ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি - টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি অনেকদিন ধরেই ছিল তামিম ইকবালের (৪৪০৫) দখলে। (সোমবার) তাকে টপকে গেছেন মুশফিকুর রহীম। ডাবল সেঞ্চুরি পূরণের ঠিক আগে ১৯৬ রানে পৌঁছেই টেস্টে বাংলাদেশের টপ (৪৪১৩) স্কোরার বনে গেছেন বগুড়ার এ ৩২ বয়সী ব্যাটসম্যান। রান তোলায় তামিমকে পেছনে ফেললেও এমনিতে তার সবচেয়ে পছন্দের ব্যাটসম্যান কিন্তু তামিমই। এর বাইরে সাকিবের আক্রমণাত্মক উইলোবাজিও ভাল লাগে মুশফিকের। তাহলে টেস্টের আরেক কার্যকর ব্যাটসম্যান মুমিনুল হককে কোথায় রাখেন এ সাবেক অধিনায়ক? তার পছন্দের তালিকায় কি মুুমিনুল আছেন? থাকলে কোথায়? উত্তর হলো, ব্যাটসম্যান মুমিনুলও অনেক প্রিয় মুশফিকের। শুধু প্রিয়ই নন, তাকে অনেক ওপরে স্থান দেন মুশফিক। তার চোখে জাতীয় দলের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। সোমবার দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে মুমিনুল সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হলে জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক বলেন, মুমিনুল টেস্টে আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তবে মুশফিক মানছেন দেশের বাইরে হয়তো মুমিনুলের ট্র্যাক রেকর্ড তত উজ্জ্বল না। এ কথা স্বীকার করে নিয়েই তিনি বলে ওঠেন, আমি মনে করি টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান মুমিনুল। হয়তো দেশে ও দেশের বাইরে তার পারফরম্যান্সে কিছু পার্থক্য আছে। তারপরও টেস্টে ক্রিকেট বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সেই। মুমিনুলের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মুশফিক বলে ওঠেন, গলে আমার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ম্যাচেও মুমিনুল ফিফটি করেছিল। ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি (২৫০ মিনিটে ১৬৭ বলে ১২০) করার পর হঠাৎই কেমন যেন হয়ে গিয়েছিলেন মুমিনুল। পরের ১৪ ইনিংসে একবারের জন্য তিন অংকে পৌঁছাতে পারেননি। ঐ ১৪ ইনিংসে একবার মাত্র পঞ্চাশে পা রাখতে পেরেছেন। দুবার ০ রানে ফেরার সঙ্গে মোট ৫ বার দুই অংকে পৌঁছাতে পারেননি। ভারত ও পাকিস্তানের মাটিতে শেষ তিন টেস্টে একদমই সুবিধা হয়নি। ইন্দোরে ভারত সফরের প্রথম টেস্টে ৩৭ ও ৭ রান করলেও, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দুই ইনিংসেই ০ রানে ফিরে হয়েছিলেন ব্যাপক সমালোচিত। এমনকি রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের সঙ্গেও সে অর্থে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। যথাক্রমে ৩০ ও ৪১ রানে হয়েছেন আউট। শেষ তিন টেস্টে তার নেতৃত্বে দল চরম ব্যর্থ। সব ম্যাচে ইনিংসে হেরেছে। ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং পারফরমেন্সও নিম্নমুখী। অধিনায়ক হিসেবে দলের অনুজ্জ্বল, শ্রীহিন পারফরমেন্স ও ব্যর্থতার একটা বড় দায় মাথায়। আর সাথে নিজের ব্যাটে রান না থাকা- সব মিলে মুমিনুল ছিলেন চরম চাপে। সেই চাপটা যে কত, তা ঠিক অনুভব করেছেন মুশফিক। তার চোখে এ মুহূর্তে টেস্টে মুুমিনুলই সম্ভাব্য সেরা অধিনায়ক। তার ভাষায়, সেই (মুুমিনুল) টেস্ট দলকে লিড দেওয়ার জন্য সঠিক মানুষ। এটা আমি মনে করি। যত ছোটই হোক, তার ব্যক্তিত্ব আর বয়স সব মিলেই আমি এটা অনুভব করি। ও কিন্তু অনেক চাপে ছিলো, ওখান থেকে এসে এমন ইনিংস খেলা সহজ কাজ নয়। মুমিনুলের সঙ্গে ব্যাটিংটা বরাবরই উপভোগ করেন মুশফিক। তাই তো মুখে এমন কথা, আমি আগেও বলেছি, আমি ওর সঙ্গে ব্যাটিং করে অনেক উপভোগ করি। শেষ ডাবল সেঞ্চুরি ওর সঙ্গে ছিলো, অনেকক্ষণ ব্যাটিং করেছি। গলে যে ডাবল সেঞ্চুরি ছিলো সেখানেও ওর প্রথম ফিফটি ছিল। সেখানেও ওর সঙ্গে ব্যাটিং করার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমি মনে করি সে চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। আর চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়রা তখনই ক্যামব্যাক করে যখন তারা চাপে থাকে। আমি মনে করি ভবিষ্যতে ও আরও ভালো করবে। এতো চাপের মধ্য থেকেও এমন খেলতে পারলেও সবার সাপোর্ট পেলেও আরও ভালো খেলতে পারবে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৫ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2HPI8Ef
February 25, 2020 at 02:56AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন