ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি - টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনিবার্যভাবেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লঙ্গার ভার্শন ক্রিকেট। কিন্তু এটি বরাবরই উপেক্ষিত এবং অপরিকল্পিত, অবিন্যস্ত। যে কারণে এখনও বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামো এখনও বেশ নড়বড়ে। ক্রিকেটাররাও খুব একটা উৎসাহ পান না। সে কারণেই জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)- দুটোই এখনও পিকনিক আমেজেই রয়ে গেছে এবং ব্যবস্থাপনায় থাকছে রাজ্যের ত্রুটি-বিচ্যুতি। এবারের বিসিএলও ব্যতিক্রম। টুর্নামেন্টের সূচিতে স্পষ্ট অদূরদর্শিতার ছাপ। কালের আবর্তে ২১শে আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। কিন্তু এর পেছনের ইতিহাস বাঙালির ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয়ার ইতিহাস। সে কারণে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবেও জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। অথচ, এবারের ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখেই দেয়া হয়েছে বিসিএল ফাইনাল। অর্থাৎ ২১ তারিখ থেকেই শুরু হবে বিসিএলের চারদিনের ফাইনাল ম্যাচ। এটা আইসিসির কোনো ইভেন্ট হলে মানা যেত। কিন্তু আসরটি বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের। সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারির মতো তাৎপর্যময় দিনে বিসিএলের ফাইনাল শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা নেহায়েত অদূরদর্শিতা। সূচি নির্ধারণের আগে টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্টরা যে পারিপার্শ্বিক সকল অবস্থা ঠিকভাবে খুঁটিয়ে দেখেনি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তথা ২১ ফেব্রুয়ারিতে ফাইনাল ম্যাচ রাখা- তারই প্রমাণ। এছাড়াও ৩১ জানুয়ারি (শুক্রবার) থেকে শুরু হওয়া আসরের একটি ম্যাচ রাখা হয়েছে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামও। অথচ ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি নির্বাচনের কারণে রাজধানীতে বন্ধ থাকবে সকল যানবাহন। যা কি না সংবাদকর্মীসহ ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য মাঠে পৌঁছার ক্ষেত্রে অনেক বড় অন্তরায়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ৩১ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2uMQ9Xp
January 31, 2020 at 06:32AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন