নয়া দিল্লী, ০২ ডিসেম্বর- কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগের (কেপিএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তদন্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। চেন্নাই প্রিমিয়ার লিগেও ম্যাচ পাতানো নিয়ে প্রতিনিয়ত সংবাদ হচ্ছে। মুম্বাই লিগেও বারবার এর আঁষটে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। শুধু এ তিনটি নয়, ভারতের ঘরোয়া বাকি বড় টুর্নামেন্টগুলোও গড়াপেটার দোষে দুষ্ট। স্বভাবতই বিশাল ধাক্কা খেয়েছে দেশটির ক্রিকেট। এতে নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এর মধ্যে বোর্ডের (বিসিসিআই) দুর্নীতি দমন শাখাকে আরো শক্তিশালী করার কথা জানালেন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। রোববার মুম্বাইয়ে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) বৈঠক ছিল। সেখানে ক্রিকেটকে দুর্নীতিমুক্ত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বোর্ডের মসনদে বসেই ভারতীয় ক্রিকেটকে অপরাধমুক্ত করার কড়া বার্তা দিয়েছিলেন সৌরভ। এদিন এজিএমের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ক্রিকেটকে কলুষিত করা একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্ণাটক, চেন্নাই, মুম্বাই, সৌরাষ্ট্র-৪ ক্রিকেট লিগই জনপ্রিয়। এর মধ্যে কর্ণাটক ও চেন্নাই থেকে বেটিংয়ের অভিযোগ এসেছে। পুরোটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত করা হয়েছে। চেন্নাই কর্তৃপক্ষ দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিষিদ্ধ করেছে। এ নিয়ে বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখাকে এবার আরো শক্তিশালী করা হবে। এখানেই না থেমে সৌরভ বলেন, কেপিএলের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। এর মাঝেই সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে কিছু ক্রিকেটারকে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলে তথ্য কানে এসেছে। কীভাবে বুকিরা প্রস্তাব দিচ্ছে কিংবা তারা কীভাবে ফাঁদ পাতছে, পুরোটাই শক্তিশালী দুর্নীতি দমন শাখা তদন্ত করবে। ২২ গজকে দুর্নীতিমুক্ত রাখাই বিসিসিআইর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়া এবং সেটা কর্তৃপক্ষকে না জানানোর পেছনে স্থানীয় ক্রিকেটারদের কম বেতনের কথা বলা হয়। উপমহাদেশ তথা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বেতন কাঠামো ভারতে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তুলনায় সেটা বেশ কম। গাঙ্গুলী বলেন,এ দিকটা ভেবে দেখছি আমরা। ১ মাসের মধ্যেই বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করব। ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর দায়িত্বটা রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ওপর দিচ্ছি। রাজ্য সংস্থাগুলোই চুক্তিপত্র দেবে। তারাই খেলোয়াড়দের দেখভাল করবে। চলতি বছরের জুলাইয়ে কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগের বেটিং নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে কেপিএলের স্পট ফিক্সিংয় কাণ্ডে ভারত জাতীয় দলের সাব্কে ক্রিকেটার অভিমন্যু মিঠুনের নাম জড়িয়েছে। তাকে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে গোয়েন্দা দপ্তর। লিগের একটি দলের অধিনায়কের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। সূত্র: যুগান্তর আর/০৮:১৪/০২ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2r6bjOD
December 02, 2019 at 09:29AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন