ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি - ব্যক্তিগত পাঁচ উইকেটের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন দুজনই। ডানহাতি অফস্পিনার নাইম হাসান ৪ উইকেট নিয়েছিলেন প্রথম দিনেই, পেসার আবু জায়েদ রাহীর চতুর্থ উইকেট আসে দ্বিতীয় দিন সকালে। দুজন মিলেই তুলে নেন জিম্বাবুয়ের প্রথম ৮ উইকেট। কিন্তু নবম উইকেটটি নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ফলে শেষ হয়ে নাইম-রাহীর মধ্যে যেকোনো একজনের ফাইফার নেয়ার সম্ভাবনা। এর মধ্যে আবার আজ (রোববার) ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সকালে প্রথম ১৩ ওভারে আক্রমণেই আনা হয়নি নাইমকে। ফলে রাহীর সামনে ছিলো নাইমকে ৪ উইকেটে বসিয়ে নিজে ৫ উইকেট তুলে নেয়ার। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ২৬ বছর বয়সী রাহী। যার ফলে নেয়া হয়নি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টেস্টে ৫ উইকেট। অবশ্য নাইমও পারেননি ফাইফার নিতে। শেষের দুই উইকেটই গিয়েছে তাইজুলের ঝুলিতে। দুই বোলার অল্পের জন্য ফাইফার নিতে না পারলেও, তাদের বোলিং নৈপুণ্যে চূড়ান্ত লাভটা হয়েছে বাংলাদেশেরই। টস হেরে আগে বোলিং করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানেই বেঁধে ফেলেছে মুমিনুল হকের দল। দারুণ শুরুর পরেও নিজেদের দলীয় সংগ্রহটাকে তিনশ ছাড়িয়ে নিতে পারেনি সফরকারীরা। ম্যাচের প্রথম দিন ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন আউট হয়েছিলেন ১০৭ রান করে। স্বাগতিকদের পক্ষে নাইম ৪ ও আবু জায়েদ রাহী নিয়েছিলেন ২টি উইকেট। আজ দ্বিতীয় দিন সকালে জিম্বাবুয়ের বাকি ৪ উইকেট নিতে বোলিং করতে হয়েছে ১৬.৩ ওভার। যেখান থেকে জিম্বাবুয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৭ রান জমা করেছে সফরকারীরা। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাভা করেছেন ৩০ রান। তাকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন তাইজুল। এর আগে দিনের প্রথম দুই উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী। উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত হন ডোনাল্ড তিরিপানো, লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন আইন্সলে দলুভু। এরপর চার্লটন শুমাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান তাইজুল। শেষ উইকেটে ২০ রান যোগ করেন চাকাভা ও ভিক্টর নিয়ুচি। ফাইফার না পেলেও, ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেই ইনিংস শেষ করেছেন আবু জায়েদ রাহী। ২৪ ওভারে ৭১ রান খরচায় নিয়েছেন ৪টি উইকেট। এর আগে টেস্টে তার সেরা বোলিং ছিল ১০৮ রানে ৪ উইকেট। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৪ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2VgCtzh
February 24, 2020 at 01:57AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top