ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি- পাকিস্তান সফরে ক্রিকেটারদের ভ্রমণ ক্লান্তি এবং নানা ঝক্কি-জামেলা কমানোর জন্য সাধারণ বিমানে ভ্রমণ না করে ভাড়া করা বিমানে লাহোর নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাতে অন্তত ১২ ঘণ্টার সফর ক্রিকেটাররা সম্পন্ন করে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায়। ভাড়া করা বিশেষ বিমানে ২২ জানুয়ারি রাত ৮টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে রওয়ানা দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। লাহোর গিয়ে পৌঁছায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে লাহোর থেকে ২৭ জানুয়ারি রাতেই দেশে ফিরে আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অ্যান্ড কোং। টাইগারদের পাকিস্তানে আনা-নেয়া করার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বাংলাদেশ বিমানের মেঘদূত উড়োজাহাজকে ভাড়া করে। বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ মেঘদূতের ধারণক্ষমতা ১৬২ জন। ঢাকা-লাহোর-ঢাকা, ক্রিটেদারদের আনা-নেয়া করার জন্য বিসিবিকে গুনতে হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যায় হলেও ভাড়া করা উড়জাহাজে যাতায়াত করায় ক্রিকেটারদের ঝক্কি কমার সঙ্গে, সময়ও বেঁচেছিল অনেক। তবে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আরও দুইবার যাবে পাকিস্তানে। সে দুবারে সেখানে তারা খেলবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং একটি ওয়ানডে। পরবর্তী পাকিস্তান সফর ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ। ৭ তারিখ থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। চলবে ১১ তারিখ পর্যন্ত। ১২ তারিখ আবার রাওয়ালপিন্ডি থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা আর ভাড়া করা বিমানে ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে নেবে না। যাবে সাধারণ ফ্লাইটে। দোহায় যাত্রা বিরতি দিয়ে ইসলামাবাদ পৌঁছাতে বাংলাদেশ দলের সময় লাগবে ১২ ঘণ্টা। ইসলামাবাদ থেকে আবার রাওয়ালপিন্ডি যেতে সময় লাগবে ৩০ মিনিট। প্রথম টেস্ট খেলতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে বাংলাদেশ দল। এবার যাবে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে। দোহায় যাত্রা বিরতি দিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টার বিমানভ্রমণ শেষে বাংলাদেশ দল ইসলামাবাদে পৌঁছাবে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায়। এরপর ইসলামাবাদ থেকে যাবে রাওয়ালপিন্ডি। টেস্ট শেষে বাংলাদেশ ঢাকায় রওনা দেবে ১২ ফেব্রুয়ারি। কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে বাংলাদেশ দলের যাওয়া-আসার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খান। মিডিয়াকে তিনি বলেন, এবার ভাড়া করা বিমান নয়, দল যাবে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান সফরের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে আকরাম জানালেন, বেশিরভাগ সময়ই তাদের কেটেছে হোটেল আর মাঠে। বিসিবি যে তালিকা পাঠিয়েছিল পিসিবিকে, তাদের কারও হোটেল আর মাঠের বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। বাংলাদেশ দলের একাধিক ক্রিকেটারও একই কথা বলেছেন। খুব একটা ঘোরাঘুরি সুযোগ না থাকলেও সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা নিয়ে খেলোয়াড়েরা সন্তুষ্ট। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২৮ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2u13Phx
January 28, 2020 at 05:30PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন