গত গ্রীষ্মের প্রায় অর্ধেকটা সময় ফুটবল বিশ্বে তুমুল আলোচিত বিষয় ছিল নেইমার নাটক। তবে নাটকের শেষটা মোটেই আশানুরূপ হয়নি। বার্সেলোনা ও পিএসজির মধ্যে নেইমারকে নিয়ে রশি টানাটানিতে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়েছিল ফরাসি জায়ান্টরাই। তবে আশা হারায়নি বার্সাও। এরইমধ্যে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে ফেরানোর নতুন একটা উপায়ও বের করে ফেলেছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। আগের মৌসুমে নেইমারের গায়ে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রাইস ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছিল পিএসজি। সেসময় এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার মতো অবস্থা ছিল না বার্সার। কারণ অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে আঁতোয়া গ্রিজমানকে কিনতে তাদের খরচ হয়েছে ১২০ মিলিয়ন ইউরো। এরপরও যদি নেইমারকে কেনার জন্য ৩০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতো বার্সা, তাহলে সেটা হতো উয়েফার ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লের নিয়ম বহির্ভূত কাজ। কিন্তু পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নেইমার কাতালুনিয়ায় ফিরতে ব্যাকুল ছিলেন। এমনকি পকেটের অর্থ খরচ করতেও রাজি ছিলেন তিনি। এমন ব্যাকুলতা দেখে অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন তার ক্যাম্প ন্যুয়ে ফেরা নিশ্চিত। কিন্তু দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে ধরে রাখতে সফল হয় পিএসজি। এজন্য বার্সার তিন তিনটি প্রস্তাবে না করে দিয়েছিলেন পিএসজির কাতারি মালিকপক্ষ। এর মধ্যে খেলোয়াড় অদল-বদলের প্রস্তাবও ছিল। তবে নেইমারকে নিয়ে বার্সার আগ্রহে মোটেই ভাটা পড়েনি। এদিকে নেইমারের বাজার দরও কমিয়ে ১৮০ মিলিয়ন ইউরোয় নেমে গেছে। ফলে এবার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গেছে। এদিকে মুন্দো দেপোর্তিভোর এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ফের একবার নেইমারকে কিনতে ঝাপিয়ে পড়বে বার্সা। আর এবার নেইমারকে কেনার একটা উপায়ও খুঁজে পাওয়া গেছে। আর এই উপায় হচ্ছেন ফিলিপ্পে কুতিনহো। পিএসজি থেকে নেইমারকে কেনার অর্থ জোগাড় করতে হলে কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়কে বিদায় জানাতে হবে বার্সাকে। আর এমনটা হলে শুধু নেইমারকে কেনাই নয়, বসিয়ে রাখা কিংবা অফ-ফর্মে থাকা খেলোয়াড়দের জন্য যে মোটা অঙ্কের বেতন দিতে হচ্ছে, সেই ঝামেলা থেকেও মুক্তি মিলবে। আর নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কুতিনহোর দিকে আলাদা নজর রাখছে বার্সা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ধারে বায়ার্ন মিউনিখে খেলছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। এই মৌসুমে বাভারিয়ানদের হয়ে তিনি ৭টি করে গোল এবং অ্যাসিস্টও করেছেন। ক্রমেই ফর্মে ফিরতে থাকা কুতিনহোর বাজারমূল্য স্বাভাবিকভাবেই এখন বাড়বে। আর সেই অর্থ নেইমারকে কেনার জন্য খরচ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী বায়ার্ন চাইলে কৌতিনহোকে স্থায়ীভাবে কিনে নিতে পারবে। এই চুক্তি থেকে অন্তত ১২০ মিলিয়ন ইউরো আয় হবে বার্সার। যদি বায়ার্ন আগ্রহ না দেখায়, সেক্ষেত্রে তার দিকে নজর দিয়েছে চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং টটেনহামের মতো ইংলিশ জায়ান্টরা। এই তিন দলেরই কৌতিনহোর মতো একজন বড় তারকার প্রয়োজন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কুতিনহোর বাজারমূল্য ৭০ মিলিয়ন ইউরোয় নেমে এসেছে। কিন্তু যদি বর্তমান ফর্ম তিনি ধরে রাখতে পারেন, তাহলে তার মূল্য বেড়ে ১০০ মিলিয়ন ইউরো ছুঁতে পারে। এমনটা হলেও সমস্যা নেই বার্সার। কারণ, নেইমারকে কেনার পর বাড়তি বেতন দিতে হলেও ইভান রাকিতিচ, ফিলিপ্পে কুতিনহো এবং স্যামুয়েল উমতিতিকে বেচতে পারলে সেই সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে। গত অক্টোবরে বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে দ্য সানকে বলেছিলেন, নেইমারকে বার্সায় ফেরাতে প্রয়োজনে বেতন কম নিতেও আপত্তি নেই মেসি-সুয়ারেসদের মতো সিনিয়র তারকাদের। সবমিলিয়ে নেইমারকে ফেরানোর জন্য যে এবার সব প্রস্তুতি নিয়েই লড়াইয়ে নামবে বার্সা, এতে কোনও সন্দেহ নেই। সূত্র: বিডি প্রতিদিন এন কে / ২৮ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Q4bROY
December 28, 2019 at 07:53AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top