ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর - চোটের কারণে জাতীয় লিগে খেলা নিয়েই ছিল অনিশ্চয়তা। অথচ চোট কাটিয়ে ফিরে জাতীয় লিগে এবার নিজের ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম কাটালেন তাসকিন আহমেদ। এখন তার দৃষ্টি বিপিএলে। গত বিপিএলে ভালো করে জাতীয় দলে ফিরলেও চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। চোট, ফর্ম ও নানা কারণ মিলিয়ে গত প্রায় ২১ মাসে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি ম্যাচ। একান্ত সাক্ষাৎকারে তাসকিন জানালেন, এই দুঃসময় থেকে জীবন ও ক্রিকেট নিয়ে শিখেছেন অনেক। বদলে ফেলেছেন নিজেকে। শোনালেন, জাতীয় দলে ফিরে লম্বা সময় খেলার প্রত্যয়। জাতীয় লিগে এবার শেষ ৩ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন, বলা যায় অভাবনীয় সাফল্য। বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে এমন পারফরম্যান্সে নিজেও কি চমকে গেছেন? তাসকিন: তা জানি না, তবে ভালো করার বিশ্বাস ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে বেশি খুশি যে ১০১ ওভার বোলিং করেছি (বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচসহ ৪ ম্যাচে)। লম্বা সময় বোলিং করতে পেরেছি। ইনজুরির পর ফিট হতে অনেক কষ্ট করেছি। সময় নিয়ে পুরো ফিট হয়ে তবেই মাঠে নেমেছি। এরপর গরমের মধ্যে এত ওভার বোলিং করতে পারাই বলে দেয় যে ফিটনেস এখন খুব ভালো আছে। জাতীয় লিগের ম্যাচে আমি কোচ তালহা জুবায়ের ভাইকে (সাবেক জাতীয় পেসার) বলে রেখেছিলাম, প্রতিটি সেশন আমাকে আলাদা করে পর্যবেক্ষণ করবেন। লিগ শেষে তিনি জানিয়েছেন যে প্রতিটি সেশনেই আমি ভালো এফোর্ট দিয়ে বল করতে পেরেছি এবং খুব ভালো লেগেছে তার। বিশেষ করে দিনের শেষ সেশনে, সাধারণত আগে ক্লান্ত থাকতাম তখন, গতি কমে যেত। এবার তালহা ভাই বলেছেন যে শেষ সেশনেও ভালো গতি ছিল। আমি চেষ্টায় কমতি রাখিনি। ইনজুরি থেকে ফেরার পর আমার একটাই ভাবনা ছিল, ঘরোয়াতে যদি সুপার এফোর্ট দিয়ে খেলতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পারব। আগে অনেকেই বলেছেন যে ঘরোয়া ক্রিকেটে সবটা দিয়ে বোলিং না করতে। বলতেন শক্তি টিকিয়ে রাখতে, ইনজুরির কথা মাথায় রাখতে। কিন্তু এখন আমি বুঝেছি যে ঘরোয়া ক্রিকেটে হাই ভলিউম চেষ্টা না করলে জাতীয় দলেও পারা যায় না। সবকিছু ভেবেই আমি খেলার ধরন, ট্রেনিংয়ের ধরন বদলে ফেলেছি। পেসারদের ইনজুরি হবেই। ইনজুরি হলে ফেরার লড়াইয়ে নামতে হবে। কিন্তু যখন যেখানে খেলব, সর্বোচ্চ এফোর্ট দেব। আমি ন্যাচারাল সুইং বোলার নই। আমার মূল কাজ জোরে বল করা, সেটি করতেই হবে। সুস্থ থাকলে সেভাবেই বল করার চেষ্টা করব। ট্রেনিংয়ের ধরন বদলেছেন বললেন, সেই বদলটা কেমন? তাসকিন: সত্যি বলতে, আমি এখন অনেক অভিজ্ঞ। দিন দিন বুঝতে পারছি, নিজের শরীর এখন ভালো বুঝি আগের চেয়ে। কিভাবে কাজ করলে আমার শরীরের জন্য ভালো হবে, ডায়েট, রানিং, ট্রেনিং কোনটা আমার উপযোগী, সেসব বুঝতে পারছি। আমাদের নতুন যে ফিজিও এসেছে জাতীয় দলের, জুলিয়ান (কালেফাতো), ওর কাজের ধরন খুব ভালো। জাতীয় লিগ শুরুর আগে দুই সপ্তাহ ট্রেনিং করেছি ওর সঙ্গে। আমার জন্য খুব ভালো শিডিউল করে দিয়েছিল। পরিশ্রম করেছি অনেক। সেটার ফল পেয়েছি জাতীয় লিগে। এখন আল্লাহ যদি চান, সামনে বিপিএল আছে, আশা করি এখানে ভালো করে জাতীয় দলে ফিরব। বাংলাদেশের বেশির ভাগ পেসারকে নিয়ে বড় অভিযোগ, টেস্ট খেলা বা ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ম্যাচের প্রতি প্যাশন ততটা নেই। এবার জাতীয় লিগে যেমন বোলিং করলেন, আপনার তাড়না কি বেড়েছে? তাসকিন: আমি সবসময়ই বলেছি যে টেস্ট খেলতে চাই। ভালো করতে পারিনি হয়তো নানা কারণে। কিন্তু খেলতে চাই। অন্যদের কথা সেভাবে বলতে পারি না। তবে আমার মনে হয়, অনেক বাস্তবতা সবার বোঝা উচিত। আমাদের কন্ডিশন, আমাদের উইকেট পেসারদের উপযোগী নয়। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো নয়। আমাদের শরীরও এখানকার মতো করেই গড়ে উঠেছে। এখানে টানা বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেললে ইনজুরিতে পড়তেই হবে পেসারদের। এসব কারণে অনেকের অনীহা থাকতে হবে। তাছাড়া এটা ক্রিকেট কালচারের ব্যাপার। আস্তে আস্তে সব ভালো হবে। আমি জানি যে ফিট থাকলে আমি টেস্ট খেলতে চাই। এজন্যই এবার জাতীয় লিগ নিয়ে এত সিরিয়াস ছিলাম। বিপিএল দিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে চান বললেন। গত বিপিএলেও ২২ উইকেট নিয়ে ছিলেন দ্বিতীয় সেরা উইকেট শিকারি। এরপর জাতীয় দলে ফিরলেও নিউ জিল্যান্ড যেতে পারলেন না ইনজুরির জন্য। একই কারণে বিশ্বকাপে সুযোগ হলো না। আয়ারল্যান্ডে গেলেও ম্যাচ খেলা হলো না, শ্রীলঙ্কা সফরেও ম্যাচ খেলতে পারলেন না। কতটা হতাশার ছিল এই এক বছর? তাসকিন: জাতীয় দলে ডাক পাওয়া বা একাদশে সুযোগ পাওয়া তো আমার হাতে নেই। তখনও চেষ্টা করেছি ভালো করতে, এখনও করছি। জাতীয় দলে তো সবসময় খেলতে ইচ্ছে করেই। কিন্তু সেটি আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমার কাজ খেলাটা উপভোগ করা। সেই চেষ্টা করছি। বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে তো একদম ভেঙে পড়েছিলেন! তাসকিন: তখন আমার ক্রিকেট থেকে মন উঠে গিয়েছিল। কয়েক দিন কিছুই ভালো লাগেনি। তখন আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আমার বাবা আমাকে বুঝিয়েছেন। বাবাই আমার সব। মা বুঝিয়েছেন। তার পর আবার ক্রিকেটের প্রতি টান ফিরে পেয়েছি। এই ঘটনা কি জীবনে একটা শিক্ষাও? তাসকিন: শিক্ষাএমন শিক্ষা আর দরকার নেই জীবনে। যে শিক্ষা আমাকে কাঁদিয়েছে, সেই শিক্ষা দরকার নেই। অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। কারণ ফিট হতে তখন অনেক ট্রেনিং করেছিলাম, আশা ছিল। এখনও পর্যন্ত ক্রিকেট থেকে জীবনে সবচেয়ে বড় কষ্ট আমার সেটিই। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ম্যাচ খেলতে পারলে হয়তো কিছু করে দেখাতে পারতাম। আমার মনে হয়, একটা সুযোগ আমার প্রাপ্য ছিল। প্রস্তুতি ম্যাচে ছোট মাঠে ভালোই বোলিং করেছিলাম। মূল সিরিজে একটাও চান্স পাইনি। সুযোগ না পেয়েই বাদ পড়াতে বেশি খারাপ লেগেছিল। তবে সেসব পেছনে ফেলে এসেছি। ক্রিকেটে হয় এসব। জাতীয় লিগে অনেক ওভার বোলিংয়ের কথা বললেন। বোলিং স্কিলের কথা বললে, আপনার নিজের সন্তুষ্টির জায়গা ছিল কোনটি? তাসকিন: বল হাতে যা করতে চেয়েছি, সেটি করতে পেরেছি। যে বলটা এফোর্ট ডেলিভারি ছিল, স্লো উইকেটেও লাফিয়েছে যথেষ্ট। সুইং যতটুকু করতে চেয়েছি, পেরেছি। এখন আমার মনে হচ্ছে, আস্তে আস্তে পরিপূর্ণ বোলার হতে শুরু করেছি। এটা আমার আত্মবিশ্বাস। অনেক সময় এমন হতে পারে যে ৫ উইকেট পেয়েছি, কিন্তু বোলিং মন মতো হয়নি। আবার অনেক সময় হয়তো উইকেট পাইনি, তবে যা করতে চেয়েছি, পেরেছি। এটিই এবার আমার তৃপ্তি। যা চেয়েছি, তা করতে পেরেছি। সবচেয়ে ভালো হয়, প্রতিপক্ষ কোচ আর ব্যাটসম্যানদের কাছে শুনে নিলে যে বোলিং কেমন ছিল আমার। তাদের কয়েক জনের কাছ থেকে শুনেই বলছি, গতি নাকি বেশ ভালো ছিল। আপনার নিজের কি মনে হয়, ২০১৫-১৬ সময়টার মতো সেই গতি ও ধারাবাহিকভাবে গতি ছিল? তাসকিন: আমি নিজে নিশ্চিত, বেশির ভাগ স্পেলে ১৪০ কিলোমিটারে বল করেছি। ধারাবাহিকভাবে গড় গতি ধরলে, ১৩৫ কিলোমিটারে করেছি আমার ধারণা। ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি আমরা সহজাত ছিল, সঙ্গে সুইং আর কিছু যোগ হয়েছে? তাসকিন: ইন-কাট তো আমার ন্যাচারাল। আরও সুইং যোগ করা আসলে সময়ের ব্যাপার। অ্যাকশন-রান আপ, রিস্ট পজিশন, অনেক কিছু নিয়ে লম্বা সময় কাজ করার ব্যাপার। আমি ইনজুরিতে থেকেছি অনেকটা সময়। কাজ করার সুযোগই মিলেছে কম। তার পরও আমি মনে করি, আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে এসবে। জাতীয় দলের ক্যাম্পে তো নতুন বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টের সঙ্গে কিছুদিন কাজ করেছেন। তিনি কি বলেছিলেন? তাসকিন: খুব বেশি কিছু যোগ করতে বলেননি। আমার সর্বোচ্চ গতিটা পেতে বলেছেন। যত জোরে সম্ভব বল করা ও আরও বেশি সিমে হিট করা, আমাকে বলেছেন এই দুটিই বেশি করতে। আরও শার্প হওয়ার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমি কাজ করে চলেছি। ফিটনেস ভালো করা, বোলিংয়ে উন্নতি করা। মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার ব্যাপারও আছে। মানসিকভাবে কি আগের চেয়ে আরও শক্ত হতে পেরেছেন? তাসকিন: তাই তো মনে হয়। শক্ত হচ্ছি। যত বয়স বাড়ছে, তত বুঝতে পারছি, ইমোশনের খাওয়া নেই। ব্যক্তিগত জীবন থেকেই শিখেছি। ক্রিকেটে বলেন, পরিবার বলেন, জীবনে বলেন, আমি বুঝে গেছি যে আবেগের খাওয়া নেই। আরেকটা ব্যাপার বুঝতে পেরেছি, কেউই কারও নয়। বাবা-মা ছাড়া, কেউই কারও নয়। একসময় আমার সাফল্য ছিল, বন্ধুরও অভাব ছিল না। চারপাশে অনেকেই ছিল। দুঃসময়ে তাদের একজনকেও পাইনি। একজনকেও না। যখন ইনজুরিতে পড়েছি তখন ওদের সময় না দিয়ে ট্রেনিংয়ে-প্র্যাকটিসে সময় দিয়েছি বেশি, এসব তাদের ভালো লাগে না। তো লাগবে না আমার তোদের। আমার দারুণ একটি পরিবার আছে, বাবা-মা, বোন, স্ত্রী-বাচ্চা আছে, ওদের নিয়ে অনেক ভালো সময় কাটছে। বন্ধুদের প্রসঙ্গ যখন এলোই, আপনার বিরুদ্ধে আগে অভিযোগ ছিল হয়তো পর্যাপ্ত ট্রেনিং করছেন না বা ট্রেনিংয়ের পর শরীরকে যথেষ্ট রিকভারি টাইম দিচ্ছেন না। হয়তো আপনার জীবনে শৃঙ্খলা কম ছিল বলে বোলিংয়ের গতিও কমে যাচ্ছিল তাসকিন: লোকের কথা নিয়ে ভাবি না। লোকে তো দূর থেকে দেখে মন্তব্য করে, জানেও না কিছু ভালো করে। আমার গতি কমে যাওয়ার মূল কারণ ছিল পিঠের ইনজুরি। আমি যখন ১৪৫, ১৪৭ কিলোমিটারে বোলিং করেছি, তখন প্রশ্ন ওঠেনি। লাইফ স্টাইল তখনও আমার একই ছিল। কেউ কিছু বলেনি। কিন্তু ইনজুরির জন্য যখন ধুঁকছি, তখন কথা বলা শুরু করল। নিদাহাস ট্রফির সময় (গত বছর শ্রীলঙ্কায়) আমার কোমরে প্রচণ্ড ব্যাথা। ইনজেকশন নিয়ে খেলতে হয়েছে। ১৩০ কিলোমিটারে বল করেছি। সবাই বলেছে অমুক কারণে তমুক কারণে গতি কমেছে। যাই হোক, আবার তো খেলা হবে। স্পিড গান থাকবে। যদি পুরো ফিট থাকি, দেখবেন গতি কেমন। আমার বিশ্বাস আছে, সুস্থ থাকলে অবশ্যই ১৪০ কিলোমিটারে বল করতে পারব। ধরে নিলাম, চোটের কারণেই গতি কমেছিল। কিন্তু লাইফ স্টাইল? একজন পেসারের তো অনেক শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন কাটাতে হয়। কতটা বদলেছেন আগের চেয়ে? তাসকিন: অনেক বদল এসেছে জীবনে। আগের চেয়ে অনেক গোছালো আমি। অনেক ভেবে কাজ করি। কিছুটা রিজার্ভড, সিলেক্টিভ। যে কেউ ডাকলেই যাই না। অনেক কিছু চিনেছি, বুঝেছি। বিয়ে করা, বাবা হওয়ার প্রভাবও কি আছে এসবে? তাসকিন: সত্যি বলতে, ততটা নয়। আমি এখনও ছোট, আমার বউও। ২৫ বছর বয়স আমার, বউয়ের ২৩। এর মধ্যে বাবুও হয়েছে। আমরা এখনও হয়তো অনেক কিছু বুঝি না। আমার দ্রুত বিয়ে করার মূল কারণ ছিল, ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল ৯ বছরের, সেই ক্লাস টেন থেকে। ওর বাসা থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে ওদের পরিবারকে বুঝিয়ে বিয়ে করেছিলাম। এরপর অনেক নেতিবাচক কথা ছড়ানো হয়েছিল। যাহোক, ওসব নিয়ে চিন্তা করি না। কিছু তো শিখছিই পারিবারিক জীবনে। তবে তার চেয়ে বেশি শিখেছি নিজের জীবন থেকে, বিশেষ করে গত এক-দেড় বছরে। এজন্যই পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি নিজেকে। সামনের পথচলায় কিভাবে এগোতে চান? তাসকিন: আরও ডিসিপ্লিনড হতে চাই। আরও ভালো বোলার, ভালো মানুষ হতে চাই। আরও অন্তত ১০ বছর জাতীয় দলে খেলতে চাই। সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করতে চাই। বাংলাদেশ দলে আরেকবার সুযোগ পেলে যেন বাইরে যেতে না হয়। সব ফরম্যাটে যেন নিয়মিত খেলতে পারি। আপাতত মনোযোগ দিচ্ছি বিপিএলে। আমার দল যেন ভালো করে, আমি ভালো করে যেন জাতীয় দলে ফিরতে পারি। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, বিপিএল বড় সুযোগ। কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আগের এক-দেড় বছর দারুণ বোলিং করেছেন। সেই সময়টা মিস করেন কতটা? তখনকার বোলিংয়ের ভিডিও দেখেন? তাসকিন: দেখি, তবে কম। অন্যদের ভিডিও বেশি দেখি। ডকুমেন্টারি দেখি। সেদিন জাসপ্রিত বুমরাহর ভিডিও দেখছিলাম। জিমি অ্যান্ডারসন, ডেল স্টেইনের ভিডিও দেখতে ভালো লাগে। কিছু শেখার চেষ্টা করি। বুমরাহর ইয়র্কার প্র্যাকটিস দেখছিলাম। আমার স্লোয়ার আছে তিন-চার ধরনের, ব্যাক অফ হ্যান্ড, অফ কাটার, নাকল। গত বিপিএলে নাকলে ৬টি উইকেট পেয়েছিলাম। ফিট থাকলে আমার বাউন্সার ঠিক আছে, গতি বাড়ছে। ইয়র্কারটা ভালো করা দরকার। চেষ্টা করছি। সূত্র : বিডিনিউজ এন এইচ, ০৪ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/34JqJae
December 04, 2019 at 07:40AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top