ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর- ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু এসএ গেমসের আগে বাংলাদেশের ঝুলিতে ছিল ৩৭টি স্বর্ণ পদক। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই গেমসের প্রথম সাত আসরের ওই স্বর্ণের পদকগুলোও মন ভরাতে পারেনি লাল-সবুজের দেশকে। কারণ, গেমসের অন্যতম সেরা আকর্ষণ ফুটবলে ছিল অপূর্ণতা। আগের সাত আসরে চারবার ফাইনালে উঠেও পারেনি স্বর্ণ ছুঁতে। এসএ গেমসে ফুটবলে স্বর্ণ সোনার হরিণ হয়েই থাকে বাংলাদেশের। সোনার হরিণ প্রথম ধরা দেয় ১৯৯৯ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে। ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়ে কাঠমান্ডুর দসরথ স্টেডিয়ামে। ওই গেমসে বাংলাদেশ দুটি স্বর্ণ জিতলেও বেশি আনন্দ ছিল ফুটবলের স্বর্ণ নিয়ে। এরপর আরেকবার দক্ষিণ এশিয়ার এই গেমসে বাংলাদেশ স্বর্ণ জিতেছিল ঢাকায় ২০১০ সালে। পরের আসরেই বাংলাদেশ সেই স্বর্ণ হারিয়ে আসে ২০১৬ সালে ভারতের গুয়াহাটি থেকে। এবার বাংলাদেশের সামনে স্বর্ণ উদ্বারের সুযোগ। সুযোগ তো প্রতিবারই থাকে। এবার আলাদা করে কেন? প্রশ্নটা আসতে পারে। উত্তর হলো- এবারই প্রথম এসএ গেমস ফুটবলে হচ্ছে কম প্রতিদ্বন্দ্বিতা। খেলছে না পাকিস্তান ও ভারত। যে দুই দেশ মিলে ১২ বারের ৭ বারই স্বর্ণ জিতেছে ফুটবলে। এবার নেই আফগানিস্তানও। কারণ, তারা গেমসেই নেই এবার। ফুটবলে অংশ নিচ্ছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন নেপাল, দুইবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, একবারের রৌপ্যজয়ী মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা এবং এখনো পদক না পাওয়া ভুটান। গত আসরে বাংলাদেশ বিদায় নিয়েছিল সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে। এবার ভারত নেই। বাংলাদেশের ফুটবলামোদীরা প্রত্যাশা করতেই পারে আবার ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্ব ফিরবে বাংলাদেশের। শুধু কি ভারত-পাকিস্তান নেই বলে বাংলাদেশ ফেবারিট? তাও না। বাংলাদেশ গত দেড় বছর যে ফুটবল খেলছে ইংলিশ কোচ জেমি ডের অধীনে তাতেই বাংলাদেশ পরিস্কার ফেবারিট। জেমি ডের কারণেই প্রত্যাশাটা বেশি বেড়েছে বাংলাদেশের। দল কমে ৫টি হওয়ায় এবার ফুটবল হচ্ছে লিগ ভিত্তিক। সবাই সবার সঙ্গে খেলবে। লিগ শেষে শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনাল। বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়ের মিশন শুরু হবে ভুটানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। ২৭ নভেম্বর ভলিবল দিয়ে শুরু হয়েছে গেমসের খেলা। আগামীকাল (সোমবার) কাঠমান্ডুর দসরথ স্টেডিয়ামে পর্দা উঠবে গেমসের। ফুটবলের লড়াই ২ ডিসেম্বর থেকে। শুরুটা ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভুটান কি বাংলাদেশের জন্য সহজ? যদি সর্বশেষ আসরের দিকে তাকাই তাহলে ভুটানকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, গুয়াহাটিতে গত আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিরুদ্ধে হারতে হারতে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। ১৯ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ এবং ৪২ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনের গোলে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। যদি আরেক আসর পেছনে তাকানো যায় তাহলে বাংলাদেশকেই মনে হবে ভুটানের বিরুদ্ধে পরিস্কার ফেবারিট। কারণ ২০১০ সালে ঢাকায় স্বর্ণ জয়ের আসরে বাংলাদেশ গ্রুপ ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৪-০ গোলে। তবে ফুটবলে অতীতটা কাজ দেয় না। বর্তমান শক্তিটাই আসল। সে হিসেবে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ভুটানের দাঁড়াতে পারার কথা নয়। এসএ গেমস ফুটবলে খেলবে অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সিনিয়র কোটায় খেলবেন তিনজন। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান ও স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবনকে সিনিয়র কোটায় নিয়েছেন জেমি ডে। বেশ কিছুদিন আগেই কোচ জেমি ডে বলেছেন, তিনি এসএ গেমস ফুটবলের স্বর্ণ উদ্ধার করতে চান। যদিও কাজটা সহজ নয়। মালদ্বীপ শক্তিশালী দল। নেপালের মাঠে নেপালও কঠিন প্রতিপক্ষ। নেপালের কাঠমান্ডুর দসরথ স্টেডিয়াম বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত ভেন্যু হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। লাল-সবুজের দেশটি উপহার দিয়েছিল ফুটবলের প্রথম স্বর্ণ। সেই কাঠমান্ডুতে কি ফিরবে ফুটবলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব? সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০১ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2R8SoNQ
December 01, 2019 at 04:32AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top