অন্যসব প্রতিযোগিতায় যেমন তেমন, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই রিয়াল মাদ্রিদের একচ্ছত্র আধিপত্য- এ কথা মেনে নিতে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীরও কোনো আপত্তি থাকে না। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় ক্লাবটির উজ্জ্বল পারফরম্যান্সই মূলত এমন দাবীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু সে তুলনায় চলতি মৌসুমটায় ঠিক চেনা যাচ্ছে না টুর্নামেন্টের ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নদের। স্প্যানিশ লা লিগায় হতাশাময় পারফরম্যান্সের পর এবার চ্যাম্পিয়নস লিগেও হেরে গেছে তারা। তবে রয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ। বুধবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ১-২ গোলে হেরে গিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ জয়ে কোয়ার্টারের পথে এক পা দিয়েই রাখল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচটিতে দুই দলই নিজেদের সেরা একাদশে নামায়নি গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড়দের। সিটি বস গার্দিওলা বেঞ্চে রেখেছিলেন রহিম স্টার্লিং, সাজিও আগুয়েরোদের। অন্যদিকে রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান শুরুর একাদশে রাখেননি টনি ক্রুস, গ্যারেথ বেলদের মতো তারকাদের। এছাড়া দুই দলের সাম্প্রতিক অবস্থাও ছিলো প্রায় সমান। লা লিগায় লেভান্তের বিপক্ষে শীর্ষস্থান খুইয়েছিল রিয়াল আর চ্যাম্পিয়নস লিগে আগামী মৌসুম থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলছে ম্যান সিটির মাথার ওপর। সেসব ছাপিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখরোচক এক লড়াইয়ের অপেক্ষাই ছিলো ফুটবলপ্রেমীদের। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারেনি কোনো দলই। ম্যাচের ২১ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল হেসুসের সুযোগ হাতছাড়া ও ২৯ মিনিটে করিম বেনজেমা হেড লক্ষ্যে রাখতে না পারাই হয়ে থাকে প্রথমার্ধের বিজ্ঞাপন। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ম্যাচে প্রাণ ফেরায় দুই দলই। গোলের তাগিদে মরিয়া স্বাগতিক রিয়াল জালের দেখা পেয়ে যায় ৬০ মিনিটে। প্রথমার্ধে ঠিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে। দ্বিতীয়ার্ধে তিনিই রক্ষণচেরা এক পাস বাড়িয়ে দেন ইস্কোর উদ্দেশ্যে। ঠাণ্ডা মাথায় কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ফাঁকায় থাকা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইস্কো। গোল খেয়ে অবশ্য উদ্যম হারায়নি ম্যান সিটি। তারা অপেক্ষায় ছিলো রিয়ালের শক্তি ফুরোনোর। তাদের কাজ আরও সহজ করে দেয় গোল করার পর স্বাগতিকদের অতি রক্ষণাত্মক মানসিকতা। সে সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগান কেভিন ডি ব্রুইন, গ্যাব্রিয়েল হেসুসরা। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ডি ব্রুইনের ক্রসে হেড দিয়ে দলকে সমতায় ফেরান ম্যান সিটির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড হেসুস। এর মিনিট পাঁচেক পর পেনাল্টি থেকে সিটিজেনদের এগিয়ে দেন ডি ব্রুইন নিজেই। ডি বক্সে স্টার্লিংকে দানি কারভাহাল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। ডি ব্রুইনের এ গোলেই জয় নিশ্চিত হয় ম্যান সিটির। তবে শুধু ফলাফল ছাড়াও রিয়ালের বিপক্ষে আরেকটি বিষয়। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে বল নিয়ে এগুতে হেসুসকে পেছন থেকে টেনে ধরেন রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস। সঙ্গে সঙ্গে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। যার ফলে আগামী ১৭ মার্চ ম্যান সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটিতে দর্শক আসনেই বসে থাকতে হবে রামোসকে। রিয়ালের হয়ে এটি তার ২৬তম লাল কার্ড। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৭ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/32whKsT
February 27, 2020 at 04:02AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন