মুম্বাই, ২৮ ডিসেম্বর- যৌন হয়রানির প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে শুরু করা #MeToo ক্যাম্পেইন ভারতে সাড়া ফেলে এক বছরেরও বেশি আগে। এই আন্দোলন সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তৈরি করে যখন বলিউডের একাধিক তারকা তাদের সঙ্গে হওয়া যৌন হয়রানির ঘটনা তুলে ধরতে শুরু করেন। যৌন হেনস্থাকারীর তালিকায় নাম ওঠে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন অভিনেতা, গায়ক, প্রযোজক ও পরিচালকের। বলিউডে #MeToo আন্দোলনের সূত্রপাত করেন আশিক বানায়া আপনে খ্যাত অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। তার সঙ্গে দশ বছর আগে ঘটে যাওয়া এক যৌন হয়রানির অভিযোগ সামনে নিয়ে আসেন তিনি। আঙুল তোলেন প্রবীণ অভিনেতা নানা পাটেকরের দিকে। বলেন, একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন নানার দ্বারা তিনি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। যদিও নানা পাটেকার সেসময় দাবি করেছিলেন যে, তনুশ্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং এই অভিযোগের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আছে, তা তিনি খতিয়ে দেখবেন। তনুশ্রীর দেখানো পথে পরবর্তীতে বলিউডের অন্তত ৬০ তারকাব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তনুশ্রী দত্তের অভিযোগের পর বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা শিল্পী যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করা শিল্পীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। নিজেদের ঘটনা যারা প্রকাশ করেছিলেন শুধু তাদের পক্ষেই নন, যেসব নারীরা সামাজিক চাপ এবং কাজ না পাওয়ার আশঙ্কায় চুপ থেকেছেন, তাদের সমর্থনেও কথা বলেন অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী। বলিউডের আগে #MeToo আন্দোলন শুরু হয়েছিল হলিউডে। অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে মনে করেন, হলিউডে #MeToo আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর ভুক্তভোগী নারীদের সমর্থনে তাদের পুরুষ সহকর্মীরা যেরকম অবস্থান নিয়েছিলেন, বলিউডেও সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে আন্দোলন আরো সফল হতো। কিন্তু বলিউডে খুব কম সংখ্যক পুরুষ তারকা তাদের নারী সহকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন। গত বছর প্রযোজক বিনতা নন্দা অভিযোগ তোলেন যে, ১৯৯৯ সালে আরেক প্রবীণ অভিনেতা অলক নাথ তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিলেন। তিনি আদালতে মামলাও করেন। জবাবে অলক নাথ অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো মানহানির মামলা করেন বিনতা নন্দার বিরুদ্ধে। সে সময় অভিযুক্ত অভিনেতা অলক নাথকে গ্রেপ্তার না করে জামিন দিয়ে দেয় আদালত। হতাশ বিনতা নন্দা তখন বলেছিলেন, #MeToo আন্দোলনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছিল এবং এখনও সোশ্যাল মিডিয়ার ভেতরেই সীমাবদ্ধ আছে। এটিকে আইনি স্বীকৃতি দিতে এখনও অনেক কাজ করতে হবে। তবে শীর্ষ পর্যায়ের শিল্পীরা এই আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার হলে এর সফলতা লাভ সম্ভব বলে মনে করেন বিনতা। এদিকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলার কারণে অনেকেই কর্মক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অভিনেত্রী ও পরিচালক কঙ্কনা সেন শর্মা। তিনি বলেন, এমন অনেক নারীই আছেন, যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলার পর যাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অনেকে হাস্যরসের শিকারও হয়েছেন। আর/০৮:১৪/২৮ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/353mQfJ
December 28, 2019 at 08:47AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top