লাহোর, ২৫ জানুয়ারি - গতকাল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে তামিম-নাঈমের ওপেনিং জুটিতে ৭১ রান করেছিল টাইগাররা। স্কোরবোর্ডে এ রান দেখতে বেশ ভালো লাগলেও তামিম-নাঈম জুটির কারণেই বাংলাদেশ হেরেছে বলে ফুঁসেছেন সমর্থকরা। অনেক বিশ্লেষকের মতে, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উইকেট বাঁচিয়ে তামিম ও নাঈম মন্থরগতিতে রান নেয়ায় বড় টার্গেট ছুড়ে দিতে পারেনি বাংলাদেশ। যে কারণে ১৪২ রানের টার্গেট সহজভাবেই পার করেছে শোয়েব মালিকরা। পাওয়ারপ্লে তে টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাট চালায়নি তামিম ও নাঈম। লিটনকেও সেই একই ভূমিকায় দেখা গেছে। এদিকে তামিম, নাঈম ও লিটনের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও সরগরম হয়েছে। এর জন্য অভিজ্ঞ তামিমকেই বেশি দুষছেন অনেকে। কিন্তু বিশ্লেষক ও সমর্থকদের সঙ্গে একমত হননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টিটোয়েন্টিতে হারের পেছনে তামিমের কোনো হাত ছিল না বলে জানালেন তিনি। তামিম নয়; এ হারের জন্য উইকেটের চরিত্র, বাজে ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিস করাকে দায়ী করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহ বলেন, আমরা পাওয়ার প্লেতে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, এটাই ঠিক ছিল। তামিম আর নাঈম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। কিন্তু বল পুরোনো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিচ একটু অন্যরকম আচরণ করছিল। পরের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে গিয়েই টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলতে পারেনি। বড় শট খেলা কঠিন হয়ে পড়েছিল আমাদের জন্য। আর বড় শট কম খেলায় পিছিয়ে গেছি আমরা। হাত খুলে না খেলার কারণে ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। রান কম হয়েছে। তামিম বা আর কারো ব্যাটিংয়ের জন্য নয়; এমনকি বোলিংয়ের জন্যও নয়, বাজে ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসের কারণে হারতে হয়েছে বলে মত দেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের ১৪১ রান ছুঁতে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে পাকিস্তানকে। আর এটা হয়েছে বোলারদের চেষ্টার কারণেই। আমাদের বোলাররা ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফল আসেনি। এর কারণ লেগ সাইডে কয়েকটা সহজ চার দিয়ে ফেলেছি। এখানে আমরা আরেকটু ভালো করতে পারতাম। আমাদের ফিল্ডিংটা যদি একটু ভালো হতো, হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হতেও পারত। তবে প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা, উইকেটের আচরণকে কাজে লাগিয়ে পরের ম্যাচে ফিরে আসতে হবে বলে জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহর এমন বিশ্লেষণে একমত হতে পারেননি দেশের অনেক ক্রিকেটবোদ্ধা। তাদের যুক্তি, টি-টোয়েন্টিতে এসে ব্যাটসম্যানরা ওয়ানডের চেয়েও কম রান রেটে ব্যাট করে গেছেন। শুরুটা তামিমই দেখিয়ে গেছেন। তাই ব্যর্থতার দায় তার কাঁধেই চাপছে। ৭১ রান তুলতে তামিম ও নাঈম খেলেছেন ৬৬ বল। পাওয়ার প্লে কাজেই লাগাতে পারেননি তারা। প্রথম ৩৬ বলের ২২টিই ডট! বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে ডট বল ছিল ৪৫টি। হাতে উইকেট রেখে ইনিংসের মাঝপথে যখন রানের গতি বাড়িয়ে নিতেও ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। শেষ ওভারে ১৩ রান না উঠলে ১৪০ রানের দেখাও মিলত না। যতই উইকেটের ওপর দায় চাপানো হোক টিটোয়েন্টিতে এমন ব্যাটিং বাংলাদেশ সমর্থকদের হতাশই করেছে। আজ একই মাঠে একই কন্ডিশনে সিরিজের দ্বিতীয় টিটোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজ বাঁচাতে হলে এ ম্যাচ জেতা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারছেন না টাইগাররা। সূত্র : যুগান্তর এন এইচ, ২৫ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/30WBQvA
January 25, 2020 at 07:59AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top