ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি - লাহোরে চলছে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ ২৭ জানুয়ারি তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেই ওইদিন রাতেই দেশে ফিরে আসবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার আর মোস্তাফিজরা। দেশে ফিরেও বিশ্রাম মিলবে না। কারণ আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে আবার এক ম্যাচের টেস্ট। এবারের গন্তব্য রাওয়ালপিন্ডি। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট। দেশে ফিরে দিন দুয়েকের হয়তো বিশ্রাম পাবেন ক্রিকেটাররা। এরপর যারা টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি টেস্ট সিরিজও খেলবেন বা টেস্ট দলেও থাকবেন তাদের অনুশীলন শুরু হয়ে যাবে। এদিকে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের বাইরে যারা সম্ভাব্য টেস্ট স্কোয়াডের সদস্য বা যাদের টেস্ট স্পেশালিস্ট বলে ধরা হয়, সেই মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজরা এরই মধ্যে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরুও করে দিয়েছেন ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামে। তার স্বদেশি রাসেল ডোমিঙ্গো জাতীয় দলের সাথে ঠিকই পাকিস্তান গেছেন। তবে পাঁচ কোচিং স্টাফের আর চার বিদেশি কোচের মত পাকিস্তান যাওয়াকে জীবনের ঝুঁকি ভেবে যাননি ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি। তবে এই সময়ে ঠিকই ঢাকা চলে এসেছেন এ প্রোটিয়া। টাইগারদের টেস্ট স্পেশালিস্টদের ব্যাটিং প্র্যাকটিসও করাচ্ছেন শেরে বাংলায়। রোববার শেরে বাংলায় ব্যাটসম্যানদের নিয়ে অনুশীলনে সময় কাটানোর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে টিম বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি বলেন, যে সব টেস্ট ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তারাই এ অনুশীলন ক্যাম্পে আছে। আমি জেনেছি, কয়েকজন তরুণ এ ক্যাম্পে ডাক পেতে যাচ্ছে। তাদের স্কিল উন্নত করার চেষ্টা থাকবে। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে ব্যাটসম্যানদের বের করে আনার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ম্যাকেঞ্জি বলেন, আমরা গত কয়েক মাস ধরেন টেস্টে ভাল করতে পারছি না। ব্যর্থ হচ্ছি। হারের বৃত্তে আটকে আছি। তার মানে যারা টেস্ট খেলছে তারা কিছু পারে না, ব্যাপারটা এমন নয়। আসলে আমাদের আরও ভাল করে টেস্টের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং সবচেয়ে বড় কথা, টেস্ট দলকে নিয়ে আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের সচেতন করতে হবে যে তাদের স্কিল উন্নত করা জরুরি। ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট মানেই হচ্ছে পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারদের, বিশেষ করে দ্রুত গতি, বাড়তি বাউন্স, বাউন্সার আর ইয়র্কার ও রিভার্স সুইংয়ের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া। তাই নেইল ম্যাকেঞ্জির টেস্ট প্রস্তুতিতেও ফাস্টবোলিং মোকাবিলাই পাচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব। তিনি বলেন, আমার মনে হয় পাকিস্তানে ভাল উইকেটেই টেস্ট খেলতে হবে। যেখানে পাকিস্তানী সিম বোলারাই হবেন বড় মাথাব্যাথার কারণ। তাদের প্রায় সবার বলেই আছে বাড়তি গতি, বাউন্স আর ম্যুভমেন্ট। সেগুলো সামলাতে হবে। পাশাপাশি পাকিস্তানিরা সব সময়ই রিভার্স সুইংয়ে দক্ষ। নেইল ম্যাকেঞ্জি তাই প্রস্তুতিতে যে বল একটু বেশি লাফায় বাড়তি বাউন্স করে সেই বলে টেস্টের ব্যাটিং প্র্যাকটিস করানোর তাগিদ দিয়েছেন। তার কথা, আমরা প্রস্তুতিতে বাড়তি বাউন্স নয়, এমন বলেই নেটে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করাচ্ছি। এ সপ্তাহের পুরো সময় জুড়ে রিভার্স সুইং করানোর বিপক্ষে খেলা রপ্ত করার কৌশল নিয়েও কাজ করবো। পাকিস্তানের টেস্ট দলে একাধিক বাঁ-হাতি ফাস্টবোলার আছেন। তাদের কৌণিক ডেলিভারির বিপক্ষে খেলার যথাযথ কৌশল ও টেকনিক রপ্ত করার তাগিদও নেইল ম্যাকেঞ্জির কন্ঠে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৭ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/38EuBLh
January 27, 2020 at 02:37AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন