ইসলামাবাদ, ১৬ ফেব্রুয়ারি- ১৩তম আইপিএল খেলতে মুখিয়ে আছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তারকারা। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে বরাবরের মতো এবারের আইপিএলেও খেলছে না পাকিস্তানি কোনো ক্রিকেটার। বিশ্বের অন্যতম সেরা ও জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন পাকিস্তানের গতি তারকা শোয়েব আখতার। ২০০৮ সালের আইপিএলে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠে তোপ দাগিয়েছিলেন শোয়েব। আর ১২ বছর আগে আইপিএলে খেলা নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শোয়েব জানালেন, আইপিএলের একটি ম্যাচ তাকে বিশ্বকাপের স্বাদ দিয়েছিল। সেই স্বাদের কথা তুলে ধরে শোয়েব আখতার বলেন, আমি যখন ৪ উইকেট পেলাম, তখন সবাই যেন পাগল হয়ে উঠেছিল। সারা মাঠজুড়ে দৌড়েছিলেন শাহরুখ খান। তখন তার দৌড় আর উল্লাস দেখে আমার মনে হয়েছিল বিশ্বকাপই বুঝি জিতে গেছি। সে ম্যাচের স্মৃতি রোমন্থন করে শোয়েব আখতার বলেন, ঘটনাটি ইডেন গার্ডেনসের। আমার দলের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। সে এক সুখকর অভিজ্ঞতা। গ্যালারিতে দর্শকের উল্লাস এখনও আমার কানে বাজে। ম্যাচ জয়ের পর সেদিন শাহরুখ আমাকে বলেছিল একটা কঠিন ম্যাচ জিতিয়ে দিলে ভাই। ওই ম্যাচ নিয়ে স্মৃতির পাতা আউড়িয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলীও। তিনি বলেছিলেন কলকাতা মাঠে দিল্লির হার। অবশ্য। এটি আমাদের অন্যতম স্মরণীয় জয় ছিল। আর সে জয় এসেছিল শোয়ের আখতারের হাত ধরেই। এটি আমি আগেই ধরে নিয়েছিলাম যে, শোয়েবের মারাত্মক গতি টি-২০ ফরম্যাটে পার্থক্য গড়ে দেবে। আর সেটিই সত্য হয়েছিল। দিল্লিকে শোয়েব একাই শেষ করে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের আইপিএলে সৌরভ গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বে বিরেন্দ্র শেবাগের দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে হারায় কেকেআর। আইপিএল অভিষেকে চার ওভারে ১১ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছিলেন শোয়েব। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে সে ম্যাচে ১৩৩ রানে থামতে হয় কলকাতাকে। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছিলেন পাক ক্রিকেটার সালমান বাট। এত ছোট টার্গেটে জেতার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামে দিল্লি। কিন্তু নিজের প্রথম স্পেলেই দিল্লির সব সম্ভাবনা গুঁড়িয়ে দেন শোয়েব। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ১৪৯ কিমি প্রতি ঘণ্টার এক বলে বিরেন্দর শেবাগকে আউট করেন। পরের ওভারে তার ১৪৫ কিমির ডেলিভারি বুঝতে পারেননি গৌতম গম্ভীর। তিনিও ফেরেন সেই গতিতে পরাস্ত হয়ে। শোয়েবের তৃতীয় ওভারে করা ১৪৬ কিমির ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে দেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এর পর ১৫০ কিমি গতির ডেলিভারিতে মনোজ তিওয়ারিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শোয়েব। শোয়েবের প্রথম তিন ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া দিল্লি ১১০ রানেই গুটিয়ে যায়। ওই আসরে তিন ম্যাচ খেলেই অবশ্য সেবার আইপিএল ছেড়ে দেশের পথে পাড়ি জমান শোয়েব। সৌরব গাঙ্গুলী অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও সেবার আর ম্যাচ খেলেননি শোয়েব। তবে ওই তিন ম্যাচেই ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছিলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। সূত্র: যুগান্তর আর/০৮:১৪/১৬ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SLWmLK
February 16, 2020 at 07:48AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন