কেপটাউন, ২৮ ফেব্রুয়ারি - জোহানেসবার্গে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয়ে ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচটিকে নিছক খারাপ দিন হিসেবে প্রমাণ করে পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় ম্যাচেই তারা জিতে যায় ১২ রানের ব্যবধানে। ফলে সিরিজে চলে আসে ১-১ সমতা। কিন্তু কেপটাউনে সিরিজের শেষ ম্যাচে ফের ১০০র নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচটি যে স্রেফ বাজে দিন ছিলো না দক্ষিণ আফ্রিকা, তা প্রমাণ করে দিয়ে শেষ ম্যাচটিতে তাদের মাত্র ৯৬ রানে অলআউট করেছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৯৭ রানের বড় ব্যবধানে। বিশাল এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যার সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে এখনও পর্যন্ত সব সিরিজে অপরাজিতই রইলো অসিরা। ২০১১ সালে প্রথম সিরিজটি স্রেফ ড্র হয়েছিল ১-১ ব্যবধানে। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ২-০ এবং ২-১ ব্যবধানে। এবারের সিরিজটি জিতে নিতে দুই জয়েই প্রোটিয়াদের দুইটি লজ্জার রেকর্ড উপহার দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে ৮৯ রানে অলআউট হয়ে ১০৭ রানে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটি ছিলো টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এবং সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে পরাজয়ের রেকর্ড। বুধবার রাতে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে ৯৬ রানে, ম্যাচ হেরেছে ৯৭ রানে। বলা বাহুল্য, এটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে পরাজয়ের রেকর্ড। এর আগে মাত্র একবারই টি-টোয়েন্টিতে ১০০র নিচে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৮ সালের শ্রীলঙ্কা সফরে কলম্বোতে তাদের ইনিংস থেমেছিল ৯৮ রানে। এছাড়া কেপটাউনে এবারই প্রথম কোনো দল অলআউট হয়েছে ১০০র নিচে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে এতসব লজ্জায় ডোবানোর মূল কারিগর অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। টপঅর্ডারকে এলোমেলো করে দেয়া বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগারও। ম্যাচে আগে ব্যাট করে দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নারের ফিফটি এবং শেষদিকে স্টিভেন স্মিথের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। যা তাদের এনে দেয় বড় জয়ের ভিত। অবশ্য অসিদের ইনিংসে ছিলো আরও বড় সংগ্রহের আভাস। কেননা দুই ওপেনার ফিঞ্চ-ওয়ার্নার মাত্র ১১.৩ ওভারেই দাঁড় করেছিলেন ১২০ রানের জুটি। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে ওয়ার্নার ফেরেন ৩৭ বলে ৫৭ রান করে, পরের ওভারে ফিঞ্চ আউট হন সমানসংখ্যক বলে ৫৫ রান করে। এরপর প্রত্যাশানুযায়ী খেলতে পারেননি ম্যাথু ওয়েড (৯ বলে ১০) ও মিচেল মার্শ (১৬ বলে ১৯)। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের আশায় দুজনকেই নামানো হয়েছিল স্মিথের আগে। কিন্তু শেষতক সেই স্মিথই খেলেছেন ১৫ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস। যার সুবাদে দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় অসিরা। পরে রান তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়াদের পক্ষে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র চার ব্যাটসম্যান। ফন ডার ডুসেন ১৯ বলে ২৪, হেনরিখ ক্লাসেন ১৮ বলে ২২, ডেভিড মিলার ১৮ বলে ১৫ এবং ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ৯ বলে ১১ রান করেছেন। বাকি সাত ব্যাটসম্যানই ফিরেছেন এক অঙ্কে। যার ফলে ১৫.৩ ওভারে মাত্র ৯৬ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পায় ৯৭ রানের বড় ব্যবধানে পরাজয়ের লজ্জা। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৮ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Vu4RxZ
February 28, 2020 at 02:56AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন