মাঠে প্রতিপক্ষের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক খেলোয়াড়টির নাম লিওনেল মেসি। তবে মাঠের বাইরে স্বভাবে বেশ শান্ত-শিষ্ট হিসেবে সুনাম আছে বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। কিন্তু সেই স্বভাবের বাইরে গিয়ে সাবেক কোচ আরনেস্তো ভালভার্দের ক্যাম্প ন্যু থেকে বরখাস্ত হওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে বার্সার স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরিক আবিদালের ওপর ক্ষেপে যান মেসি। অবশ্য সেই সমস্যার আগুন এখন প্রায় নিভে গেছে। হুট করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা বার্সার পরিস্থিতি গভীর মনোযোগের সঙ্গে লক্ষ্য করে ম্যানচেস্টার সিটি। কারণ মেসিকে এমন রাগান্বিত আগে কখনোই দেখা যায়নি। ফলে তার ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। আর এই সুযোগটা কাজে লাগানোর অপেক্ষায় ছিল সিটিজেনরা। সেই সঙ্গে গুজব ছড়িয়েছিল, বার্সার সঙ্গে মেসি নতুন যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন, সেখানে নাকি রিলিজ ক্লজ রাখার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ, মৌসুমের শেষে চাইলে বার্সা ছাড়তে পারবেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আর এমনটা হলে তাকে দলে পেতে সবরকম চেষ্টা চালানোর কথা জানায় সিটি। তাছাড়া ১০টি লা লিগা ও ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীকে ইত্তিহাদে পেতে বছরে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ারও চিন্তা-ভাবনা করে রেখেছিল ইংলিশ জায়ান্টরা। অবশ্য রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডিঅর জয়ী ৩২ বছর বয়সী মেসির সঙ্গে বার্সার ২০২১ সাল পযর্ন্ত চুক্তি আছে। কিন্তু মেসির যে বার্সা ছাড়া সম্ভাবনা একদম নেই তা ভালোভাবে জানেন তার সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা। ম্যানসিটিকে প্রিমিয়ার লিগ জেতানো কোচ বিশ্বাস করেন, খেলোয়াড়ি জীবনটা বার্সাতেই শেষ করবে মেসি। গার্দিওলা বলেন, সে (মেসি) সেখানেই (বার্সেলোনা) থাকবে। আমি সেটাই আশা করি। ২০০৮ থেকে ২০১২ পযর্ন্ত ক্যাম্প্য ন্যুয়ের কোচ ছিলেন গার্দিওলা। সে সময় স্প্যানিশ কোচের প্রিয় শিষ্য ছিলেন মেসি। গার্দিওলা-মেসি জুটিতে তিনটি লা লিগা ও দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে কাতালানরা। এরপর বার্সা অধ্যায় ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নেন গার্দিওলা। সেখানেও মাত্র ৪ বছরের মধ্যে বাভারিয়ানদের ১৪টি শিরোপা এনে দেন তিনি। পরে জার্মানি ছেড়ে ইংল্যান্ডে এসে ম্যানসিটিকে প্রিমিয়ার লিগ জেতান তিনি। সূত্র : বাংলানিউজ এন এইচ, ০৯ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2H9PrGO
February 09, 2020 at 04:17AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন