ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি - পরিসংখ্যান পরিষ্কার সাক্ষী দিচ্ছে গত ১৩ মাসে (২০১৯ সালে ৫টি এবং চলবি বছর ফেব্রুয়ারিতে রাওয়ালপিন্ডিতে এক টেস্ট) মোট ৬টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। যার একটি ছাড়া বাকি পাঁচটিই দেশের বাইরে। দেশের মাটিতে খেলা ওই ম্যাচেও আফগানিস্তানের কাছে ২২৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এ ছাড়া হ্যামিল্টন (ইনিংস ও ৫২ রানে হার), ওয়েলিংটন (ইনিংস ও ১২ রান), ইন্দোর (ইনিংস ও ১৩০ রান), কলকাতায় (ইনিংস ও ৪৬ রান) ইনিংস হারের লজ্জায় ডুবেছ টাইগাররা। আর এই তো সেদিন রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের কাছেও ইনিংস ও ৪৪ রানে হার ছিল সঙ্গী। শুধু পরাজয়ের মধ্যেই ব্যর্থতা ফুটে ওঠেনি। ব্যাটিং দুর্বলতার পাশাপাশি বোলিং দৈণ্যও নগ্নভাবে ফুটে উঠেছে। ওই ৬ টেস্টের ১২ ইনিংসে মাত্র তিনবার প্রতিপক্ষকে অলআউট করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। একটি মাত্র টেস্টের উভয় ইনিংসে আফগানিস্তানকেই শুধু অলআউট করতে পেরেছেন টাইগার বোলাররা। বলার অপেক্ষা রাখে না, ওই ম্যাচটিই ছিল দেশের মাটিতে। দেশের বাইরে ৫ টেস্টের ১০ ইনিংসে মোটে এক ইনিংসে শুধু প্রতিপক্ষর ১০ উইকেটের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। সেটা এই সেদিন রাওয়ালিপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এর বাইরে গত বছর নিউজিল্যান্ডের সাথে দুই টেস্টে (৬+৬ =) ১২ উইকেট, ভারতের সাথে দুই টেস্টে (৬+৯) = ১৫ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে (১০ উইকেট) সহ মোট ৫৭ উইকেটের পতন ঘটাতে পেরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তার মানে ৬ টেস্টে টাইগার বোলারদের ৫০ ভাগ সাফল্যও নেই। আর সেটাই ওই সবকটি টেস্টে করুণ পরিণতির অন্যতম কারণ। বলার অপেক্ষা রাখে না, সেই শেষ ৬ টেস্টে স্পিনারদের জ্বলে উঠতে না পারাও ছিল বাংলাদেশের হারের অন্যতম কারণ। ওই ব্যর্থতাই বলে দিচ্ছে, দেশের বাইরে উইকেট অনুকুলে ছিল না। আর সব হিসেব নিকেশই বলে দেয়, বাংলাদেশের বোলারদের ভাল করতে উইকেট, কন্ডিশনের উপর নির্ভর করতে হয়। ধরা হয়, সাকিব আল হাসান থাকলে হয়ত বাইরেও সাফল্যের দেখা মিলত। সেই জায়গাটায় ঘাটতি থেকেই গেছে। সাকিব না থাকায় যার ওপর নির্ভর করেছে স্পিন বিভাগ, সেই বাঁ-হাতি তাইজুলও জ্বলে উঠতে পারেননি। ঘুরিয়ে বললে, সাকিবের অভাব মেটানো সম্ভব হয়নি তাকে দিয়ে। সেই না পারা নিয়ে কিছু বলতে গেলে রীতিমত ক্ষেপে উঠলেন তাইজুল। মঙ্গলবার শেরে বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রস্তুতির প্রথম দিন সাংবাদিকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে প্রশ্ন শুনে তাইজুল ঝাঁঝের সাথে জবাব দিলেন, তাহলে আমরা এখন যারা স্পিনার আছি তারা ভাল স্পিনার না? সাকিব ভাইর মত না? সাকিব ভাই থাকতে যেহেতু ভাল হত, তাহলে এটাই উত্তর। এখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে সাকিব থাকবেন না, আপনারা ওই জায়গা পূরনে কতটা প্রস্তুত? তাইজুলের জবাব, তাহলে ওই মানের ক্রিকেটার আসতে হবে। ওই মানের স্পিনার নাই। প্রাসঙ্গিক কারণেই প্রশ্ন উঠলো, সাকিবের মানের স্পিনার নেই বলেই কি এবার টেস্ট স্কোয়াডে বেশি ৫ পেসার (আবু জায়েদ রাহী, মোস্তাফিজুর রহমান, ইবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ) নেয়া হয়েছে? তাইজুল বললেন, এই কারণে পেসার বেশি নেয়া হয়েছে কিনা তা জানি না; কিন্তু পেসার আছে। পাকিস্তানেও স্পিনার গিয়েছিল আমিও খেলেছি। আসলে বললাম তো ওই মানের স্পিনার এখনো হয়নি, তাই ফলাফল এমন হচ্ছে। এদিকে কঠিন সত্য হলো ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলা আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। শক্তি ও সামর্থ্যের তুলনায় ওই দুই দলের বিপক্ষে জয়ের চেয়ে পরাজয়ের সম্ভাবনাই ছিল বেশি। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের তাড়া ও তাগিদ অনেক বেশি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা মানেই জয়ের বাড়তি তাগিদ। ভাবটা এমন, জিততেই হবে। প্রত্যাশাও থাকে বাংলাদেশ জিতবে। তাইজুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতা খুব প্রয়োজনীয়? তাইজুল মনে করেন, অবশ্যই জেতাটা প্রয়োজন। সেটা কেন? তার ব্যাখ্যা, এটা জিম্বাবুয়ে হোক আর যে দলই হোক না কেন, এখন জেতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলে হয়ত আমাদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রাটা আরো উপরে যাবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের জন্য খুব ভাল হবে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৯ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2wuJcev
February 19, 2020 at 02:43AM
19 Feb 2020

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top