ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি - চলতি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শুরু থেকেই দেখা গিয়েছে দেশি খেলোয়াড়দের জয়জয়কার। ব্যাটিং-বোলিং উভয়দিকেই রাজত্ব করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যার ফলে টুর্নামেন্টের একদম শেষপর্যায়ে এসেও ব্যাটিং ও বোলিংয়ের সেরা পাঁচে বেশিরভাগ নামই স্থানীয় ক্রিকেটারদের। শুক্রবার ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠবে বিপিএলের এবারের আসরের। এ ম্যাচে মুখোমুখি হবে খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ফাইনালের আগে সর্বোচ্চ রান ও উইকেটের তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করছেন এ দুই দলের ক্রিকেটাররাই। ব্যাট হাতে এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। ১৩ ম্যাচে ৭৮.৩৩ গড়ে ৪৭০ রান করেছেন মুশফিক। যা কি না বিপিএলের নির্দিষ্ট কোনো আসরে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। দুইবার ৯০র ঘরে গিয়েও সেঞ্চুরির আগে থামতে হয়েছে মুশফিককে। সে দুই ইনিংস ছাড়াও পঞ্চাশ পেরিয়েছেন আরও দুইবার। মুশফিকের পরের অবস্থানেই আছেন তার সতীর্থ রাইলি রুশো। বিপিএলের গত আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, এখনও পর্যন্ত ৪৫.৮০ গড়ে করেছেন ৪৫৮ রান। ফিফটি করেছেন ৪টি ম্যাচ। ব্যাটিংয়ের তালিকায় পরের তিনটি স্থানে রয়েছেন রাজশাহী রয়্যালসের শোয়েব মালিক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ডেভিড মালান ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইমরুল কায়েস। অন্যদিকে বোলিংয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের তালিকার নেতৃত্ব দিচ্ছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেন। ১৩ ম্যাচে মাত্র ১৪.৬ স্ট্রাইকরেটে তার উইকেটসংখ্যা ২০টি। বিপিএলের গত আসরে ২২ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। এবার তার সামনে সুযোগ রয়েছে শীর্ষে থেকেই টুর্নামেন্ট শেষ করা। অবশ্য রুবেলের সমান ২০ উইকেট রয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানেরও। তবে তার দল রংপুর রাইডার্স বাদ পড়ে গেছে প্লেঅফের আগেই। এ তালিকার পরের নামটি খুলনার পেসার রবি ফ্রাইলিংকের। তার উইকেটসংখ্যা ১৯টি। এছাড়া সমান ১৮টি করে উইকেট রয়েছে খুলনার শহীদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আমিরের এবং চট্টগ্রামের মেহেদি হাসান রানার। ফাইনালের আগে বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ১. মুশফিকুর রহীম (খুলনা টাইগার্স) - ১৩ ম্যাচে ৭৮.৩৩ গড়ে ৪৭০ রান, সর্বোচ্চ ৯৮* ২. রাইলি রুশো (খুলনা টাইগার্স) - ১৩ ম্যাচে ৪৫.৮০ গড়ে ৪৫৮ রান, সর্বোচ্চ ৭১* ৩. শোয়েব মালিক (রাজশাহী রয়্যালস) - ১৪ ম্যাচে ৪০.৫৪ গড়ে ৪৪৬ রান, সর্বোচ্চ ৮৭ ৪. ডেভিড মালান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স) - ১১ ম্যাচে ৪৯.৩৩ গড়ে ৪৪৪ রান, সর্বোচ্চ ১০০* ৫. ইমরুল কায়েস (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) - ১৩ ম্যাচে ৪৯.১১ গড়ে ৪৪২ রান, সর্বোচ্চ ৬৭* এছাড়া ৪০০র বেশি রান করা অন্য ব্যাটসম্যান হলেন রাজশাহীর ওপেনার লিটন দাস। ১৪ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে ভর করে ৪৩০ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। ফাইনালের আগের বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ১. রুবেল হোসেন (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) - ১৩ ম্যাচে ২০ উইকেট, সেরা বোলিং ১৭ রানে ৩ উইকেট ২. মোস্তাফিজুর রহমান (রংপুর রেঞ্জার্স) - ১২ ম্যাচে ২০ উইকেট, সেরা বোলিং ১০ রানে ৩ উইকেট ৩. রবি ফ্রাইলিংক (খুলনা টাইগার্স) - ১৩ ম্যাচে ১৯ উইকেট, সেরা বোলিং ১৬ রানে ৫ উইকেট ৪. শহীদুল ইসলাম (খুলনা টাইগার্স) - ১২ ম্যাচে ১৮ উইকেট, সেরা বোলিং ২৩ রানে ৪ উইকেট ৫. মোহাম্মদ আমির (খুলনা টাইগার্স) - ১২ ম্যাচে ১৮ উইকেট, সেরা বোলিং ১৭ রানে ৬ উইকেট এছাড়া মেহেদী হাসান রানা ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১৮টি উইকেট। তার সেরা বোলিং ২৩ রানে ৪ উইকেট শিকার। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৬ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3ahYpyM
January 16, 2020 at 11:35AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন