কাঠমুন্ডু, ৯ ডিসেম্বর- সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের নবম দিনে একের পর এক সুখবর পাচ্ছে বাংলাদেশ। নারী ইভেন্টে সুমা বিশ্বাসের পর এবার আর্চারিতে পুরুষ কম্পাউন্ড ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন মো: সোহেল। এর আগে দিনের শুরুতেই আর্চারিতে নারী কম্পাউন্ড ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছেন সুমা বিশ্বাস। আর্চারিতে এনিয়ে ৮টি সোনার পদক পেলো বাংলাদেশ। আর সব মিলিয়ে এবারের আসরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বর্ণপদক হলো ১৬টি। চলমান আসরে আর্চারির প্রতিটি ইভেন্টেই অংশ নিয়ে স্বর্ণ জিতলো বাংলাদেশ। দেশের বাইরে এসএ গেমসে বাংলাদেশের এটাই সেরা সাফল্য। এর আগে ১৯৯৫ মাদ্রাজ গেমসে ৭টি স্বর্ণপদক ছিল সেরা অর্জন। তবে সবমিলিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা সাফল্য এর মধ্যেই হয়ে গেছে। ১৯৯৩ আসরে ১১টি স্বর্ণপদক জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে সামনে আছে ২০১০ সালে জেতা ১৮টি স্বর্ণ জেতার রেকর্ড। এবার হয়তো আগের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে সহজেই। নেপালের কাঠমান্ডুতে ১৩তম সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে এর আগে রোববার অষ্টম স্বর্ণ জেতে বাংলাদেশ। আসরের অষ্টম দিনে আর্চারিতে পুরুষদের দলগত রিকার্ভে শ্রীলঙ্কাকে ৫-৩ পয়েন্টে হারিয়ে এই সফলতা পান রুমান সানা, তামিমুল ইসলাম এবং হাকিম আহমেদ রুবেল। এরপর শ্রীলঙ্কাকে ৬-০ পয়েন্টে হারিয়ে আর্চারিতে নারীদের দলগত রিকার্ভে স্বর্ণ জেতে বাংলাদেশ। রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টে সোনা জিতে নেন বাংলাদেশের রোমান সানা ও ইতি খাতুন জুটি। ফাইনালে রোমান-ইতি জুটি ভুটানকে ৬-২ পয়েন্টে হারিয়েছে। ছেলেদের কম্পাউন্ড দলগত ইভেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশের সোহেল রানা, অসীম কুমার দাস আর আশিকুজ্জামান ২২৫-২১৪ স্কোরের ব্যবধানে ভুটান দলকে হারিয়েছেন। পরে শ্রীলঙ্কা দলকে ২২৬-২১৫ স্কোরের ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশের সুস্মিতা বণিক, সুমা বিশ্বাস আর শ্যামলী রায় মেয়েদের কম্পাউন্ড দলগত ইভেন্টেও স্বর্ণ জিতে নেন। দিনের শেষে কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ এনে দেন বাংলাদেশের সোহেল রানা আর সুস্মিতা বণিক। ফাইনালে তারা নেপালকে হারিয়েছেন ১৪৮-১৪০ স্কোরের ব্যবধানে এদিন আর্চারি ছাড়াও মেয়েদের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এর আগে শনিবার ভারোত্তলনে দুটি সোনার পদক জেতার রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশকে সপ্তম স্বর্ণ পদক পাইয়ে দেন ফাতেমা মুজিব। ফেন্সিংয়ে ব্যক্তিগত সেভার ইভেন্টে তিনি সোনার পদক জিতেছেন। মাবিয়া আক্তার সীমান্তের পর বাংলাদেশ আরও একটি স্বর্ণ পদক জেতে। বাংলাদেশকে ষষ্ঠ স্বর্ণ পদক পাইয়ে দেন জিয়ারুল ইসলাম। ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে তিনি স্বর্ণ জিতেছেন। মাইনুল ইসলাম ১০২ কেজিতে জিতেছেন রৌপ্য পদক। গতবারের মতো এবারও বাংলাদেশকে সোনার পদক পাইয়ে দিয়েছেন সীমান্ত। ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। ৮১ কেজিতে রৌপ্য জিতেছেন বাংলাদেশের জোহরা খাতুন নিশা। বাংলাদেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন হুমায়রা আক্তার অন্তরা। তবে সেটি ছিল ব্রোঞ্জ। তায়কোয়ান্দোতে এবার বাংলাদেশ প্রথম সোনার পদক জেতে। দিপু চাকমা পাইয়ে দেন প্রথম স্বর্ণ। তায়কোয়ান্দোতে ছেলেদের এককে পুমসায় ২৯ অথবা এর বেশি ওজনে ভারতের প্রতিযোগীকে হারিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সোনা জেতান রাঙামাটির ছেলে দিপু। এরপর কারাতে কুমিতে সোনা জেতেন আল আমিন। সেটি ছিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় সোনার পদক। কারাতে ইভেন্টের ৬০ কেজি ওজন শ্রেণি কুমিতে সোনা পাইয়ে দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আল আমিন। দেশের তৃতীয় স্বর্ণ জেতেন বাংলাদেশের আরেক খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া। এসএ গেমসে দেশের পক্ষে তৃতীয় সোনার পদক আসে মেয়েদের কারাতে ইভেন্টে। মেয়েদের অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজি কুমি ইভেন্টে সোনা জেতেন মারজানা। বাংলাদেশকে ১৩তম আসরে প্রথম পদক পাইয়ে দেওয়া হুমায়রা আক্তার অন্তরা বাংলাদেশ চতুর্থ সোনার পদক পাইয়ে দেন। কারাতে ৬১ কেজি কুমিতে স্বর্ণ জেতেন অন্তরা। নেপালের অনু গুরুংকে ৫-২ পয়েন্টে হারান তিনি। এরপর চারদিন বিরতি দিয়ে আজ আবারও সোনার মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। দেশকে পঞ্চম স্বর্ণ পাইয়ে দিয়েছেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। পরে ষষ্ঠ স্বর্ণ আসে জিয়ারুল ইসলামের হাত ধরে। এবার ফাতেমা জেতান সপ্তম স্বর্ণ পদক। সূত্র: বাংলানিউজ আর/০৮:১৪/০৯ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/38jbRkZ
December 09, 2019 at 06:04AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন