টরন্টো, ১২ ফেব্রুয়ারি- গত ১ ফেব্রুয়ারি টরন্টোতে বসবাসরত নটরডেম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়েছিলেন স্কারবেোরোর গ্র্যান্ড সিনামন ব্যাঙ্কুয়েট অডিটোরিয়ামে। অনুষ্ঠান শুরুর আগ থেকেই পর্দায় প্রক্ষেপিত হয় পুরনো দিনের ছবি, নটরডেম কলেজের ওপর ডকুমেন্টারি, বর্তমান অধ্যক্ষের ভিডিও বার্তা। ভিডিও বার্তায় প্রবাসে থাকা সাবেক নটরডেমিয়ানদের প্রাণখোলা শুভেচ্ছা জানান কলেজের অধ্যক্ষ। শুরুতেই এলামনাইর সাংগঠনিক সম্পাদক মেজর (অব:) খাজা ওয়াকার সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। তসলিম আহমদের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় শুরু হয় আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা। আকস্মিকভাবে সাবেক শিক্ষার্থীদের মঞ্চে ডেকে এনে যেনো অনেক বছর পেছনে ফেলে আসা স্মৃতির মুখোমুখি করে দেন উপস্থাপক তসলিম। শিক্ষার্থীরাও যেনো কোনো দ্বিধা না রেখেই উন্মুক্ত করে দিয়েছেন স্মৃতির ভান্ডার। সাবেক শিক্ষার্থীদের আলাপচারিতার ফাঁকে চলেছে নৃত্য পরিবেশনা। প্রিয়ন্তি, নূসরাত ঊর্মি ও তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নাচের ছন্দ উপভোগ করেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাবৃন্দ। নটরডেম কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এ কে এম জহিরউদ্দিন সংগঠনের উপদেষ্টাদের পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় উপদেষ্টাদের মধ্যে আবদুল মান্নান, কানন বড়ুয়া, আনোয়ারুল কবীর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এ পর্যায়ে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট কুইবেকে বাংলাদেশের সাবেক অনারারি কনসাল জেনারেল ডা. জামিলুর রহিম সংগঠনের নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় তিনি সমবেত গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় বলেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে নটরডেম কলেজ যেমন দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান, এর শিক্ষার্থীরাও কর্ম এবং ব্যক্তিজীবনে নিজেদের সেরা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর এই এলামনাই এসোসিয়েশনও সেরা সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। তিনি সমবেত গ্র্যাজুয়েটদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, কানাডায় বসবাসরত নটরডেমিয়ানদের সিংহভাগই এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছে। আগামীতে একশত ভাগ নটরডেমিয়ানদের নিয়ে আমরা আমাদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো। তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চান। পরে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অতিথি শিল্পী হিসেবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- সারা বিল্লাহ, জুলফিয়া আহমেদ ইন্টু। পরে এম এ বারী মঞ্জু এবং জুলফিয়া আহমেদ ইন্টু দম্পত্তি যৌথভাবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।কবিতা আবৃত্তি করেন ভিক্টর গোমস। এর আগে এলামনাইর সদস্যদের মধ্য থেকে গান গেয়ে শোনান পল রয়, জি এম মসিউদ্দিন অরুপ, ডমিনিক, শরীফ এবং এলামনাই সন্তান নিবিড় প্রমূখ। গভীর রাত পর্যন্ত সুরের মুর্ছনায় ডুবে থাকেন নটরডেমিয়ানরা। যন্ত্রাংশে শিল্পীদের সহায়তা করেন রনি পালমার, জাহিদ, নোয়েল, জয়, ড. আনিস প্রমূখ। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় র্যাফল ড্র। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক চঞ্চল সাহার সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SyFuaU
February 13, 2020 at 01:07AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন