ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি- বাংলাদেশ দলের খেলা দেখে তিনি অনেকটাই অবাক। বিস্মিত। তার মনে হয় বাংলাদেশ সাধারণতঃ যা খেলে এবার পাকিস্তানে তার উল্টোটা খেলেছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের উপলব্ধি এবং সোজা-সাপটা কথা, টিম বাংলাদেশকে আমি আগে কখনোই এতটা রক্ষণাত্মক দেখিনি। যেটা একদমই নতুন ব্যাপার। শুধু তাই নয়। দলের বেশ কিছু সিদ্ধান্তও বিসিবি প্রধানকে অবাক করেছে। তিনি কিছু বিষয় মেলাতে পারছেন না। তার ভাষায়, আমি আসলে জানতে ও বুঝতে চাচ্ছি। আমার মনে হয় কিছু বিষয় পরিষ্কার হওয়া খুব দরকার। তার মনে হয় বাংলাদেশ দল ঠিকমত উইকেট বুঝে উঠতে পারছে না। টস জিতে সিদ্ধান্ত কি হবে? আগে না পরে কখন ব্যাটিং করবে দল? টার্গেট কত হবে? কোন পিচে কত রান লড়াকু স্কোর আর কতটা পুঁজি নিরাপদ? বিসিবি সভাপতির মতে, আজকাল এসব বিষয় ঠিক মত ঠাউরে উঠতে সমস্যা হচ্ছে দলের। তাই নাজমুল হাসান পাপনের কথা, আসলে কিছু বিষয় বুঝতে হবে এবং সেটা খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজমেন্টের সাথে বসতে হবে। বসে কি আলাপ করবেন? বিসিবি সভাপতির ব্যাখ্যা, অনেক কিছু আসলে এখনো বুঝতে হবে। বসতে হবে। খেলোয়াড়, কোচ এবং ম্যানেজমেন্টের সাথে। কয়েকটা প্রশ্ন ছিলো আমার। রিয়াদ, তামিমের সাথে বসেছিলাম। প্রথম প্রশ্নটাই ছিলো- ব্যাটিং এমন খাপছাড়া কেনো? এতো বছর পর পাকিস্তানে আসলাম। ব্যাটিং নিলাম কেনো টস জিতে? আমরা চেজ ভালোই করি। ওরা বলছিলো- এটা ব্যাটিং পিচ, তাই নিয়েছে। খেলা দেখে তা মনে হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে ওরা বলেছিলো, ১৫০-এর লক্ষ্য। এখন তো ১৮০ মিনিমাম ধরা হয়; কিন্তু ওরা হয়তো মনে করেছে ১৫০-ই যথেষ্ট। এটা কেনো? সেটা আর জিজ্ঞেস করা হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচের পর আবার বসেছিলাম। তখন অনেক কথা হয়েছে। ভারতের সাখে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্টের উদাহরণ টেনে পাপন বলেন, কলকাতার ইডেনেও দেখেছি টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছি আমরা। অচেনা পরিস্থিতিতে। দিবারাত্রির টেস্টে আমরা আগে খেলিনি, তারওপর গোলাপি বলে খেলা- সবটাই অচেনা, অজানা। অনভ্যস্ততার চরম। এর মধ্যে কি না, আমরা টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলাম। আর এবার পাকিস্তানে গিয়েও মনে হয় আমরা উইকেট বুঝতে পারিনি। আমার প্রশ্ন জাগে ওরা (বাংলাদেশ দল) কি, তাহলে উইকেট বোঝেনি? যদি না বুঝে থাকতো তাহলে আমাদের সেটা বললে তো, আমরা সাহায্য করতে পারতাম। শুধু টস জিতে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করা, লক্ষ্য নির্ধারণে অদুরদর্শিতাই শেষ নয়। বিসিবি বিগ বস বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার সাজানোতেও অসন্তুষ্ট। ব্যাটিং অর্ডারটাও তার মনপূতঃ হয়নি। তাই মুখে অমন কথা, তামিম যখন ছিলো না, গত দুটি সিরিজে, তখন লিটন দাস ও নাইমকে ওপেন করিয়েছি। আবার সৌম্য আছে। যে ওপেন করে। দ্বিতীয় ম্যাচে নাইম আউটের পর- লিটন বা সৌম্যকে না নামিয়ে হঠাৎ করে মেহেদিকে নামানো হয়েছে। আমার মনে হয় না, এটা লজিক্যাল। সেটা হলে তিনে লিটনের নামার কথা। চারে যেহেতু মুশফিক নাই, রিয়াদ আসতে পারে। তার অনেক দিনের ইচ্ছা উপরে খেলার; কিন্তু ওকে মনে হয়েছে, পারলে সবার শেষে, শেষ ওভারে নামে। তাদের সঙ্গে অনেক কথা বলেছি। সব আপনাদের বলা যাবে না। তবে একটা জিনিস স্পষ্ট ১৩০-১৪০ করে কারো সাথেই জেতা যাবে না। ওদের সাথে আবার বসতে হবে। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২৯ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2RXUKhj
January 29, 2020 at 07:32PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন