ঢাকা, ১০ জানুয়ারি- লক্ষ্যটা বড় ছিল না। তবু সেই রানটিই তুলতে পারল না ঢাকা প্লাটুন। বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখালো দলটি। শেষ অবধি ১৩৮ রান তুলতে সামর্থ্য হলো তারা। এতে ১১ রানের জয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করল রংপুর রেঞ্জার্স। ১২ ম্যাচ খেলে ৫ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর থেকে বিদায় নিল তারা। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে ৭ জয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। ইতিমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তারা। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভূমিকাতেই হোঁচট খায় ঢাকা। রানআউটে কাটা পড়েন আনামুল হক। পরে মেহেদী হাসানকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হতেই পথচ্যুত হয় দলটি। ব্যক্তিগত ২০ রান করা মেহেদীকে তুলে নিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন সানি। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তামিম। একই বোলারের শিকার হয়ে ৩৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ঢাকার ব্যাটিং অর্ডার। তাসকিন আহমেদের বলে ফেরত আসেন মুমিনুল হক ও আসিফ আলি। অল্প বিরতিতে শাদাব ও ফাহিম আশরাফকে ফিনিশ করেন জুনায়েদ খান। আর আরিফুল হককে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান মোস্তাফিজুর রহমান। এদের আগে পেরেরাকে কাটেন গ্রেগরি। মূলত সেখানেই ম্যাচ হেরে যায় রাজধানীর দলটি। শেষদিকে চেষ্টা করেন মাশরাফি। তবে সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ১২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। রংপুরের হয়ে তাসকিন, জুনায়েদ, সানি নেন ২টি করে উইকেট। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন ঢাকা প্লাটুন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফলে আগে ব্যাটিং করতে নামে শেন ওয়াটসনের রংপুর রেঞ্জার্স। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাশরাফির শিকার হন ওয়াটসন। তার পর মেহেদী হাসানের বলে ক্যামেরন ডেলপোর্ট দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে দলটি। পরে লুইস গ্রেগরিকে নিয়ে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন নাঈম শেখ। তবে সফল হতে পারেননি তিনি। শাদাব খানের বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। এরপর আল-আমিনকে দলের হাল ধরেন গ্রেগরি। ধীরে ধীরে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন তারা। ক্রিজে সেটও হয়ে যান এ জুটি। তবে রানের গতি মন্থর ছিল। সেটা বাড়াতে গিয়ে থিসারা পেরেরার বলির পাঁঠা হন গ্রেগরি। ফেরার আগে ৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। মূলত তার লড়াইয়ে মাঝারি পুঁজি গড়ার ভিত পায় রংপুর। পরে সেটার ওপর দাঁড়িয়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন আল-আমিন। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা জহুরুল ইসলামের কাছ থেকে ভালো সমর্থনও পান তিনি। তাতে ঘুরে দলের রানের চাকা। কিন্তু হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যান আল-আমিন। শাদাব খানের বলে বিদায় নেন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন এ মিডলঅর্ডার। জোট ভাঙার পর তৎক্ষণাৎ ফেরেন জহুরুল। থিসারা পেরেরার বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ৩ চারে ২৮ রান করেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। পরে আর কেউ ঝড় তুলতে পারেননি। উল্টো পেরেরার বোলিং তোপে পড়ে রংপুর। সোজা বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তাসকিন আহমেদ। এতে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান পেরেরা। তবে বাস্তবে রূপদান করতে পারেননি তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান ও আরাফাত সানি রানআউটে কাটা পড়েন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৮ রান করে উত্তরবঙ্গের দলটি। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেরেরা। আর ২ উইকেট নেন শাদাব। সূত্র : যুগান্তর এন কে / ১০ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2QFnUSX
January 10, 2020 at 02:00PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন