ঢাকা, ০৮ জানুয়ারি - মুখে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে যাবার কোনো সম্ভাবনাই নেই। শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্যই পাকিস্তান যাওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু আসলেই কি তাই? এটাই কি আসলে বিসিবির শেষ কথা? নাকি বোর্ড অন্য কিছু ভাবছে? ভেতরে ভেতরে কি টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতেও পাকিস্তান যাওয়ার জোর চিন্তাভাবনা চলছে? সে চিন্তা থেকেই কি ক্রিকেটারদের জিওতে (গভর্নমেন্ট অর্ডার বা সরকার আদেশ) সই করানোর হিড়িক? গত তিনদিন ধরে ক্রিকেটারদের জিওতে সই করানো হয়েছে। কেউ করেছেন, কেউ করেননি। এর মধ্যে ভারত সফরে টেস্ট সিরিজে অধিনায়কত্ব করা মুমিনুল হক জানিয়েছেন, তিনি সই করেছেন জিও পেপারে। পাশাপাশি জাতীয় দলের এক নম্বর ওপেনার তামিম ইকবালও জিওতে সই করেছেন বলে জানা গেছে। তবে মুশফিকুর রহিম করেননি- এক নির্ভরযোগ্য সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। মোদ্দা কথা, এখন ক্রিকেটপাড়া জুড়ে জিওতে সই করার খবর। রীতিমত গুঞ্জনে মুখর ক্রিকেট। মঙ্গলবার বিপিএলের মাঠের লড়াই ছাপিয়ে ক্রিকেটারদের জিওতে সই করার বিষয়টিই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আজও (বুধবার) শেরে বাংলায় ঘুরে ঘিরে একই প্রশ্ন, তবে কি সিদ্ধান্ত পাল্টে বা অবস্থান থেকে সরে টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি টেস্ট সিরিজ খেলতেও পাকিস্তান যাওয়ার কথা ভাবছে বিসিবি? হয়তো আজ বা কালের ভেতর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। অন্য সব ঘটনার মত হয়তো বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনই মিডিয়ার কাছে পুরো বিষয়ে বোর্ডের সর্বশেষ অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন। এখনকার খবর, বিসিবি মুখপাত্র এবং বোর্ড পরিচালক মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানালেন, নাহ! কোন অবস্থান পরিবর্তন হয়নি। বিসিবি আগের জায়গায়ই আছে। পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে যাওয়ার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতেই যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। টেস্ট সিরিজ নয়। তাহলে যে জিও পেপারে ক্রিকেটারদের সই করানো হয়েছে এবং হচ্ছে? সেটা কেন? জালালের ব্যাখ্যা, এটা আসলে একটা প্রক্রিয়া। ট্যুরের আগে জিও করতে হয়। সেখানে ক্রিকেটারদের সই থাকে। এটা কোন বিচ্ছিন্ন বা নতুন প্রক্রিয়া নয়। এটা সব ট্যুরের আগেই হয়। এবারও হচ্ছে। এখন আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গেলেও তো জিও করতে হবে। সেটাই করা হচ্ছে। তাই জিও হচ্ছে বলেই বাংলাদেশ টেস্ট খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে- এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। তা নয় মানা গেল। তাহলে টি-টোয়েন্টির সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের জিও তে সই করানোই হতো যুক্তিযুক্ত। কিন্তু যখন টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হককে জিওতে সই করানো হয়, তখন তো প্রশ্ন উঠবেই। আর তাই জিও সই করানো বিষয়টি নিয়ে একটু বেশি কথা হচ্ছে। শুধু টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টদের জিও করানো হলে কোনো প্রশ্নই উঠতো না। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৮ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39Ltzyq
January 08, 2020 at 09:15AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন