ঢাকা, ২১ জানুয়ারি- যদিও বিপিএলের সফল ব্যাটিং পারফরমারদের প্রায় সবাই আছেন। তারপরও অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিক দলে নেই। এখন সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নির্ভরতার নাম মুশফিকুর রহীম। এইতো গত নভেম্বরে ভারতের মাটিতে যে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হয়েছে, সেখানেও মুশফিক ছিলেন সেরা পারফরমার। এবারের বিপিএলেও স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বাধিক আর সব মিলে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হলেন মুশফিক। এমন এক অপরিহার্য্য আর অতি নির্ভরযোগ্য পারফরমার ছাড়া দল পাকিস্তান খেলতে যাচ্ছে। এ ঘাটতি পূরণের ক্ষমতা রাখেন শুধু দুজন; অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজে, আর এক নম্বর ওপেনার তামিম ইকবাল। এমন অবস্থায় অধিনায়ক রিয়াদ কি ভাবছেন? নিজের করণীয় কাজ কি? মুশফিকের অনুপস্থিতিতে তার ভূমিকা কি হবে? এসব প্রশ্ন কিছু উঠছে। আজ সংবাদ সন্মেলনে সে সব প্রশ্নের সন্মুখিন হলেন রিয়াদ নিজেও। তবে অধিনায়ক একা নন, তার কথায় পরিষ্কার, তিনিও মুশফিকের অভাব ঘোচাতে সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই করছেন। তার ধারনা মুশফিকের অভাব পূরণ করা সহজ কাজ নয়। এজন্য তিনি এবং তামিম দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের যৌথ অবদান দরকার। আর তাই অধিনায়ক রিয়াদ আর তামিম ইকবাল মিলেই বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চিন্তা করছেন। এ সম্পর্কে রিয়াদের কথা, আমি এবং তামিম ব্যক্তিগতভাবে অবশ্যই অনুভব করি আমাদের দায়িত্বটা একটু বেশিই থাকবে। বিশেষভাবে টপ অর্ডারে তামিমের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি মেটার করে। ও খুব ছন্দে আছে অনেক রান করেছে বিপিএলে। আমি ব্যক্তিতগতভাবে অনুভব করব যে আমি যেনো আমার দায়িত্ব টা পালন করতে পারি। নিজের সম্ভাব্য করণীয় স্থির করে ফেলেছেন টাইগার অধিনায়ক। তিনি মাঝপথে দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরতে চান। আর তাই মুখে একথা, আমার যে রোলটা থাকবে টু টেক ইট ডিপ ইন দ্য ব্যাটিং, আমি এই জিনিসটা করার চেষ্টা করব। আমার মনে হয় প্রতিটা খেলোয়াড়রই দায়িত্ব থাকবে। তার চিন্তা-ভাবনা ও সম্ভব্য গেম প্ল্যানিংয়ের একটি রহস্য উন্মোচিত করে দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, দলের ব্যাটিং অর্ডারে বড় ধরনের রদবদল ঘটতে পারে। সে কারণেই এমন মন্তব্য, অনেকেরই হয়তোবা ডিফারেন্ট ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাটিং করতে হতে পারে এবং সবাইকে সেখানে খাপ খাইয়ে নেয়া তথা মানিয়ে নিতে হবে। তার ধারণা সবাই মানসিকভাবে ওই খাপ খাওয়ানোর চিন্তাই করছে এবং আমার বিশ্বাস তারা এটা মানিয়েও নিবে। অধিনায়ক রিয়াদ তার নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মিডল অর্ডারে হাল ধরার চিন্তায়। ব্যাটসম্যানদের নাম ধরে সম্ভাব্য করণীয় কথা উল্লেখ করে রিয়াদ বলে ওঠেন, মিডল অর্ডারে অবশ্যই আমি আমার যে অভিজ্ঞতা আছে সেটা দিয়ে সর্বোচ্চটা চেষ্টা করবো। ব্যাটিংয়ে অনেক ব্যাটসম্যানই আছে যাদের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাট করা লাগতে পারে। আফিফ জাতীয় দলের হয়ে শেষ সিরিজে মিডল অর্ডারে ব্যাট করেছে। আবার বিপএলে টপ অর্ডারে অনেক ভালো খেলেছে। টপ অর্ডারের অনেককেও হয়তো লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে হতে পারে৷ এ জিনিসগুলো মানসিকভাবে ধারণ করা ও সে অনুযায়ি অনুশীলন করাটা ভালো বলে আমি মনে করি; কিন্তু দিনশেষে যার যেটুক সুযোগ থাকবে সে যেন সেটুকু দিয়ে চেষ্টা করে। কারণ রেজাল্টটা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। আপনি আপনার কৌশল কেমন আর শ্রম কতটুকু দিচ্ছেন দলের জন্য সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় কমবেশি সব প্লেয়াররাই এটা জানে এবং এ নিয়ে কথাও হয়েছে। নিজে দায়িত্ব নিয়ে খেলে শেষ পাঁচ ওভারে হাত খুলে খেলে রানের চাকা ও গতি সচলের দিকে চোখ রিয়াদের। অবশ্যই আমি চেষ্টা করব আর আমি যতটুকু ডিপে ব্যাটিং করতে পারব আমার মনে হয় আমি আমার টিমকে একটা ভালো স্কোর এনে দিতে পারব। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২১ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2sKcILI
January 21, 2020 at 06:31PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top