ঢাকা, ২০ জানুয়ারি - ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়টুকু উদ্যাপিত হবে মুজিব বর্ষ হিসেবে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মুজিব বর্ষ উদ্যাপনের নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, বেশ একটা কর্মযজ্ঞ চলছে। আর এই কর্মযজ্ঞ থেকে বাদ যায়নি দেশের ক্রীড়াঙ্গনও। ক্রিকেট থেকে শুরু করে ফুটবল কিংবা অ্যাথলেটিকস- প্রায় সবখানেই থাকছে মুজিববর্ষের ছাপ। তবে সেই ছাপে রয়েছে কিছুটা কালিমার দাগও। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে যখন ব্যস্ত সবাই, তখন ঝুঁকি থাকা স্বত্বেও দীর্ঘ ১২ বছর পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সবশেষ ২০০৮ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে ৫ ওডিআই আর ১ টি-টুয়েন্টি খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ক্রিকেট থেকে পাকিস্তানকে নির্বাসনে পাঠানোর পর টাইগারদের পা পড়েনি পাকিস্তানের মাটিতে। যদিও এর মাঝে দেশের মাটিতে ক্রিকেট ফেরাতে বহুবার বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব আর ক্রিকেটারদের মতামত না থাকাতে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তান-বাংলাদেশের যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ রয়েছে সেটা ছিল আগেই ঠিক করা। এফটিপি অনুসারে আর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুই টেস্ট আর তিনটি টি-টুয়েন্টি খেলার কথা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। তাতে অবশ্য নির্দিষ্ট করা ছিলনা ভেন্যুর বিষয়টি। গত ১০ বছর যাবত আরব আমিরাতকে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করেছে দেশটি। তবে গত বছরের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কা দল পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট খেলাতেই বেঁকে বসেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশকে একপ্রকার বাধ্য করেই তাদের মাটিতে খেলাচ্ছে দেশটি। নিয়মানুযায়ী তিন ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে যদি বাংলাদেশ অস্বীকৃতি জানাতো, তাহলে ক্ষতি ছিল না বাংলাদেশের। আর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই টেস্ট আগামী দুই বছরের যেকোন সময়েই খেলতে পারতো দুই দেশ। তবে বিসিবি কেন তড়িঘড়ি করে এই মুজিববর্ষেই পাকিস্তান সফরে রাজি হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। কদিন আগে সাবেক পাকিস্তানি পেসআর শোয়েব আখতার জানিয়েছেন, শুধু শুধু পাকিস্তান সফরের জন্য রাজি হয়নি বিসিবি। দুই বোর্ডের মাঝে নিশ্চয়ই কোন গোপন চুক্তি হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানি মিডিয়ার দাবি, আসন্ন এশিয়া কাপ যেটা পাকিস্তানের আয়োজন করার কথা, সেটা বাংলাদেশকে আয়োজন করতে দেবার বদলেই বাংলাদেশকে রাজি করানো হয়েছে। তবে চুক্তি যেটাই হোক না কেন, মুজিববর্ষে পাকিস্তানের মাটিতে দেশের ক্রিকেটের পথচলা শুরু হওয়াটা একদিকে যেমন অস্বস্তির, অন্যদিকে ক্রিকেটারদের জন্য থাকছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। যে ঝুঁকিতে সরে দাঁড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিমসহ কোচিং স্টাফের পাঁচজন। সাথে নেই নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং পেস বোলিং কোচ। তবুও পাকিস্তানে দুই টেস্ট, তিন টি-টুয়েন্টি আর একটি ওয়ানডে খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভাঙাচোরা দল পর্যাপ্ত পরিকল্পনার অভাব নিয়ে মুজিববর্ষে পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ দলের নাকানিচুবানি খাওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়। তবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে এরকম উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনের কারণটা কি পরিষ্কার করবে দেশের ক্রিকেট বোর্ড? নাকি প্রতিবারের মতো এবারও দলের ব্যর্থতার দায়ভার শুধুই ক্রিকেটার আর কোচিং স্টাফদের কাঁধে চাপবে? সূত্র : বাংলা ইনসাইডার এন এইচ, ২০ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/36g6dhC
January 20, 2020 at 07:50AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন