কাঠমান্ডু, ১২ ফেব্রুয়ারি- ম্যাচটা ছিলো ৫০ ওভারের। কিন্তু দুই দল মিলে খেলেছে মাত্র ১৭.২ ওভার। ভাবার কারণ নেই যে, বৃষ্টির কারণে পুরো খেলা হয়নি। মূলত পুরো ম্যাচটাই শেষ হয়েছে ১৭.২ ওভারে। যেখানে রান হয়েছে ৭১ আর পড়েছে ১২টি উইকেট। আর ম্যাচশেষে জয়ী দলের জয়ের ব্যবধান ৮ উইকেটের। নেপালের কীর্তিপুরে আইসিসি বিশ্বকাপ লিগ-২ এর ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আগে ব্যাট করে তারা ১২ ওভারে অলআউট হয়েছে মাত্র ৩৫ রানে। জবাবে ২ উইকেট হারালেও নেপাল ম্যাচ জিতে নিয়েছে মাত্র ৫.২ ওভারেই। বলার অপেক্ষা রাখে না, যুক্তরাষ্ট্রকে ৩৫ রানে অলআউট করার মাধ্যমে বিশ্ব রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে নেপাল। কেননা আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এটিই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। এর চেয়ে কম রান বা ওভারে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে পারেনি কোনো দল। তবে এ রেকর্ডে আবার নেপালের পাশেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা। তারাও জিম্বাবুয়েকে অলআউট করেছিল ৩৫ রানে। ২০০৪ সালে নিজেদের ঘরের মাঠে লঙ্কানদের কাছে ১৮ ওভারে ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। প্রায় ১৬ বছর পর এ রেকর্ডে উঠলো নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম। তবে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৬ ওভার কমেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে নেপাল। তাদের এ অবিস্মরণীয় পারফরম্যান্সে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তারকা লেগস্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে। বিশ্বের নানান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিজের কবজির জাদু দেখানো লামিচানে এবার দেশের জার্সি গায়েও করলেন বাজিমাত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিং করতে এসে শেষ বলে উইকেট নেন লামিচানে। পরে দ্বাদশ ওভারে নিজের করা ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে যুক্তরাষ্ট্রের শেষ উইকেটও নেন এ লেগস্পিনার। সবমিলিয়ে টানা ৬ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন লামিচানে। যা কি না নেপালের ওয়ানডে ইতিহাসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। এছাড়া সুশান বারি ৫ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। জবাবে মাত্র ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল নেপালও। তবে পরশ খাড়কা ১২ বলে ২০ ও দীপেন্দ্র আইরি ১১ বলে ১৫ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ১. যুক্তরাষ্ট্র - ৩৫ বনাম নেপাল, ২০২০ ২. জিম্বাবুয়ে - ৩৫ বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০০৪ ৩. কানাডা - ৩৬ বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০০৩ ৪. জিম্বাবুয়ে - ৩৮ বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০০১ ৫. শ্রীলঙ্কা - ৪৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১২ সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১২ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2HcB8Bj
February 12, 2020 at 07:35AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top