ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর- যেকোনো কারণেই হোক, এবার দক্ষিণ এশিয়ান গেমস নিয়ে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে হৈচৈ কম। সাড়া শব্দ নেই বললেই চলে। অথচ এবারের এসএ গেমসে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এমনও হতে পারে এসএ গেমসের ইতিহাসে বাংলাদেশ এবার সর্বাধিক স্বর্ণপদক জিততে পারে। কারণ বেশ কিছু ইভেন্ট ও ডিসিপ্লিনে হট ফেবারিট ভারত ও ভারতীয় অ্যাথলেটরা অংশ নিচ্ছে না। এই যেমন ক্রিকেট। এবার ক্রিকেটে নেই দুই ফেবারিট ভারত ও পাকিস্তান। শুধু ভারত-পাকিস্তানের কথা বলা কেন? এশিয়ার আরেক দেশ আফগানিস্তানও অংশ নিচ্ছে না। প্রতিযোগী দলগুলো হলো বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ ও ভুটান। বলার অপেক্ষা রাখে না, শেষ দুটি একদমই দুর্বল ও অনভিজ্ঞ। সত্যিকার সম্ভাবনাময় দল হলো বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা। নেপাল থাকবে তারপর পরই। ভারত, পাকিস্তান আর আফগানিস্তান নেই। এমন এক আসরে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলা তথা স্বর্ণ জেতা যে প্রায় একান্তই জরুরী। সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাইম শেখ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদি হাসানের গড়া বাংলাদেশ ইমার্জিং একাদশ এবার দক্ষিণ এশীয় ক্রিকেটে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই দলটিই কদিন আগে দেশের মাটিতে প্রাণ ফ্রুটো ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভারত ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে গিয়ে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়েছে। সেই আসরে যে দলটি সব ম্যাচে হেরেছে সেই শ্রীলঙ্কাই এবার বাংলাদেশের মুল প্রতিদ্বন্দ্বি। ভাবা হচ্ছে, ইমার্জিং এশিয়া কাপে সব ম্যাচ হারা শ্রীলঙ্কা এবার দক্ষিণ এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে সাফল্যে পেতে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালি দল পাঠাবে। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ও জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন তাই মনে করেন। আজ (শনিবার) রাতে হাবিবুল বাশার বলেন, তাদের লক্ষ্য শিরোপা মানে স্বর্ণ জয়। বাশারের ধারণা, শ্রীলঙ্কা হয়তো কাগজে কলমে আরও শক্তিশালি দল পাঠাবে। তাই তিনি বাংলাদেশকে এক কথায় হট ফেবারিট বলতে চান না। তার কথা, আমি নিশ্চিত আমরা যে ইমার্জিং দল নিয়ে যাচ্ছি লঙ্কানরা আরও শক্তিশালি দল পাঠাবে। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে স্বর্ণ জেতা। এদিকে শুরুতে অংশ নেয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। প্রথমে কথা ছিল, ভারত আর পাকিস্তান খেলবে এবং খেলা হবে দুই গ্রুপে। তারপর সেমিফাইনাল হয়ে ফাইনাল। কিন্ত ভারত আর পাকিস্তান শেষ মুহূর্তে অংশগ্রহণ থেকে সরে দাড়ানোয় দল কমে গেছে। এখন রাউন্ড রবিন লিগ পদ্বতিতে খেলা। সবার সঙ্গে একবার করে মুখোমুখি হওয়ার পরে সেরা দুই দলকে ফাইনাল। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৪ ডিসেম্বর, মালদ্বীপের বিপক্ষে। পরে ৬ ডিসেম্বর নেপাল, ৭ ডিসেম্বর ভুটান আর ৮ ডিসেম্বর হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৯ ডিসেম্বর। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০১ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Dws5Jt
December 01, 2019 at 03:48AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top