কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর- বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নে প্রথম রাজ্য হবে পশ্চিমবঙ্গ বলে দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, যতই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস, এই আইন চালু হবে পশ্চিমবঙ্গেও। নাগরিকত্ব আইনের আওতাভুক্ত হিসেবে প্রথম রাজ্য হতে চলেছে বাংলা। বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরেই দেশের আইনে পরিণত হয়েছে বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল। তারপর থেকেই সহিংসতা বেড়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। প্রতিবাদের আগুনে বেশি জ্বলছে আসাম ও ত্রিপুরা। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে সম্প্রতি আইন সংশোধন করেছে ভারত। তবে এই আইনকে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যপূর্ণ এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার কেরল-পাঞ্জাবসহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মতোই নাগরিক আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। রাজ্যজুড়ে বহু প্রতিবাদ মিছিল পথে নামে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে। শুধুই প্রতিবাদ করে থেমে থাকেননি মমতা। সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে বলেন, কোনও পরিস্থিতিতেই এই আইন রাজ্যে কার্যকর হতে দেবেন না। পাশাপাশি ঘোষণা করেন একাধিক সভা করা হবে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে। মমতা দাবি করেন, সংসদে পাস হলেও আমরা নাগরিকত্ব বিল বাংলায় কার্যকর হতে দেব না। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিজেপি শাসিত নয় এমন রাজ্যগুলিতে জোর করে অসাংবিধানিক আইন চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। মমতার এই অভিযোগের জবাবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ বলেন, এর আগে মমতা সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল ও নৈরাজ্যবাদের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে কার্যকর হয়েছে ৩৭০ ধারা। একইভাবে নতুন নাগরিকত্ব আইনটিও রাজ্যে প্রয়োগ করবে বিজেপি সরকার। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, কেন নাগরিক আইনের বিরোধিতা মুখ্যমন্ত্রী করছেন সেই বিষয়টি সবার আগে স্পষ্ট হওয়া দরকার। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তবে কি ভোট হারানোর ভয়ে এই আইন রাজ্যে কার্যকর হতে দিতে চাইছেন না মমতা? তাই যদি হয় তবে এক্ষেত্রে তাকে ও শাসকদলকে মাথায় রাখতে হবে, তারা চান বা না চান, কেন্দ্র খুব শিগগিরিই এই আইন সবার প্রথমে চালু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। একই সঙ্গে বিজেপি নেতা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু শরণার্থীরা এই আইনের অপেক্ষায় রয়েছেন। এটি তাদের মৌলিক অধিকার। তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করতে চান মমতা কোন অধিকারে? দিলীপ ঘোষের মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, প্রতিবারই নিজে ভুল বুঝে বাংলার মানুষদের ভুল পথে চালিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার এই প্রতিবাদ আন্দোলনেরও তাই কোনও মূল্য নেই। আসলে এই প্রতিবাদের পেছনে রয়েছে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের প্ররোচনা। পক্ষান্তরে তাদরকেই মদত দিচ্ছেন তিনি। শরণার্থীদের নিয়ে তিনি যদি সত্যিই চিন্তিত হন তাহলে হিন্দু শরণার্থীদের জন্য একটি শব্দও কেন খরচ করছেন না? আর/০৮:১৪/১৪ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2YM6QND
December 14, 2019 at 09:34AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
মাওবাদী হানায় মৃত তথা নিখোঁজ ৪ জনের পরিবারকে নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
07 Oct 20200টিকলকাতা, ৭ অক্টোবর- কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের ঘোষণা মতোই ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভা থেকে মাও...আরও পড়ুন »
ডেমোক্রেসির বদলে বাংলায় মমতাক্রেসি চলছে
06 Oct 20200টিকলকাতা, ৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মণীশ খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ
06 Oct 20200টিকলকাতা, ০৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ব...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র বারাকপুর
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপির দাপুটে নেতা মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনায় সোমবার সকাল থেক...আরও পড়ুন »
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের মণীশ শুক্লা নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে ...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.