ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি- বিশ্বকাপ জয়, চাট্টিখানি ব্যাপার তো নয়। সেটাও আবার যদি হয় দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো। বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের উদযাপনটা বাধভাঙা হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এই বাধভাঙা উদযাপনের মাঝে একজনের কথা হয়তো সবাই ভুলেই গেছেন-পারভেজ হোসেন ইমন। অধিনায়ক আকবর আলী নিঃসন্দেহে দলকে দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়ে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। তাই বলে ইমনের অবদানকেও খাটো করে দেখার উপায় নেই। ভাঙা হাতে প্লাস্টার নিয়ে তামিম ইকবাল খেলতে নেমে যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন, তেমন আলোচনা হয়তো ইমনকে নিয়ে হচ্ছে না। কিন্তু ফাইনালে এর চেয়ে কম কিছুও করেননি বাঁহাতি ইমন। লক্ষ্য ছিল ১৭৭ রানের। ১০২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। অভিষেক দাস তখন সবেমাত্র আউট হয়েছেন, দলে স্বীকৃত ব্যাটসম্যানের কোটা শেষ। একটা প্রান্ত ধরে আছেন কেবল অধিনায়ক আকবর আলী। তখনও বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭৬টি রান। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে এই ৭৬ রান করা মোটেই সহজ কাজ ছিল না। ভারতীয় বোলাররা রীতিমত চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশকে। এমন সময়ে নিজের সব ব্যথা বেদনা ভুলে মাঠে নেমে গেলেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ওঠে যাওয়া পারভেজ হোসেন ইমন। হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে ২৫ রানে থাকার সময় মাঠ ছেড়েছিলেন। দ্বিতীয়বার যখন নামেন, তখনও ব্যথা আছে। তবে দলের প্রয়োজনে সে সব মাথায়ই আনলেন না ইমন। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রান নিলেন, বাজে বল পেলে সীমানা পার করতেও ভুল করেননি। সপ্তম উইকেটে আকবরের সঙ্গে মহাগুরুত্বপূর্ণ ৪১ রান যোগ করেন ইমন। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় (৪৭) এসে ফিরেন সাজঘরে। ইমন তার ইনিংস নিয়ে বলছিলেন, যখন ১৫ রানে ছিলাম, তখনই পায়ে ব্যথা অনুভব করতে থাকি। ২৫ রানে পৌঁছানোর পর আর সহ্য করতে পারছিলাম না। তাই মাঠ ছেড়ে যাই। ভেবেছিলাম, যদি আধা ঘন্টা বিশ্রাম নিতে পারি, তবে হয়তো পরে ব্যাট করতে পারব। কিন্তু যখন একটার পর একটা উইকেট পড়তে শুরু করলো, বসে থাকতে পারলাম না। ব্যথা নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমে যাই। পায়ে ব্যথা নিয়েই আরও ২২ রান করেন ইমন। জাসওয়ালের বলে যখন আউট হয়ে ফিরছিলেন, তখনও খোঁড়াচ্ছিলেন। তার এই কষ্ট বৃথা যায়নি। বাংলাদেশ শিরোপা জিতেছে। ট্রফি নিয়ে রাতভর আনন্দ করেছে জুনিয়র টাইগাররা। কিন্তু ইমন সেটাও পারেননি। ড্রেসিরুমে বসে থেকেই সময় কাটিয়েছেন, জানালেন এই যুব ব্যাটসম্যান, সবাই মাঠে দৌড়ে গিয়েছিল। আমার তখনও ব্যথা। আমি ড্রেসিংরুমে বসে ছিলাম। সবাই রাতভর আনন্দ করেছে। আমি পায়ের এই ব্যথার কারণে তেমন কিছুই করতে পারিনি। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১১ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2H9aglH
February 11, 2020 at 07:14AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন