ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি - দক্ষিণ আফ্রিকায় চলছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। যুব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর শেষ হতেই অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হবে নারী ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নতুন বছরে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রথম বড় মিশন এ বিশ্বকাপই। এ টুর্নামেন্টের জন্য এরই মধ্যে স্কোয়াডও ঘোষণা করে দিয়েছে বিসিবি। বিশ্বকাপের আগে চলতি মাসেই ভারতের মাটিতে অনানুষ্ঠানিক এক চার জাতি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে সালমা খাতুনের দল। যার ফলে আসন্ন বিশ্বকাপে নারী দলকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতে বাধা নেই বলে মনে করছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। শুধু চার জাতি টুর্নামেন্টেই নয়, নারী দলের হাত ধরে ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় কোনো শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। তাই এ দলের প্রতি প্রত্যাশাও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তবে তিনি এটিও স্বীকার করে নিয়েছেন যে নারী দলের ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধায় ঘাটতি রয়েছে অনেক। আজ (বৃহস্পতিবার) সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপে নারী ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ মিশনের ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি বলেন, প্রত্যাশা তো সবসময়ই বেশি। বাংলাদেশ দল, দেশের প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছে, প্রত্যাশা তো আছেই। তবে আমি মনে করি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে এটাই প্রথম কথা আর এটা আমাদের জন্য গৌরবের একটি বিষয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নারী দল যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে খুব ভালো যে তা বলব না। তিনি আরও যোগ করেন, তবে খারাপ না। এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন। সেদিক থেকে অবশ্যই আমরা ভালো অবস্থায় আছি। কিন্তু এটা তো অস্বীকার করার সুযোগ নেই, ছেলেদের যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় মেয়েদের আমরা তা দিয়ে উঠতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়, কতো তাড়াতাড়ি তাদের সেই ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি। এ সময় নারী দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলন যথাযথ হয়েছে বিধায় আত্মবিশ্বাসটাও ওপরের দিকে রয়েছে বলে জানান বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, এদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে। এটাই অনেক কিছু। আর বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে তারা ভারতে যে সিরিজটা খেলে এসেছে, সেখান থেকে কিছুটা হলেও মনোবল পাবে। কারণ সেখানে ভারতীয় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাই তো ভাগ হয়ে খেলেছিল। কাজেই আমার মনে হয় এটা আমাদের প্লেয়ারদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াবে। অনুশীলনটা তো হয়েছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু বিশ্বকাপের মূল আসরের খেলা। এর আগে রয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচের পর্ব। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মূল ম্যাচ ২৪ ফেব্রুয়ারি। এ টুর্নামেন্টে খেলার জন্য নির্ধারিত সময়ের সাতদিন আগেই অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে বাংলাদেশ নারী দল। যাতে করে ভালো করার জন্য যথাযথ প্রস্তুতিটা নিতে পারেন সালমা-রোমানারা। কারণ, বিসিবি সভাপতির বিশ্বাস রয়েছে, এই দলটা ভালো করবে, আমরা বিশ্বকাপের ৭ দিন আগে সেখানে চলে যাচ্ছি প্লেয়ারদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করার জন্য। সবদিক থেকে যতটুকু করতে পেরেছে, আরও করতে পারলে অবশ্যই আরও ভালো হতো। একটা জিনিস আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমাদের এই নারী দল সামনে আরও অনেক সাফল্য এনে দেবে। এইটুক বিশ্বাস আছে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে এ গ্রুপে জায়গা হয়েছে বাংলাদেশের। যেখানে অন্য চার দল হলো অস্ট্রেলিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড। ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া, ২৯ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড ও ২ মার্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়বে টাইগ্রেসরা। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল পাবে সেমিফাইনালের টিকিট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী দল সালমা খাতুন (অধিনায়ক), রুমানা আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), জাহানারা আলম, শামীমা সুলতানা, মুরশিদা খাতুন হ্যাপি, আয়েশা রহমান, নিগার সুলতানা জ্যোতি, সানজিদা ইসলাম, খাদিজাতুল কুবরা, পান্না ঘোষ, ফারজানা হক পিঙ্কি, নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, রিতু মনি, শুভানা মোস্তারি। স্ট্যান্ডবাই : শায়লা শারমিন, সুরাইয়া আজমিম, লতা মণ্ডল, পূজা চক্রবর্তী, রাবেয়া। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ৩১ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2S6zeH9
January 31, 2020 at 02:47AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন