্বপ্নটাও বেশ বড়, বাংলাদেশের হয়ে একদিন বিশ্বকাপের ম্যাচে বাঁশি বাজানোর। সূত্র: বাংলানিউজ আর/০৮:১৪/২১ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ZiRwII
December 21, 2019 at 05:42AM
21 Dec 2019

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top