ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি- তার সামনে তিন তিনটি বড় সাফল্য, কৃতিত্ব ও প্রাপ্তির সুযোগ ছিল। যার একটি অতি অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। জিতলে প্রথম শিরোপা বিজয়ের স্বাদ পাবার পাশাপাশি প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন টিমের ক্যাপ্টেন হতে পারতেন মুশফিকুর রহীম। এর সাথে টুর্নামেন্টসেরা পারফরমারের পুরস্কার জেতারও হাতছানি ছিল। এছাড়া রান তোলায়ও সবার ওপরে থাকতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য-একটি সাফল্য, কৃতিত্বও ছোঁয়া হয়নি। তার দল খুলনা টাইগার্স চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ফাইনালের আগে রান তোলায় সবার ওপরে থাকলেও শেষ পর্যন্ত এবারের বিপিএলের টপ স্কোরারও হতে পারেননি মুশফিক। ঐ জায়গায় তাকে টপকে বসেছেন তার দল খুলনা টাইগার্সেরই আরেক ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। আর ধারণা করা হচ্ছিলো, ফাইনালে ভালো খেলে দলকে বিজয়ী করতে পারলে মুশফিকই হবেন আসরসেরা পারফরমার। কিন্তু খুলনা টাইগার্স ক্যাপ্টেন আজকের (শুক্রবার) ফাইনালে কিছুই করতে পারেননি। ফিরে গেছেন ২১ রানে। তাই আসরসেরা পারফরমারের পুরস্কারটাও তার হাতে ওঠেনি। কাজেই ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাতটি মুশফিকের মোটেই ভালো কাটেনি। বলা হয় মুশফিক আবেগপ্রবণ। তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবেগ বেশি থাকে। কিন্তু এমন তিন তিনটি বড় কৃতিত্ব অর্জনের হাতছানি থাকার পরও কোনো সাফল্যর দেখা না পেয়েও এতটুকু আবেগতাড়িৎ নন মুশফিক। ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে তার মুখাবয়ব, কথোপকথন আর শরীরী অভিব্যক্তি দেখে বোঝার উপায় ছিল না এতগুলো অর্জনের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। তবে স্বীকার করলেন, আপসেট অবশ্যই। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা ভালো খেলেছি। ফাইনালে উঠে ট্রফি জিততে না পারলে তো খারাপ লাগেই। তাই হতাশা আছে অবশ্যই। পরক্ষণেই আবার বললেন, এবার প্রথমবার ফাইনালে উঠেছি। আশা করছি আগামীতে ফাইনাল খেললে ঠিক ট্রফি জিতব। পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হলে মুশফিক বেশ গুছিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন। তার প্রথম ব্যাখ্যা, ১০ থেকে ১৫ রান বেশি হয়েছে প্রতিপক্ষের। আর তার চেয়ে বড় কথা, খুলনা টাইগার্স ক্যাপ্টেনের ধারণা, শেষদিকে তার সঙ্গে একজন সেট ব্যাটসম্যান থাকলে রান তাড়া করাও সম্ভব হতো। মুশফিক জানান, যখন তিনি উইকেটে যান তখন হিসেব অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল। ওভার পিছু দরকার ছিল ১৫ রান করে। তার ভাষায়, সেটা আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল। তবে দল হিসেবেও তারা সেরাটা দিতে পারেননি ফাইনালে, স্বীকার করলেন খুলনা দলপতি, সত্যি কথা বলতে কি আমরা ফাইনালে যেমন ভালো খেলা উচিত ছিল, ততটা ভালো খেলিনি। অথচ আজ ফাইনালেও প্রথম ১৬ ওভার পর্যন্ত আমাদের বোলিং ভালোই ছিল। কিন্তু শেষ দিকে গিয়ে তা আর ভালো থাকেনি। আমরা ভালো বল করিনি ঐ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। তারপরও রাজশাহী রয়্যালসের ছুড়ে দেয়া ১৭১ রানের লক্ষ্যকে অসম্ভব মনে হয়নি খুলনা টাইগার্স অধিনায়কের। কিন্তু শেষদিকে একজন সেট ব্যাটসম্যানের অভাব খুব বোধ করেছেন মুশফিক। খানিক আফসোসের সুরে মুশফিক বলেন, শেষ দিকে আমার সাথে একজন সেট ব্যাটসম্যান থাকলে ভালো হতো। মুশফিক বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাতে হয়তো দৃশ্যপট ভিন্ন হতে পারতো। তখন হাত খুলে খেলা একটু সহজ হতো। কারণ শেরে বাংলায় রাত বাড়ার সাথে সাথে শিশির বেশি পড়ে। সেটা ব্যাটিংয়ের জন্য ইতিবাচক ও তুলনামূলক স্বচ্ছন্দে খেলা সহজ হয়। ভালো খেলার অনুকূল প্রেক্ষাপটও ছিল। কারণ রাত যত বাড়ে শিশির পড়ে বল ব্যাটে আসে। ভালো খেলা সহজ হয়। কিন্তু সেটা হয়নি খুলনার বেলায়। মুশফিকের কথা, শামসুর রহমান শুভ আর রাইলি রুশো বেশ ভালো খেলে একটা পার্টনারশিপ দাঁড় করিয়ে এগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু দুজনই খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হওয়ায় হিসেবটা আবার জটিল হয়ে ওঠে। আর আমি যখন উইকেটে যাই ততক্ষণে ওভার পিছু লক্ষ্যমাত্রা ১৫ রানে গিয়ে ঠেকেছে। যেটা নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে গিয়ে আমার পক্ষে করা বেশ কঠিন ছিল। কথা শুনে মনে হলো মুশফিক ধরেই নিয়েছিলেন, ওই সময়টায় ওভার পিছু যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সেটা তার আর ফ্রাইলিংকের পক্ষে করা বেশ কঠিন ছিল। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৮ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2R5fHb6
January 18, 2020 at 04:27AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন